বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ


বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

ভুল : তার এখন সঙ্কট অবস্থা।
শুদ্ধ : তার এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থা।
ভুল : তাহার জীবন সংশয়পূর্ণ।
শুদ্ধ : তাহার জীবন সংশয়ময়।
ভুল : আমি সাক্ষী দিয়েছি।
শুদ্ধ : আমি সাক্ষ্য দিয়েছি।
ভুল : সকল মানুষেরাই মরণশীল।
শুদ্ধ : মানুষ মরণশীল।
ভুল : ৫ জন ছাত্ররা স্কুলে যায়।
শুদ্ধ : ৫ জন ছাত্র স্কুলে যায়।
ভুল : চোরটি সব মালসুদ্ধ ধরা পড়েছে।
শুদ্ধ : চোরটি মালসুদ্ধ ধরা পড়েছে।
ভুল : রহিমা পাগলি হয়ে গেছে।
শুদ্ধ : রহিমা পাগল হয়ে গেছে।
ভুল : রাজা পাপিষ্ঠ রানীকে শাস্তি দিলেন।
শুদ্ধ : রাজা পাপিষ্ঠা রানীকে শাস্তি দিলেন।
ভুল : তুমি কী ঢাকা যাবে?
শুদ্ধ : তুমি কি ঢাকা যাবে?
ভুল : কি ভয়ানক বিপদ!
শুদ্ধ : কী ভয়ানক বিপদ!
ভুল : তাহার সাঙ্ঘাতিক আনন্দ হইল।
শুদ্ধ : তাহার প্রচুর আনন্দ হইল।
ভুল : ইক্ষুর চারা বপন করা হইল।
শুদ্ধ : ইক্ষুর চারা রোপন করা হইল।
ভুল : ছেলেটি ভয়ানক মেধাবী।
শুদ্ধ : ছেলেটি অত্যান্ত মেধাবী।
ভুল : আকণ্ঠ পর্যন্ত ভোজন করলাম।
শুদ্ধ : আকণ্ঠ ভোজন করলাম।

ভুল : সাবধানপূর্বক চলবে।
শুদ্ধ : সাবধানে চলবে।
ভুল : একটি গোপন কথা বলি।
শুদ্ধ : একটি গোপনীয় কথা বলি।
ভুল : হাসান হলো আমার ভ্রাতুষ্পুত্র।
শুদ্ধ : হাসান আমার ভ্রাতুষ্পুত্র।
ভুল : বিধি লঙ্ঘন হয়েছে।
শুদ্ধ : বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
ভুল : তিনি আমার বইটি প্রকাশিত করেছেন।
শুদ্ধ : তিনি আমার বইটি প্রকাশ করেছেন।
ভুল : সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শুদ্ধ : সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ভুল : বিবিধ জিনিসপত্র কিনলাম।
শুদ্ধ : বিবিধ জিনিস কিনলাম।
ভুল : আমি যেয়ে দেখি সব শেষ?
আমি গিয়ে দেখি সব শেষ?
ভুল : কুলাটা নারীকে বর্জন কর।
শুদ্ধ : কুলটাকে বর্জন কর।
ভুল : দুষ্কৃতিদের ছুটি দেওয়া উচিত নয়।
শুদ্ধ : দুষ্কৃতিকারীদের ছুটি দেওয়া উচিত নয়।
ভুল : অন্যায়ের ফল আবশ্যক।
শুদ্ধ : অন্যায়ের ফল অনিবার্য।

সূচনা: ব্যাকরণই ভাষার সংবিধান। ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের দ্বারাই বাংলা ভাষাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। বাংলাভাষাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়, শুদ্ধ কথা বলে বা লেখে। ব্যাকরণ জ্ঞান থাকলে ভাষার অশুদ্ধ প্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়। সে জন্য শব্দ ও বাক্যের নির্ভূল প্রয়োগের দ্বারা ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা যদি মাতৃভাষা বাংলাকে গভীর ভাবে ভালবাসে এবং যথাযথ অনুশীলন করে তা হলে শুদ্ধ বলা এবং লেখা অবশ্যই সম্ভব। বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ।

 প্রথমে জানতে হবে আমরা কী কী ভূল লিখি?
১. বানানের ভুল: বিভিন্ন কারণে বানান ভুল হয়ে থাকে। যেমন: (ক) বর্ণ প্রয়োগে ভুল (খ) যুক্ত ব্যঞ্জন ঠিকমতো চিনতে না পারার ভুল (গ) সন্ধিজাত ভুল (ঘ) প্রত্যয়জাত ভুল (ঙ) শব্দ রুপান্তর জাত ভুল (চ) উপসর্গজাত ভুল (ছ) বচনজাত ভুল (জ) লিঙ্গজনিত ভুল (ঝ) বিসর্গজাত ভুল (ঞ) ণত্ব-বিধান ও ষত্ব-বিধান জনিত ভুল (ট) সমাস জাত ভুল (ঠ) কারক ও বিভক্তি জনিত ভুল।

২. শব্দদ্বিত্ব: ৩. সমোচ্চারিত, ৪. বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে বাক্যে পদের অপপ্রয়োগ, ৫. বাক্যে পদবিন্যাসের ত্রুটি, ৬. ক্রিয়া পদের ভুল ব্যবহার, ৭. সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ, ৮. উপমা, উৎপ্রেক্ষা, প্রতীক ইত্যাদি অলঙ্কারের ভুল প্রয়োগ, ৯. এক কথায় প্রকাশ, বাগধারা ও প্রবাদজনিত ভুল, ১০. যতিচিহ্নের ব্যবহার জনিত ভুল।

বানান সমস্যা সমাধনের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগ্রহে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রথম ১৯৩৭ সালে, বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড ১৯৮৮ সালে এবং বাংলা একাডেমি ১৯৯২ ও ২০১২ সালে বাংলা বানানের কিছু নিয়ম বেঁধে দেন। ঐ নিয়মগুলো ছিল মূলত সুপারিশমূলক-বাধ্যতামূলক নয়। তদুপরি, তাঁরা বেশ কিছু শব্দের বিকল্প বানান নির্দেশ করায় সুপারিশ সমূহ সর্বজন কর্তৃক সুচারুরুপে পালিত হচ্ছে না। ফলে অশুদ্ধ প্রয়োগের মাত্রা ও হ্রাস পাচ্ছে না। আমাদের সকলেরই প্রয়োজন সেসব নিয়মগুলো আয়ত্ব করা।

 বাংলা বাক্য এবং শব্দের শুদ্ধি ও অশুদ্ধির নিয়মাবলি:
১. ‘ই’ ও ‘ঈ’ সংস্কৃতের ‘ইন’ প্রত্যয় যুক্ত শব্দের মধ্যকার ‘ন’ লোপ ই-কার থেকে যায়। এসব শব্দের শেষে বিশেষ্যবাচক ‘তা’ অথবা ‘ত্ব’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:

  • দুরদর্শী + তা = দুরদর্শিতা

  • মনোযোগী + তা = মনোযোগিতা

  • প্রতিযোগী + তা = প্রতিযোগিতা

  • পারদর্শী+তা = পারদর্শিতা

  • কৃতী+ত্ব = কৃতিত্ব

  • দ্বায়ী+ত্ব = দায়িত্ব

  • কৃতী+ত্ব কৃতিত্ব

২. সংস্কৃতের ‘ইন’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দের শেষে বাংলায় ‘ঈ’কার এসেছে। সংস্কৃতের অনুসরণে এ সব ই-কার বজায় থাকে কিন্তু বহু বচনের ক্ষেত্রে ‘ইন’ এর ‘ই’ কার লোপ পায় না। যেমন- প্রাণী, মন্ত্রী, শশী, পক্ষী, বহুবচনে- প্রাণিকুল, মন্ত্রিপরিষদ, শশিভূষণ, পক্ষিকুল ইত্যাদি।

৩. স্ত্রীবাচক ‘ইনি’ (ইণী) প্রত্যয়ের মাঝখানে ই-কার চলে। যেমন:

  • বিজয়+ইনী = বিজয়িনী

  • দুঃখী+ইনী = দুঃখিনী

  • বিরহ+ইনী = বিরহিনী

  • সহধর্মী+ইনী= সহধর্মিনী ইত্যাদি।

৪. সন্ধিতে বিসর্গ এর স্থলে মূর্ধন্য-ষ বসে। বিসর্গযুক্ত ই-কার বা উ-কার এর পর ক/খ/প/ফ এর যে কোনটি থাকলে বিসর্গ স্থানে ‘ষ’ হয়। যেমন:

  • বহিঃ+কার = বহিষ্কার

  • নিঃ +কর = নিষ্কর

  • দুঃ+কর = দুষ্কর

  • চতুঃ+পদ = চতুষ্পদ ইত্যাদি

৫. তালব্য-শ এর পরিবর্তে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন:

  • নির্দেশ  নির্দিষ্ট

  • বিনাশ  বিনষ্ট

  • উপবেশ  উপবিষ্ট ইত্যাদি।

৭. বিসর্গের পরে ‘ত’ বা ‘থ’ থাকলে ঐ বিসর্গের স্বানে ‘স’ হয়। যেমন:

  • নিঃ + তার = নিস্তার

  • তিরঃ + কার = তিরষ্কার

  • প্রঃ থান= প্রস্থান ইত্যাদি।

৮. ‘st’ যুক্ত বিদেশি শব্দে ‘স্ট’ লিখতে হবে। যেমন: মাস্টার, হোস্টেল, মিনিস্টার, স্টল, ডাস্টবিন ইত্যাদি।
বাক্যে পদের অপ প্রয়োগ: বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ।

১. বহুবচনের ভুল: বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ। অনেক সময় বিশেষণ পদটি স্বয়ং বহুবচনের কাজ করে। মুল শব্দটিকে বহুবচন পদে পরিণত করার প্রয়োজন পড়ে না। যেমন: সবগুলো আম, না লিখে লেখা উচিত সব আম অথবা আমগুলো। কয়েকটি উদাহরণ:
ভুল : সকল পাখিরা ঘর বাঁধে না।
শুদ্ধ : সকল পাখি ঘর বাঁধে না।
ভুল : সকল প্রাণিকুল রাতের বেলা বিশ্রাম নেয়।
শুদ্ধ : প্রাণিকুল/সকল প্রাণী রাতের বেলা বিশ্রাম নেয়।
ভুল : সকল শিক্ষক মন্ডলী উপস্থিত আছেন।
শুদ্ধ : সকল শিক্ষক/শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত আছেন।

২. বাক্যে শব্দের অপপ্রয়োগ:
ভুল : বাংলাদেশ একটি উন্নতশীল রাষ্ট্র।
শুদ্ধ : বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র।
ভুল : অপু মামলায় সাক্ষী দেবে।
শুদ্ধ : অপু মামলায় সাক্ষ্য দেবে।
ভুল : মেয়েটি ভয়ানক সুন্দরী
শুদ্ধ : মেয়েটি অনিন্দ্য সুন্দরী

৩. বাহুল্য শব্দ প্রয়োগজনিত অশুদ্ধি
ভুল : ছাত্ররা সবিনয়পূর্বক নিবেদন করল।
শুদ্ধ : ছাত্ররা সবিনয় নিবেদন করল।
ভুল : মেয়েটি নিদারুন সুবুদ্ধিমতী।
শুদ্ধ : মেয়েটি দারুন বুদ্ধিমতী।

৪. প্রবাদ প্রবচন জনিত অশুদ্ধি:
ভুল : গাছে কাঁঠাল চুলে তেল।
শুদ্ধ : গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
ভুল : অতি ভক্তি ডাকাতের লক্ষণ।
শুদ্ধ : অতিভক্তি চোরের লক্ষণ।
ভুল : কইয়ের তেলে মাছ ভাজা।
শুদ্ধ : কইয়ের তেলে কই ভাজা।
ভুল : বেয়াদবটাকে পূর্ণচন্দ্র দিয়ে বিদায় কের দাও।
শুদ্ধ : বেয়াদবটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দাও।

৫. লিঙ্গ জনিত অশুদ্ধি:
ভুল : ওর মতো বুদ্ধিমান তরুনী এই তল্লাটে নেই।
শুদ্ধ : ওর মতো বুদ্ধিমতি তরুণী এই তল্লাটে নেই।
ভুল : আজ আমার কনিষ্ঠ বোনের বাগদান অনুণ্ঠান।
শুদ্ধ : আজ আমার কনিণ্ঠা বোনের বাগদান অনুষ্ঠান।
ভুল : যে মেয়েটি বুদ্ধিমান তাকে দিয়ে কাজটি কর।
শুদ্ধ : যে মেয়েটি বুদ্ধিমতি তাকে দিয়ে কাজটি কর।
ভুল : তার মা খুব মহান নেত্রী ছিলেন।
শুদ্ধ : তার মা খুব মহিয়সী নেত্রী ছিলেন।
ভুল : তোমার তো আবার ষোলো মাসে বছর, সবকিছুতেই বিলম্ব।
শুদ্ধ : তোমার তো আবার আঠার মাসে বছর, সবকিছুতেই বিলম্ব।

৬. বিশেষণের দ্বিত্বজনিত অশুদ্ধি:
ভুল : সবিনয় নিবেদন পূর্বক জানাচ্ছি যে ——-
শুদ্ধ : সবিনয়ে জানাচ্ছি যে———-
ভুল : প্রতিপক্ষ দলের কথা সঠিক নয়।
শুদ্ধ : প্রতিপক্ষ দলের কথা ঠিক নয়।

সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণজনিত অশুদ্ধি- বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ
ভুল : লোকজন দেখে সন্ত্রাসীরা চলিয়া গেল।
শুদ্ধ : লোকজন দেখে সন্ত্রাসীরা চলে গেল।
ভুল : আত্মীয়রা শশ্মনে শব পোড়াচ্ছে।
শুদ্ধ : আত্মীয়রা শশ্মনে শব দাহ করছে।
ভুল : বাড়ির পাশেই ভীষণ অরণ্য।
শুদ্ধ : বাড়ির পাশেই ভীষণ জঙ্গল।

ভাষারীতি ও বানানের অশুদ্ধি:
ভুল : এ ঘটনা তোমার জন্য লজ্জাস্কর।
শুদ্ধ : এ ঘটনা তোমার জন্য লজ্জাকর/লজ্জাজনক।
ভুল : তোমার আচরণে আমি অত্যন্ত অপমান হয়েছি।
শুদ্ধ : তোমার আচরণে আমি অত্যন্ত অপমানিত হয়েছি।
ভুল : অনেক দিন পর তিনি আরোগ্য হলেন।
শুদ্ধ : অনেক দিন পর তিনি আরোগ্য লাভ করলেন।
ভুল : কীর্তিবাস প্রথম বাংলা রামায়ণ লিখেছেন।
শুদ্ধ : কৃত্তিবাস প্রথম বাংলা রামায়ণ লিখেছেন।
ভুল : আজকাল বানানের ব্যাপারে সকল ছাত্ররাই অমনোযোগী
শুদ্ধ : আজকাল বানানের ব্যাপারে সকল ছাত্রই অমনোযোগী

কতিপয় বাক্যের ভুল/অশুদ্ধি সংশোধন।
ভুল : অশ্রু জলে বুক ভেসে গেল। (রা.বো.০৪)
শুদ্ধ : অশ্রুতে বুক ভেসে গেল।
ভুল : অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার। (ঢা.বো.০৩)
শুদ্ধ : অন্নাভাবে ঘরে ঘরে হাহাকার।
ভুল : অতিশয় দুঃখিত হলাম। (ঢা.বো.০৩)
শুদ্ধ : অতিশয় দুঃখ পেলাম।
ভুল : অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। (ঢা.বো.০৩)
শুদ্ধ : অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।
ভুল : অপমান হবার ভয় নেই। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : অপমানিত হবার ভয় নেই।
ভুল : অধ্যায়নই ছাত্রদের তপস্যা। (ঢা.বো.০৩)
শুদ্ধ : অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা।
ভুল : আমি সন্তোষ হলাম। (ঢা.বো.০৩)
শুদ্ধ : আমি সন্তুুষ্ট হলাম।
ভুল : আমার আর বাঁচবার স্বাদ নাই। (রা.বো.০৪)
শুদ্ধ : আমার আর বাচিবার সাধ নাই।
ভুল : আমি এ ঘটনা চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেছি। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : আমি এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি।
ভুল : আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত।
ভুল : আসছে আগামীকাল কলেজ বন্ধ থাকবে। (চ.বো.০৮)
শুদ্ধ : আগামী কাল কলেজ বন্ধ থাকবে।
ভুল : আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্যতা উচতি নয়। (চ.বো.০৮)
শুদ্ধ : আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত।
ভুল : উৎপন্ন বৃদ্ধির জন্য কঠোর পরিশ্রম দরকার। (রা.বো.০৪)
শুদ্ধ : উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কঠোর পরিশ্রম দরকার।
ভুল : এ কথা প্রমান হয়েছে। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : এ কথা প্রমাণিত হয়েছে।
ভুল : এটা লজ্জাস্কর ব্যাপার। (চ.বো.০৮)
শুদ্ধ : এটা লজ্জাকর ব্যাপার।
ভুল : একের লাঠি দশের বোঝা । (রা.বো.০৪)
শুদ্ধ : দশের লাঠি একের বোঝা।
ভুল : এক অগ্রহায়নে শীত যায় না। (রা.বো.০৬)
শুদ্ধ : এক মাঘে শীত যায় না।
ভুল : চোরে চোরে খালাত ভাই
শুদ্ধ : চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
ভুল : এ বিষয়ে আমার কোন দৈন্যতা নেই। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : এ বিষয়ে আমার কোন দৈন্য/দীনতা নেই।
ভুল : কেই মরে বিল ছেঁচে, কেই খায় শিং। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : কেউ মরে বিল ছেঁচে, কেউ খায় কৈ।
ভুল : কুপুরুষের মতো কথা বলছ কেন? (রা.বো.০৪)
শুদ্ধ : কাপুরুষের মতো কথা বলছ কেন?
ভুল : কাব্যটির উৎকর্ষতা প্রশংসনীয়। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : কাব্যটির উৎকর্ষ প্রশংসনীয়।
ভুল : কালীদাস বিখ্যাত কবি। (রা.বো.০৪)
শুদ্ধ : কালিদাস বিখ্যাত কবি।
ভুল : কথাটি সঠিক নয়। (চ.বো.০৮)
শুদ্ধ : কথাটি সত্য নয়।
ভুল : কন্যার বাপ সবুর করতে পারতেন কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিল না।(চ.বো.০৩)
শুদ্ধ : কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না।
ভুল : গাছটি সমূলসহ উৎপাটিত হয়েছে। (কু.বো.০৮)
শুদ্ধ : গাছটি মুলসহ উৎপাটিত হয়েছে।
ভুল : গতকালের সভায় সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।(চ.বো.১০)
শুদ্ধ : গতকালের সভায় সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ভুল : গাছে কাঁঠাল মাথায় তেল। (চ.বো.০৮)
শুদ্ধ : গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
ভুল : গীতাঞ্জলী রবীঠাকুরের বিখ্যাত কাব্য।
শুদ্ধ : গীতাঞ্জলি রবিঠাকুরের বিখ্যাত গ্রন্থ।
ভুল : গীতাঞ্জলী পড়েছ কি? (চ.বো.০৫)
শুদ্ধ : গীতাঞ্জলি পড়েছ কি?
ভুল : দ্বাদশ শ্রেনীতে তেত্রিশ জন ছাত্র আছে তারমধ্যে তামি সবচেয়ে ভাল। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : দ্বাদশ শ্রেণিতে তেত্রিশ জন ছাত্র আছে, তাদের মধ্যে তামি সর্বোত্তম।
ভুল : তোমার মত বুদ্ধিমান বালিকা আমি আর দেখিনি। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : তোমার মতো বুদ্ধিমতি বালিকা আমি আর দেখিনি।
ভুল : তাকে স্বপরিবারে দাওয়াত কর। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : তাকে সপরিবারে দাওয়াত কর।
ভুল : তাহার সৌন্দর্য্যতায় মুদ্ধ হয়েছি। (রা.বো০৬)
শুদ্ধ : তার সৌন্দর্যে মুদ্ধ হয়েছি।
ভুল : তার বৈমাত্র সহোদর ডাক্তার। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : তার বৈমাত্র ডাক্তার।
ভুল :  তারা একত্রে গমন করল। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : তারা একত্র গমন করল।
ভুল : তাহার লেখা-পড়ায় মনযোগ নাই। (রা.বো.০৬)
শুদ্ধ : তাহার লেখাপড়ায় মনোযোগ নেই।
ভুল : তোমার তথ্য গ্রাহ্য যোগ্য নয়। (চ.বো.০৫)
শুদ্ধ : তোমার তথ্য গ্রহণ যোগ্য নয়।
ভুল : তিনি আরোগ্য হলেন।
শুদ্ধ : তিনি আরোগ্য লাভ করলেন।
ভুল : যে সব অর্থহীন বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।
শুদ্ধ : যে সব অর্থহীন বর্ণ বা র্বণসমষ্টি শব্দের পরে বসে শব্দ গঠন করে তাদের প্রত্যয় বলে।
ভুল : তিনি স্বস্ত্রীক বেড়াতে যাবেন। (চ.বো.০৫)
শুদ্ধ : তিনি সস্ত্রীক বেড়াতে যাবেন।
ভুল : দারিদ্রতাকে জয় করতে হলে পরিশ্রম কর। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : দারিদ্র্যকে/দরিদ্রতাকে জয় করতে হলে পরিশ্রম কর।
ভুল : দৈন্যতা প্রশংসনীয় নয়।
শুদ্ধ : দীনতা/দৈন্য প্রশংসনীয় নয়।
ভুল : দশ চক্রে ঈশ্বর ভুত। (কু.বো.০৮)
শুদ্ধ : দশ চক্রে ভগবান ভুত।
ভুল : নতুন নতুন ছেলেগুলো উৎপাত করছে। (চ.বো.০৮)
শুদ্ধ : নতুন ছেলেগুলো উৎপাত করছে।
ভুল : সকল ছাত্রগণ নিয়মিত স্কুলে যায় না।
শুদ্ধ : সকল ছাত্র নিয়মিত স্কুলে যায় না।
ভুল : সকল শিক্ষক মন্ডলীকে স্বাগত জানাই।
শুদ্ধ : সকল শিক্ষককে স্বাগত জানাই।
ভুল : যুদ্ধের বাজারে অনেকেই আঙ্গুল ফুলে আমগাছ হয়েছে।
শুদ্ধ : যুদ্ধের বাজারে অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
ভুল : শয়তানটাকে পূর্ণচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দাও।
শুদ্ধ : শয়তানটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দাও।
ভুল : মার্কিনরা স্বশিক্ষিত জাতি।
শুদ্ধ : মার্কিনরা শিক্ষিত জাতি।
ভুল : কৃপণের নিকট চাঁদা চাওয়া বনে ক্রন্দন মাত্র।
শুদ্ধ : কৃপণের নিকট চাঁদা চাওয়া অরণ্যে রোদন মাত্র।
ভুল : দেশের উন্নয়নে তারা নিজেকে নিয়োজিত করেছে।
শুদ্ধ : দেশের উন্নয়নে তারা নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছে।
ভুল : ধনে জনে চৌধুরী সাহেবের সংসার যেন চাঁদের বাজার।
শুদ্ধ : ধনে জনে চৌধুরী সাহেবের সংসার যেন চাঁদের হাট।
ভুল : পরপকার মনুষত্বের পরিচায়ক। (সি.বো.০৩)
শুদ্ধ : পরোপকার মনুষ্যত্বের পরিচায়ক।
ভুল : পরবর্তীতে আপনি এলে ভালো হবে। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : পরে আপনি এলে ভালো হবে।
ভুল : বিদ্যান র্শর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
শুদ্ধ : বিদ্বান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
ভুল : বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ। (চ.বো.১০)
শুদ্ধ : বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ।
ভুল : বাংলাদেশ একটি উন্নতশীল দেশ। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ।
ভুল : মেয়েটি বিদ্যান কিন্তু সুন্দরী নয়।
শুদ্ধ : মেয়েটি বিদুষী কিন্তু সুন্দরী নয়।
ভুল : মাদকাশক্তি ভাল নয়।
শুদ্ধ : মাদকাসক্তি ভাল নয়।
ভুল : মহারাজা সভাগৃহে প্রবেশ করিলেন। (রা.বো.০৬)
শুদ্ধ : মহারাজ সভাকক্ষে প্রবেশ করলেন।
ভুল : অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার। (ঢা.বো.০৩)
শুদ্ধ : অন্নাভাবে ঘরে ঘরে হাহাকার।
ভুল : সব মাছ গুলোর দাম কত? (কু.বো.০৫)
শুদ্ধ : সবগুলো মাছের দাম কত?
ভুল : সূর্য উদয় হয়েছে। (চ.বো.০৩)
শুদ্ধ : সূর্য উদিত হয়েছে।
ভুল : শ্বাশুড়ী বউকে দেখতে পারে না।
শুদ্ধ : শাশুড়ি বউকে দেখতে পারে না।
ভুল : মুহুর্তের মধ্যে এতকিছু ঘটে যাইবে বুঝিতে পারিনি।
শুদ্ধ : মুহুর্তের মধ্যে এতকিছু ঘটে যাবে, বুঝতে পারিনি।
ভুল : তুমি টাকাটা আত্বসাৎ করেছ।
শুদ্ধ : তুমি টাকাটা আত্মসাৎ করেছ।
ভুল : যথাসময়ে কাজ না করায় শেষে চক্ষুতে হলুদের ফুল দেখিতে লাগিলাম।
শুদ্ধ : যথা সময়ে কাজ না করায় শেষে চোখে সর্ষের ফুল দেখতে লাগলাম।
ভুল : অপব্যায় একটি মারাত্বক ব্যাধি
শুদ্ধ : অপব্যয় একটি মারাত্মক ব্যধি।
ভুল : যাবতীয় প্রাণিকুল এ গ্রহের বাসিন্দা। (চ.বো.০৩)
শুদ্ধ : সকল প্রাণী এই গ্রহের বাসিন্দা।
ভুল : রচনার উৎকর্ষতা অনস্বীকার্য। (সি.বো.০৩)
শুদ্ধ : রচনার উৎকর্ষ অনস্বীকার্য।
ভুল : রবীন্দ্রনাথ ভয়ংকর কবি ছিলেন। (চ.বো.০৮)
শুদ্ধ : রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি ছিলেন।
ভুল : বন ও জঙ্গলে এখন আর বাঘ থাকে না।
শুদ্ধ : বন-জঙ্গলে এখন আর বাঘ থাকে না।
ভুল : শুধুমাত্র এই কটা টাকা দিলে? (কু.বো.০৮)
শুদ্ধ : মাত্র এই কটা টাকা দিলে?
ভুল : শুধুমাত্র তুমি গেলেই হবে। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : শুধু তুমি গেলেই হবে।
ভুল : শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করবো। (কু.বো.১২)
শুদ্ধ : শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করব।
ভুল : সকল ছাত্রগণ ক্লাসে উপস্থিত ছিল।
শুদ্ধ : সকল ছাত্র ক্লাসে উপস্থিত ছিল।