বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড ২০২৪

  • 20-01-202420-01-2024
  • গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্টগ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট

১। নিচের যে কোনো একটি বিষয়ের উপর নাতিদীর্ঘ রচনা লিখুনঃ 

ক) চতুর্থ শিল্প বিপ্লবঃ বাংলাদেশের প্রস্তুতি, খ) দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ


ক) চতুর্থ শিল্প বিপ্লবঃ বাংলাদেশের প্রস্তুতি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাংলাদেশে বৃদ্ধি ও বিকাশের দিকে একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এই বিপ্লবে উদ্যোগশীল ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনকে উৎপ্রেরণা দেওয়া হয়েছে, যা বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চমানের উৎপাদন ও নির্যাতনে সাফল্য অর্জন করছে। প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, স্থানীয় কোম্পানিগুলি মূলত নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আগ্রহী হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সঠিক পথে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, যাতে দেশটি সজীব বায়ুমণ্ডলের সাথে সমর্থিত এবং প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য তৈরি থাকে।


খ) দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ

সূচনা: বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিঃ বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। বাংলাদেশে যেসব সামাজিক সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে দারিদ্র্য প্রধান সমস্যা। দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে এ দেশের সমাজজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত। কাজেই দারিদ্র্য বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাই বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গৃহীত কর্মসূচিসমূহের পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বের দাবিদার।


দারিদ্র্য: দারিদ্র্য একটি আপেক্ষিক বিষয় একে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। আভিধানিক অর্থে ‘দারিদ্র্য্য’ বলতে অভাব বা অনটনকেই বোঝায়। দারিদ্র্য মানে মৌলিক সামর্থ্যের অভাব। ন্যূনতম খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাবসমূহ মৌলিক সামর্থ্যের অভাবের আওতায় পড়ে বস্তুত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দরিদ্র হলো সেই ব্যক্তি, যে তার আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে নিতান্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং চিকিৎসার ন্যূনতম মানও বজায় রাখতে পারে না। বর্তমানে দারিদ্র্য পরিমাপে ‘দারিদ্র্যসীমা’ ধারণাটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই হিসাবে যারা দৈনিক

২১২২ কিলো ক্যালরির কম খাবার পায় তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করে। আর যারা ১৮০৫ কিলো ক্যালরির কম খাবার পায় তারা চরম দারিদ্র্যের শিকার।


বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি: যদিও বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষীত সকল নীতি-পরিকল্পনায় দারিদ্র্য বিমোচনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিগত প্রায় সব সরকারই বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তবুও বাংলাদেশে দারিদ্রা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।


বিভিন্ন তথ্য মতে, দেশে দারিদ্র্য্য ক্রমহ্যসমান হলেও এখনো দারিদ্র্যের উপস্থিতি সুবিস্তৃত ও গভীর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত থানা আয় ও ব্যয় নির্ধারণ জরিপ, ২০০০-এর প্রাণনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু ২১২২ কিলোক্যালরি গ্রহণ পরিমাপে ২০০০ সালে পরী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৪২.৩ শতাংশ ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে এবং দৈনিক ১৮০৫ কিলোক্যালরি গ্রহণ পরিমাপে ১৮৭ শতাংশ ছিল চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে।


ধনী-গরিবের বৈষম্য বৃদ্ধি: ১৯৯৫-৯৬ সালে সর্বোচ্চ ধনী ৫ শতাংশের আয়ে পরিমাণ ছিল সবেচেয়ে গরিব ৫ শতাংশের আয়ের তুলনায় ২৭ গুণ বেশি। ২০০০ সালে তা বেড়ে ৪ গুণ হয়েছে। সমীক্ষার তথ্যে দেখা যায়, সবচেয়ে গরিবদের মধ্যেও শহর-গ্রামের বৈষম্য বেড়েছে শহরের চেয়ে গ্রামীণ গরিবদের আয় কমেছে অনেক বেশি হারে।


অর্থনীতিবিদগণ মনে করেন, দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় আয় বন্টনের ক্ষেত্রে গরিব জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত রাখা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে আমাবলকে উপেক্ষা করাই এই বৈষম্য বৃদ্ধির কারণ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার দারিদ্র্য বিমোচনের বাহারি কর্মসূচি এ ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। শহরগুলোতে এক শ্রেণীর মানুষের ভোগবিলাসের পাশাপাশি সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাহীন জীবনযাপন প্রকটভাবেই এই বৈষম্যের বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।


দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারি কর্মসূচি: বাংলাদেশ সরকার দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য যে সকল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:


১. দারিদ্র্য বিমোচনে নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি । 

২. দারিদ্র্য বিমোচনে আবাসন প্রকল্প । 

৩. দারিদ্র্য বিমোচন ও ছাগল উন্নয়ন প্রকল্প । 

৪. বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি । 

৫. গৃহায়ন তহবিল । 

৬. কর্মসংস্থান ব্যাংক । 

৭. দুস্থ মহিলা ভাতা কর্মসূচি । 

৮ দরিদ্র ও অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য গৃহায়ন কর্মসূচি । 

৯. আশ্রায়ন প্রকল্প।


২। রেস্তোরাঁ কোন ভাষার শব্দ?

উত্তরঃ রেস্তোরাঁ ফরাসি ভাষার শব্দ।


৩। "উড়নচণ্ডী" বাগধারাটির অর্থ কি?

উত্তরঃ উড়নচণ্ডী বাগধারাটির অর্থ অমিতব্যয়ী।


৪। ক্রিয়াপদের মূল অংশকে কী বলে?

উত্তরঃ ক্রিয়াপদের মূল অংশকে ধাতু বলে।


৫। ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি- এর সংক্ষিপ্ত রূপ কি?

উত্তরঃ ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি = ইতিহাসবেত্তা।


৬। সাহেব শব্দের বহুবচন কি?

উত্তরঃ সাহেব শব্দের বহুবচন সাহেবান।


৭। একটি গ্রামের জনসংখ্যা ১০% বেড়ে ১১০০ হলে পূর্বের জনসংখ্যা কত ছিল?

সমাধানঃ

পূর্বের জনসংখ্যা = (নতুন জনসংখ্যা ×১০০)/(১০০ + বৃদ্ধির হার)

পূর্বের জনসংখ্যা = (১১০০ × ১০০)/১১০

পূর্বের জনসংখ্যা = ১০০০

অতএব, পূর্বের জনসংখ্যা ১০০০ জন।


উত্তরঃ পূর্বের জনসংখ্যা ১০০০ জন।


৮। সমাধান করুনঃ

সমাধানঃ



৯। দুইটি সংখ্যার যোগফল ৫০, বিয়োগফল ৬। বড় সংখ্যাটি কত?

সমাধানঃ ধরা যাক, 

বড় সংখ্যাটি x, ছোট সংখ্যাটি y।

তাহলে, যোগফল হলো x + y = ৫০ ... (সমীকরণ ১)

এবং বিয়োগফল হলো x - y = ৬ ... (সমীকরণ ২)

সমীকরণ ১ + সমীকরণ ২

x

+

y

=

50

x

-

y

=

6

2x

=

56

x = 56÷2 = 28


উত্তরঃ বড় সংখ্যাটি 28


১০। হলে  y = ?

সমাধানঃ 





















১১। করিম ও রহিমের বেতনের অনুপাত ৭:৫। করিমের বেতন রহিমের বেতন অপেক্ষা ৪০০ টাকা বেশি, রহিমের বেতন কত?

সমাধানঃ বেতনের অনুপাত ৭:৫ অর্থাৎ করিম : রহিম = ৭:৫

এবং করিমের বেতন রহিমের বেতন অপেক্ষা ৪০০ টাকা বেশি,

তাদের মধ্যে প্রতি এক একক অংশের পরিমাণ হলো ৪০০÷২ = ২০০ টাকা।

তাদের বেতন হবেঃ

করিমের বেতন = ৭ × ২০০ = ১৪০০ টাকা

রহিমের বেতন = ৫ × ২০০ = ১০০০ টাকা

অতএব, রহিমের বেতন ১০০০ টাকা।


উত্তরঃ রহিমের বেতন ১০০০ টাকা।


১২। "আইওটি হলো বিশ্বগ্রাম ধারণার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন" ব্যাখ্যা করুন।

উত্তরঃ "আইওটি হলো বিশ্বগ্রাম ধারণার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন" এই বাক্যটি তথ্যপ্রযুক্তি ও ডাটা বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত একটি মূল ধারণা উল্লেখ করছে। এটি বলতে চায়, আইওটি বা ইন্টারনেট অব থিংস হলো বিশ্বজুড়ে প্রচুর সংখ্যক উপাদানে সংযুক্ত ডিভাইস ও অবয়ব। এই ডিভাইসগুলি তথ্য প্রতিবেদন করতে সক্ষম এবং তাদের মধ্যে প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য চিন্তার এবং কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। এই বিশ্বগ্রাম ধারণা বলতে চায়, এই ডিভাইসগুলি বিশ্বজুড়ে এক সাথে যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম এবং তার মাধ্যমে তথ্য প্রবাহ হয়। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, যেমন শহর পরিসর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, উদ্যোগ এবং অন্যান্য। সাধারণভাবে, এটি বোঝানো হয়, ইন্টারনেট অব থিংস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারিত জীবনের বিভিন্ন দিকে সহায়ক তথ্য এবং সেবা উপলব্ধ করার সুযোগ তৈরি করতে।


১৩। ই-কমার্স কি? ই-কমার্সের সুবিধাসমূহ লিখুন।

উত্তরঃ ই-কমার্স হলো ইলেকট্রনিক কমার্স বা ইন্টারনেট কমার্সের সংক্ষেপ। এটি ব্যবসায়িক গুণধর্ম বা পণ্য এবং সেবা প্রদানের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন সকল পণ্য এবং সেবার মাধ্যমে কেনাকাটা এবং বিনিময়ের প্রক্রিয়া।


ই-কমার্সের সুবিধাসমূহ:


ক. সুলভ এবং সহজ কেনাকাটা: ই-কমার্স দ্বারা মাল্টিপল পণ্য এবং সেবা একই সাইট থেকে সহজেই কেনা যায়, এবং এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ এবং স্বল্প সময়ে এটি সম্পন্ন হতে সাহায্য করে।


খ. অনুসন্ধান এবং তুলনা: গ্রাহকরা আসন্ন তথ্য, পণ্যের সহজ তুলনা, এবং রিভিউ পড়ে একটি সুস্থ নির্ধারণ নিতে পারে।


গ. সহজ পরিশোধ: ই-কমার্সে অনেক সময় সহজ অর্থ পরিশোধের পদ্ধতি উপলব্ধ, যেমন ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিং, ইত্যাদি।


ঘ. পণ্য এবং সেবা বিশ্বজুড়ে উপলব্ধ: ই-কমার্স প্রেক্ষিতে গ্রাহকরা বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য এবং সেবা কেনা যায়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা অন্য কোনও দেশের দ্বারা অফার করা পণ্য অথবা সেবা প্রাপ্ত হতে পারে।


ঙ. অসীম বাজারে প্রবেশ: ই-কমার্স করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানরা বৃহত্তর বাজারে তাদের পণ্য এবং সেবা প্রদানের পৌঁছাতে পারে, যা স্থানীয় বাজারের সীমা দেওয়া থাকতে পারে।


সংক্ষেপে, ই-কমার্স ব্যবসার প্রক্রিয়া সহজ করে এবং গ্রাহকদের বিশ্বব্যাপী অনুভূতি অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে।


১৪। সামাজিক মিডিয়া (Social Media) বলতে কি বুঝায়? এর গুরুত্ব লিখুন

উত্তরঃ সামাজিক মিডিয়া হলো ইন্টারনেটে ভিত্তি একটি প্লাটফর্ম বা ওয়েবসাইট, যেখানে ব্যবহারকারীরা অন্য ব্যবহারকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তাদের মধ্যে তথ্য শেয়ার করতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের কাজে অংশ নিতে পারে। এটি ব্যক্তিগত, সামাজিক, বাণিজ্যিক এবং সার্বজনিক লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয়।


সামাজিক মিডিয়ার গুরুত্ব:


ক. সামাজিক সংযোগ: সামাজিক মিডিয়া দ্বারা ব্যক্তিগত এবং পেশাদার সংযোগ সৃষ্টি হয় এবং পুরাণো এবং নতুন সম্পর্ক উন্নত হয়।


খ. তথ্য এবং সংবাদ প্রচার: সামাজিক মিডিয়া মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের জীবনের ঘটনাগুলি, মতামত, এবং আবেগগুলি শেয়ার করতে পারে এবং পৃথিবীব্যাপী তথ্য এবং সংবাদ প্রচার করতে সক্ষম হয়।


গ. বাণিজ্যিক এবং পরিবেশনাত্মক লাভ: বিভিন্ন কোম্পানি এবং পেশাদার ব্যক্তিগণ সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের পণ্য এবং পরিষেবা প্রচার এবং বিপণি করতে পারে।


ঘ. প্রশাসনিক এবং সার্বজনিক সংযোগ: সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে সরকার, সংস্থা, এবং সার্বজনিক বিনিয়োগের প্রতি জনগণের সংযোগ বাড়াতে পারে এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নিতে সৃষ্টি হয়।


১৫। সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) কি? হ্যাকিং (Hacking) এর প্রকারভেদ আলোচনা করুন।

সাইবার ক্রাইম: মোবাইল, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের, privacydata চুরি করা বা data misuse করার অপরাধ গুলোকেই এককথায় বলা হয় সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধ। আর, যারা এই ধরনের cyber crime করেন, তাদের বলা হয় cybercriminals.


হ্যাকিং: হ্যাকিং (Hacking) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক, বা সিস্টেমে অননুমোদিত প্রবেশ করে এবং তথ্য চুরি, পরিবর্তন, বা ক্ষতি করার চেষ্টা করে। হ্যাকিং সাইবার অপরাধের একটি ধরন, যা কম্পিউটার সিস্টেমের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে চালানো হয়। হ্যাকাররা সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক প্রোটোকল, বা সিকিউরিটি ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে।


হ্যাকিং-এর প্রকারভেদ:


১. এথিক্যাল হ্যাকিং (Ethical Hacking):

এথিক্যাল হ্যাকিং হলো বৈধ ও অনুমোদিত হ্যাকিং, যা সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা পরীক্ষা করার জন্য করা হয়। এই ধরনের হ্যাকারদের হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার (White Hat Hacker) বলা হয়। তারা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে এবং সিস্টেমের দুর্বলতা সনাক্ত করে তা ঠিক করে।


২. কালো হ্যাট হ্যাকিং (Black Hat Hacking):

কালো হ্যাট হ্যাকার হলো অবৈধ হ্যাকার, যারা সিস্টেমে প্রবেশ করে তথ্য চুরি, সিস্টেম ক্ষতি, বা অর্থনৈতিক ক্ষতির উদ্দেশ্যে কাজ করে। তারা অপরাধী হিসেবে কাজ করে এবং তাদের কাজ সাইবার অপরাধের আওতায় পড়ে।


৩. ধূসর হ্যাট হ্যাকিং (Grey Hat Hacking):

ধূসর হ্যাট হ্যাকাররা কখনও কখনও এথিক্যাল হ্যাকিং করে, আবার কখনও অবৈধ হ্যাকিংয়ে লিপ্ত হয়। তারা সাধারণত সিস্টেমের দুর্বলতা সনাক্ত করে, তবে মালিকের অনুমতি ছাড়াই তা করে এবং কখনও কখনও অর্থ দাবি করে।


১৬। RAMROM এর মধ্যে পার্থক্যসমূহ ব্যাখ্যা করুন।

র‍্যাম (RAM)

রম (ROM)

১. রাম (RAM) এর পূর্ণনাম র‍্যানডম অ্যাকসেস মেমোরি (Random Access Memory)

১.রম (ROM) এর পূর্ণনাম রিড অনলি মেমোরি (Read Only Memory )

২. র‍্যামে ডেটা সংরক্ষণ এবং র‍্যাম থেকে ডেটা রিড (Read) সম্ভব।

২. সাধারণত রমে একবারই স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে যে কোনো সময় সংরক্ষিত ডেটা Read সম্ভব। তবে, পুনঃপুন ডেটা সংরক্ষণের সুবিধা সম্বলিত রমও রয়েছে।

৩. র‍্যাম উদ্বায়ী বা অস্থায়ী মেমোরি। অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে র‍্যামে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায়।

৩. রম উদ্বায়ী নয়। অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলেও রমে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় না।

৪. চলমান (Active) প্রোগ্রাম এবং পুনঃপুন পরিবর্তনশীল ডেটা র‍্যামে সংরক্ষণ করা হয়।

৪. সহজে পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না এমন ডেটা ও প্রোগ্রাম রমে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।


১৭। EU কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? EU ভুক্ত ৬টি দেশের নাম লিখুন।

উত্তরঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে এর পূর্বে ১৯৫৭ সালে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায় (EEC) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। EU প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হলো মাষ্ট্রিখট চুক্তি।


EU ভুক্ত ৬টি দেশের নাম হলো: ১) বেলজিয়াম, ২) ফ্রান্স, ৩) জার্মানি, ৪) ইতালি, ৫) লুক্সেমবার্গ, ৬) নেদারল্যান্ডস।


১৮। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোগুলো বর্ণনা করুন।

উত্তরঃ সাধারণভাবে স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় পর্যায়ে শাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা। স্থানীয় সমস্যা স্থানীয়ভাবে সমাধানের লক্ষ্যেই মূলত স্থানীয় সরকার কাজ করে।


বর্তমানে রাষ্ট্রের আয়তন বড় ও লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় কেন্দ্রে বসে সরকারের পক্ষে দেশের সকল অঞ্চলের সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই স্থানীয় পর্যায়ের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ কমে স্থানীয় সমস্যার সমাধানও সহজ হয়। এটি বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।


বাংলাদেশে গ্রাম ও শহরাঞ্চল উভয় ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার কাঠামো বিকশিত হয়েছে। নিচের ছকে উভয় অঞ্চলের স্থানীয় সরকারের কাঠামো দেখানো হলো।


বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে তিন স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকার কাঠামো চালু আছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তর হলো ইউনিয়ন পরিষদ। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে আছে উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পর্যায়ে আছে জেলা পরিষদ।


শহরাঞ্চলের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দুই ধরনের-পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন। আটটি (০৮টি) বিভাগীয় শহর ছাড়াও কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে সিটি কর্পোরেশন রয়েছে এবং পৌরসভাগুলো অন্যান্য শহর এলাকায় স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব পালন করে।


স্থানীয় সরকারের গঠন


একমাত্র জেলা পরিষদ ছাড়া স্থানীয় সরকারের অন্য সকল কাঠামোর নেতৃত্বই নির্বাচিত হন জনগণের সরাসরি ভোটে। এগুলোর প্রতিটিরই কার্যকাল পাঁচ বছর।


ইউনিয়ন পরিষদ: স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক স্তর হলো ইউনিয়ন পরিষদ। দেশে বর্তমানে ৪,৫৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একেকটি ইউনিয়ন গঠিত। ইউনিয়ন পরিষদ হলো গ্রামীণ এলাকার স্থানীয় সরকার। গ্রামীণ সমস্যা দূরীকরণ ও স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের বিকাশ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি এর মূল লক্ষ্য। নির্বাচিত ১ জন চেয়ারম্যান, ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৯ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনে তিন জন মহিলা সদস্যসহ সর্বমোট ১৩ জন নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। (উৎস: স্থানীয় সরকার বিভাগ)



উপজেলা পরিষদ: কয়েকটি ইউনিয়ন নিয়ে একটি উপজেলা গঠিত হয়। একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলার অন্তর্ভুক্ত সব ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং সকল মহিলা সদস্যের এক তৃতীয়াংশকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়। দেশে বর্তমানে মোট উপজেলা পরিষদের সংখ্যা ৪৯২টি।


জেলা পরিষদ: কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা গঠিত। দেশে ৬৪টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৬১টি স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে। খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি এই তিনটি জেলা পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। একজন চেয়ারম্যান এবং ২০ জন সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত। ২০ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচ জন হবেন মহিলা।


চেয়ারম্যানসহ সকলে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। জেলার অন্তর্গত সব মেয়র ও কাউন্সিলর, সব উপজেলার চেয়ারম্যান, সব পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ তাঁদের নির্বাচিত করেন। জেলার অন্তর্ভুক্ত সংসদ সদস্যগণ হবেন জেলা পরিষদের উপদেষ্টা।


পৌরসভা: শহর এলাকার স্থানীয় সরকার হিসাবে পৌরসভা গঠিত। বর্তমানে দেশে ৩২৭টি পৌরসভা আছে। একজন মেয়র, প্রতি ওয়ার্ড থেকে একজন করে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরদের নিয়ে পৌরসভা গঠিত হয়। আয়তন ও জনসংখ্যার তারতম্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন পৌরসভার সদস্য সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে।


সিটি কর্পোরেশন: বাংলাদেশে ১২টি সিটি কর্পোরেশন আছে। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ। প্রতিটিতে আছে একটি করে সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশনের প্রধানকে বলা হয় মেয়র। মেয়রের কাজে সাহায্যের জন্য আছে কাউন্সিলর। সিটি কর্পোরেশনের আয়তনের ভিত্তিতে কাউন্সিলরদের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে।


 

১৯। মুজিবঃ একটি জাতির রূপকার- বিষয়ে ০৮ টি বাক্য লিখুন।

উত্তরঃ --------


২০। মেগা প্রকল্প কি? সরকারের ০৬ টি মেগা প্রকল্পের নাম লিখুন।

উত্তরঃ যে প্রকল্পগুলিকে "বৃহৎ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত, ব্যাপক জটিলতাবিশিষ্ট (বিশেষত সাংগঠনিক দৃষ্টিকোণ থেকে) এবং অর্থনীতি, পরিবেশ এবং সমাজের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বিস্তারকারী" হিসেবে চরিত্রায়িত করা যায়, সেগুলিকে মেগাপ্রকল্প বা অতিমহাপ্রকল্প বলা হয়।


সরকারের ০৬ টি মেগা প্রকল্পের নাম

১। পদ্মা সেতু (Padma Bridge)

২। ঢাকা মেট্রোরেল (Dhaka Metro Rail)

৩। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র (Rampal Power Plant)

৪। পায়রা সমুদ্র বন্দর (Payra Seaport)

৫। কর্ণফুলী টানেল (Karnaphuli Tunnel)

৬। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প (Padma Bridge Rail Link Project)


২১। বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচী সম্বন্ধে লিখুন।

উত্তরঃ সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী হলো এমন একটি নিরাপদ বেড়াজাল, যার মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এটি কোনো দেশের সার্বিক সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা বা কর্মসূচির একটি অংশ মাত্র। দেশে দেশে নিজ জনগণের প্রয়োজন অনুসারে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়ে থাকে।


২২। Write a paragraph on 'Smart Bangladesh'.

'Smart Bangladesh'

Bangladesh is on a mission to become "Smart Bangladesh" by 2041. This ambitious project goes beyond just having fast internet and fancy gadgets. It's about using technology to improve every aspect of life for Bangladeshis. Imagine smart traffic lights that ease congestion, or farmers using sensors to optimize crop yields. Smart Bangladesh also means easy access to healthcare through telemedicine or online education for everyone. The government is committed to bridging the digital divide, ensuring everyone has the skills and tools to participate. This "Smart" vision isn't just about technology though. It's about creating a sustainable and equitable society where everyone benefits. By empowering its citizens and embracing innovation, Bangladesh hopes to fulfill the dream of "Sonar Bangla"


২৩। Make Sentence with each of the following phrase with Bengali meaning.

a) In a nutshell = সংক্ষেপে: I have done my in a nutshell.


b) Crocodile tears = মায়াকান্না: Your crocodile tears fool nobody.


c) Take after = সদৃশ হওয়া: The boy takes after his father.


d) ABC = প্রাথমিক জ্ঞান: Primary knowledge is necessary everyone for english learning.


e) Bring to light = প্রকাশ করা: At last all the facts were brought to light.


২৪। Fill in the gap with appropriate word/preposition:

a) My brother is an FCPS.


b) I am not bad at tennis.


c) He has no desire for fame.


d) He was accused of negligence.


e) Suddenly he burst into tears


২৫। Translate into English:

a) সে সাঁতার জানে না।

= He doesn't know how to swim.


b) বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ।

= Bangladesh is a democratic country.


c) দু'য়ে দু'য়ে চার হয়।

= Two and Two makes four.


d) চা একটি জনপ্রিয় পানীয়।

= Tea is a popular drink.


e) সে তিন দিন যাবৎ জ্বরে ভুগছে।

=He is suffering from fever for three days.


২৬। Change the following Sentence as directed:

a) I am not as brave as he. (Comparative) 

= He is braver than I.


b) Nobody dislikes him. (Affirmative) 

= Everyone likes him.


c) Karim is not better than him. (Positive) 

= He is just as good as Karim.


d) Take care of your health (Passive)

= Let your heath be taken care of.


e) Who does not love flowers? (Assertive)

= Everyone loves flowers.