০১। ডিজিটাল থিওডোলাইট কি?
উত্তর : ডিজিটাল থিওডোলাইট হলো একটি কোণ মাপক যন্ত্র। যার সাহায্যে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ডিসেপ্ল প্যানেল থেকে সরাসরি কোন স্টেশনদ্বয়ের মধ্যবর্তী কোণ পরিমাপ করা যায়।
০২। ডিজিটাল থিওডোলাইট সমন্বয়ন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: ডিজিটাল থিওডোলাইটের সমন্বয়ন ২ প্রকার। যথা-
১। স্থায়ী সমন্বয়ন।
২। অস্থায়ী সমন্বয়ন।
০৩। ডিজিটাল থিওডোলাইটের অস্থায়ী সমন্বয়নের ধাপগুলো লিখ।
উত্তর: ডিজিটাল থিওডোলাইটের অস্থায়ী সমন্বয়নের ধাপগুলো হলো-
১। তেপায়ায় যন্ত্র আটকানো।
২। তেপায়া সমন্বয়ন।
৩। সমতলকরণ।
৪। অভিনেত্র কাচ ফোকাসকরণ।
৫। অভিলক্ষ্য কাচ ফোকাসকরণ।
০৪। ডিজিটাল থিওডোলাইটের মৌলিক রেখাগুলো কি কি?
উত্তর: ডিজিটাল থিওডোলাইটের মৌলিক রেখাগুলো হলো-
ক) বাবল টিউব বা বাবল অক্ষ
খ) কলিমেশন রেখা
গ) উলম্ব অক্ষ
ঘ) দূরবীন অক্ষ
০৫। ডিসপ্লে প্যানেল কি?
উত্তর: ডিজিটাল থিওডোলাইটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে (LCD) নামে পরিচিত। অপারেশন প্যানেলের তথ্যাদি ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হয়।
০৬। অ্যাঙ্গেল মেজারিং মোড বলতে কি বুঝায়?
উত্তর : এটি ডিজিটাল থিওডোলাইটের একটি কি অপশন। যার মাধ্যমে অনুভূমিক কোণ, উলম্ব কোণ ও জেনিথ অ্যাঙ্গেল এর পাঠ গ্রহণ করা যায়।
০৭। অপটিক্যাল প্লামেট কি?
উত্তর: অপটিক্যাল প্লামেটের সাহায্যে যন্ত্রকে কোনো স্টেশনে সঠিক ভাবে সেন্টারিং করা যায়।
০৮। ডিজিটাল থিওডোলাইট এর মৌলিক রেখাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক কি?
উত্তর: ডিজিটাল থিওডোলাইটের মৌলিক রেখাগুলোর সম্পর্ক:
১। বাবল অক্ষ কলিমেশন রেখার সাথে সমান্তরাল হবে।
২। কলিমেশন রেখা দূরবীন অক্ষ একই রেখায় থাকবে।
৩। বাবল অক্ষ ও উলম্ব অক্ষ পরস্পর লম্ব হবে।
০৯। ডিজিটাল থিওডোলাইট ও অন্যান্য থিওডোলাইটের পার্থক্য লিখ।
উত্তর: ডিজিটাল থিওডেলাইট ও অন্যান থিওডোলাইটর পার্থক্য:
ডিজিটাল থিওডোলাইট
০১। ডিজিটাল থিওডোলাইট দ্বারা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাঠ গ্রহণ করা হয়।
০২। এতে ডিসপ্লে প্যানেল হতে কোণের পাঠ গ্রহণ করা হয়।
০৩। পাওয়ার হিসেবে ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়।
০৪। এতে এক সেকেন্ড (1") পর্যন্ত পাঠ গ্রহণ সম্ভব।
০৫। ডিজিটাল থিওডোলাইটের গৃহীত ডাটা ডিস্কের মাধ্যমে সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করা যায়।
০৬। সূক্ষ্মতার মাত্রা বেশী।
০৭। দ্রুত পাঠ গ্রহণ করা যায়।
অন্যান্য থিওডোলাইট
০১। অন্যান্য থিওডোলাইটে দাগকাটা ভাগচক্রের মাধ্যমে পাঠ গ্রহণ করা হয়।
০২। এতে খোলাভাবে অথবা রিডিং মাইক্রোস্কপ এর মাধ্যমে পাঠ গ্রহণ করা হয়
০৩। পাওয়ার হিসেবে ব্যাটারীর প্রয়োজন হয় না
০৪। পাঁচ মিনিট পর্যন্ত কোণের মান পাওয়া যায়। তবে ভার্নিয়ার ব্যবহার করলে এক সেকেন্ড পর্যন্ত পাঠ গ্রহণ করা যায়।
০৫। ডাটা স্থানান্তর বা সংরক্ষণ করা যায় না।
০৬। সূক্ষ্মতার মাত্রা কম।
০৭। সময় বেশী লাগে।
১০। লম্বন (Parallax) জনিত সংশোধনীর বর্ণনা দাও।
উত্তর: এটি এক ধরনের দুর্বল ফোকাসিং জনিত ত্রুটি। অভিলক্ষ্য কাচ কর্তৃক সৃষ্ট প্রতিবিম্ব যদি ডায়াফ্রামের তলে সঠিকভাবে পতিত না হয়। তবে আপাত দৃষ্টিতে চোখ উপরে নিচে নাড়াচাড়া করলে দেখা যাবে যে, প্রতিবম্বটি প্রায় ক্রসহেয়ারের তুলনায় কাঁপছে বা উঠা নামা করছে। দুর্বল ফোকাসিং এর কারণেই এরূপ হয়ে থাকে। ফোকাসিং জনিত এ ত্রুটিকে প্যারালাক্স (Parallax) বা লম্বন ত্রুটি বলে।
লম্বনজনিত ত্রুটি দূর করতে হলে প্রথমে অভিনেত্র কাচকে সঠিকভাবে ফোকাস করে ক্রস হেয়ারকে স্পষ্ট করতে হবে। অভিলক্ষ্য কাঁচকে ফোকাস করে প্রতিবম্বকে ডায়াফ্রাম তলে আনতে হবে।
১১। প্রকৃত বিয়ারিং বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: প্রকৃত উত্তর রেখার সাথে ডানাবর্তে ঘুরে কোন রেখা যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে প্রকৃত বিয়ারিং (True bearing) বলে।
১২। পিপ সাইট কি?
উত্তর: টার্গেটবস্তুকে যার সাহায্যে টেলিস্কোপের বাহির দিক দিয়ে নিশানা করা যায় তাকে পিপ সাইট (Peep Sight) বলে।
১৩। রিফ্লেক্টর কি?
উত্তর: যে মসৃন তলে আলোর প্রতিফলন ঘটে। তাকে প্রতিফলক বা রিফ্লেক্টর বলে।
১৪। EDM সেটিং এর প্যারামিটার বিষয়গুলো কি কি?
উত্তর: EDM সেটিং প্যারামিটার বিষয়গুলো হলো:-
1. Mode (Distance Measurement Mode)
2. Reflector (Prism/Sheet)
3. PC-30 (Prism Constant)
4. Tem (Temperature)
5. Press (Pressure/Air Pressure)
6. PPM (Atmospheric Correction Factor)
১৫। টোটাল স্টেশন কি?
উত্তর: টোটাল স্টেশন একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ডিজিটাল জরিপ যন্ত্র। এর সাহায্যে প্রায় সব ধরনের জরিপ কাজ করা যায়। এতে গৃহীত পাঠের ফলাফল স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যায়।
১৬। টোটাল স্টেশনের সুবিধা কি?
উত্তর: টোটাল স্টেশনের বিশেষ সুবিধা হলো এটি একবার সেটিং করলে এর পরিদৃশ্যতার আওতায় সব স্টেশনের সকল ধরনের তথ্যাদি স্বয়ংক্রিয়, নিখুঁত, সূক্ষ্মভাবে মাপা যায়।
১৭। টোটাল স্টেশনের মৌলিক রেখাগুলো কি কি?
উত্তর: টোটাল স্টেশনের মৌলিক রেখাগুলো হলো।
ক) বাবল অক্ষ
খ) উলম্ব অক্ষ
গ) টিল্ট সেন্সর অক্ষ
ঘ) অপটিক্যাল প্লামেট অক্ষ
ঙ) রেটিক্যাল অক্ষ
চ) কলিমেশন রেখা
১৮। অপারেশন প্যানেল কি?
উত্তর: যে প্যানেলে বিভিন্ন ধরনের বাটন বা কী (Key) থাকে এবং ঐ কী গুলো চেপে যন্ত্র অপারেশন করা হয়। সে প্যানেলকে অপারেশন প্যানেল বলে।
১৯। টোটাল স্টেশনের সমন্বয়ন গুলো কি কি?
উত্তর: টোটাল স্টেশনের সমন্বয়ন গুলো হলো:
ক) সার্কুলার লেভেলের সমন্বয়ন
খ) প্লেট লেভেলের সমন্বয়ন
গ) কলিমেশন রেখার সমন্বয়ন
ঘ) রেটিক্যালের সমন্বয়ন।
ঙ) অপটিক্যাল প্লামেট সমন্বয়ন
চ) টিল্ট সেন্সর এর সমন্বয়ন।
২০। টোটাল স্টেশনের ৫টি অংশের নাম লিখ।
উত্তর: টোটাল স্টেশনের ৫টি অংশের নাম
ক) ডিসপ্লে
খ) অপারেশন প্যানেল
গ) প্লেট লেভেল
ঘ) বেসপ্লেট
৫) টেলিস্কোপ
২১। জরিপ কাজে টোটাল স্টেশনের ব্যবহার লিখ।
উত্তর: জরিপ কাজে টোটাল স্টেশনের ব্যবহার
ক) অনুভূমিক কোণ পরিমাপ করণ
খ) অনুভূমিক দৈর্ঘ্য পরিমাপ করণ
গ) উলম্ব উচ্চতা পরিমাপকরণ।
ঘ) জেনিথ কোণ পরিমাপকরণ
ঙ) স্থানাঙ্ক/কৌনিক স্থানাঙ্ক পরিমাপকরণ।
২২। GPS কি?
উত্তর: GPS এর পূর্ণরূপ হলো Global Positioning System যা একটি অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। যার সাহায্যে যে কোন আবহাওয়ায় দিন বা রাত্রির যে কোন সময়ে ভুপৃষ্ঠের যে কোন স্থানে অবস্থিত বাক্তি বা বস্তুর অবস্থান তাৎক্ষনিকভাবে সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম।
২৩। জিপিএস রিসিভারের বিভিন্ন অংশগুলোর নাম লিখ।
উত্তর: জিপিএস রিসিভারের অংশগুলো হলো:
1. GPS Antenna
2. ENTER Key
3. NAV Key
4. MARK Key
5. LIGHT Key
6. GOTO Key
7. PWR Key
8. MENU Key
9. ARROW Key
২৪। জিপিএস রিসিভারের কাজ কি?
উত্তর: জিপিএস রিসিভারের কাজ:
১। কোন স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়।
২। দূরত্ব ও গতি নির্ণয়।
৩। কোন স্থানের সময় ও তারিখ নির্ণয়।
৪। ভ্রমণের দিক ও বিয়ারিং নির্ণয়।
২৫। জিপিএস এর সাহায্যে কি কি তথ্যাদি পাওয়া যায়?
উত্তর: জিপিএস ব্যবহার করে যে সকল তথ্যাদি পাওয়া যায় তা হলো- কোন স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, উচ্চতা, ভ্রমনের দূরত্ব, গতি, উত্তর দিক নির্দেশনা, সময় ও তারিখ।
২৬। GPS এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর: GPS এর পূর্ণরূপ হলো Global Positioning System.
২৭। বাঁক বলতে কি বুঝায়?
উত্তর : কৌণিকভাবে মিলিত দুটি সরল রেখাকে যে বৃত্তাকার বা অধিবৃত্তাকার চাপে সংযোগ দিলে দুটি যথাক্রমে চাপের প্রারম্ভ ও সমাপ্তি বিন্দুতে স্পর্শক হয়। তাকে বাঁক বলে।
২৮। বৃত্তাকার বাঁক কাকে বলে?
উত্তর: এক বা একাধিক বৃত্তের চাপে কৌণিকভাবে মিলিত দুটি সরল রেখাকে সংযোগ করলে যদি সরলরেখা দুটি সংযোগ বিন্দুদ্বয়ের স্পর্শক হয়, তবে ঐ সংযোগ অংশকে বৃত্তাকার বাঁক বলে।
২৯। ডিগ্রি অব কার্ড বা বাঁকের ডিগ্রি কি?
উত্তর: বাঁকের ৩০ মিটার জ্যা কেন্দ্রে যত ডিগ্রি কোণ উৎপন্ন করে তাকে বাকের ডিগ্রি বা ডিগ্রি অব কার্ড বলে।
D= 1719R এখানে
R = বাঁকের ব্যাসার্ধ
D = বাঁকের ব্যাস
৩০। বৃত্তাকার বাঁক কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: বৃত্তাকার বাঁক তিন প্রকার। যথা-
ক) সরল বাঁক।
খ) যৌগিক বাঁক।
গ) বিপরীত বাঁক।
৩১। যৌগিক বাক কি?
উত্তর: সাধারণ স্পর্শকের একই দিকে অবস্থিত দুটি ভিন্ন ব্যাসার্ধের বৃত্তচাপের মাধ্যমে গঠিত একই দিকে বাকাঁনো বাকঁকে যৌগিক বাঁক বলে।
৩২। বিপরীত বাঁক কি?
উত্তর: সাধারণ স্পর্শকের বিপরীত দিকে অবস্থিত দুটি সমান বা ভিন্ন ব্যাসার্ধের বিপরীতমুখী চাপের মাধ্যমে গঠিত বাঁককে বিপরীত বাঁক বলে।
৩৩। ক্রান্তিবাঁক কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: ক্রান্তিবাঁক তিন প্রকার। যথা-
১। সর্পিল
২। ত্রিমাত্রিক অধিবৃত্ত
৩। লেমনিস্কেট বা বার্নোলি।
৩৪। 1° বাঁক বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: বাঁকের ৩০ মিটার জ্যা কেন্দ্রে 1° পরিমাণ কোন উৎপন্ন করে তবে বাঁকাটি 1° বাঁক।
৩৫। 5° বাঁকে ব্যাসার্ধ কত?
উত্তর: R = 1719D
= 17195 = 343.8 মিটার।
৩৬। বৃত্তাকার বাঁকের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: বৃত্তাকার বাকের বৈশিষ্ট্য হলো:
ক. বাঁকের মাত্রা বাড়লে ব্যাসার্ধ বাড়বে।
খ. একই দৈর্ঘ্যের জ্যা এর কেন্দ্রস্থ কোণের পরিমাণ বাড়লে বাঁকের ব্যাসার্ধ কমবে।
গ. একই দৈর্ঘ্যের জ্যা এর জন্য কেন্দ্রস্থ কোণের পরিমাণ কমলে ব্যাসার্ধ বাড়বে।
৩৭। বাঁকের প্রয়োজনীয়তা লিখ।
উত্তর: বাঁকের প্রয়োজনীয়তা হলো-
১. রাস্তার দৈর্ঘ্য হ্রাস করণে বাঁকের প্রয়োজন।
২. রাস্তায় দিক পরিবর্তনে যাত্রীদের আরামপ্রদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তার জন্য বাঁক প্রয়োজন হয়।
৩. খালের পাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।
৪. দূর্ঘটনা হতে যানবাহনকে রক্ষা করতে।
৫. দু-অনুভূমিক তলের দুটি রাস্তাকে সহজ সংযোগ দিতে বাঁকের প্রয়োজন।
৩৯। প্রমাণ কর যে, বাঁকের ব্যাসার্ধ, R = 1719D অথবা, বাঁকের ব্যাসার্ধ এবং বাঁকের ডিগ্রির সম্পর্ক কি?
উত্তর: 30 মি জ্যা বিবেচনায়, আমরা জানি,
বৃত্তের কেন্দ্রীয় কোণ: জ্যা এর কেন্দ্রীয় কোণ বৃত্তের পরিধি: জ্যা এর দৈর্ঘ্য
PIC
⇒360°: D° = 2πR: 30,
⇒ 360°D° = 2R30
⇒ R = 360°×302π×D
= 1719D (প্রমাণিত)
৪০। প্রমাণ কর যে, বাঁকের কেন্দ্রীয় কোণ, প্রতিসরণ কোণের সমান।
উত্তর: চতুর্ভুজ AOBF
PIC
⇒∠OAF+∠AFB+∠FBO+∠BOA=360°
⇒90°+θ+90°+∆=360°
⇒θ+∆=180°
⇒θ+∆=θ+Φ [:θ+Ф = 180°
⇒ ∆=θ
.. কেন্দ্রীয় কোণ (△) = প্রতিসরণ কোণ (Ф) (প্রমাণিত)।
৪১। প্রমাণ কর যে, বাঁকের কেন্দ্রীয় কোণ মোট স্পর্শক কোণের দ্বিগুণ।
উত্তর: ত্রিভুজ ABF' হতে,
∠FAB+ ∠AFB + ∠FBA=180°
⇒γ+θ+γ=180°
⇒2y+θ=180°
Again
⇒2y+θ=θ+∆
⇒∆=2y
.. কেন্দ্রীয় কোণ (∆) মোট স্পর্শক কোণের (y) দ্বিগুণ। (প্রমাণিত)।
৪২। একটি রাস্তাকে 4° বৃত্তাকার বাঁক দ্বারা সংযুক্ত করতে হবে। রাস্তা দুটির 145° কোণে মিলিত হয়।বাঁকের বহিঃত্র দূরত্ব এবং দীর্ঘ জ্যা এর দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর।
সমাধানঃ-
দেওয়া আছে
D=4°
R= 17194 =429.75m
প্রতিসরণ কোণ, θ=180°-145°=35°
... বাঁকের বহিঃস্থ দূরত্ব = R(Sec2-1)
= 429.75(Sec 35°2-1)=20.86m
দীর্ঘজ্যা
= 2R sin 2
= 2x429.75xsin 352
= 25.8.46m-উত্তরঃ-
৪৩। একটি বাকের স্পর্শক দৈর্ঘ্য 222 মিটার প্রতিসরণ কোণ 62° হলে, বাঁকের দৈর্ঘ্য কত?
সমাধানঃ-
আমরা জানি,
T=Rtan 2
⇒222=Rtan 6202
R=369.47m.
.. বাকের দৈর্ঘ্য, 1= R∅180°
= π×369.47 × 62°180°
= 400m Ans:-
৪৪। দুটি রাস্তার প্রতিসরণ কোণ 75°। এদের 5° বাঁক দ্বারা সংযুক্ত করলে দীর্ঘ জ্যা ও বাঁকের দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর।
সমাধানঃ-
দীঘ জ্যা
L=2R sin ∅2
=2x343.8x sin 7502
=418.58 মিটার
বাঁকের দৈর্ঘ্য, 1= R∅180°
= π×343.8 × 75°180°
= 450m Ans:-
৪৫। কখ রেখার বিয়ারিং 60° এবং গ খ রেখার বিয়ারিং 280°। একটি 6° বৃত্তাকার বাঁক দিয়ে এগুলোকে সংযোগ করলে বাঁকের দৈর্ঘ্য কত?
সমাধানঃ-
গখ রেখার বিয়ারিং = 280°
খগ রেখার বিয়ারিং = 280°-180° = 100°
প্রতিসরণকোণ = 100° - 60° = 40°
R = 1719 6 = 286.5m
বাঁকের দৈর্ঘ্য 1= πRθ180°
= π×286.5 × 62°180°
= 200m Ans:-
৪৬। AB এবং CB রেখাদ্বয়ের বিয়ারিং যথাক্রমে 60° এবং 260°। প্রতিসরণ কোণের মান কত হবে?
সমাধানঃ-
CB রেখার বিয়ারিং = 260°
.. BC রেখার বিয়ারিং = 260°-180° = 80°
* প্রতিসরণ কোণ, ∅ = 80°-60° = 20°
৪৭। দুটি রাস্তার প্রতিসরণ কোণ 60° 30′। এদের 4° বাঁক দ্বারা সংযুক্ত করলে বাঁকের দৈর্ঘ্য ও স্পর্শক দৈর্ঘ্য কত হবে?
উত্তর:
৪৮। কোথ একটি সরল বাঁকের প্রতিসরণ কোণ 25°30′। যদি বাঁকের দৈর্ঘ্য 120 মি. হয়, তবে বাঁকের মাত্রা (Degree of Curve) কত হবে?
৪৯। বাঁক সংস্থাপন কি?
উত্তর: বাঁকের বিভিন্নাঙ্গের মাপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর খুঁটি বসিয়ে চিহ্নিতকরণ কেই বাঁক স্থাপন বলে।
৫০। প্রকৌশলীগণ বাঁকের ডিগ্রি নির্ধারণে কি কি বিষয় বিবেচনা করেন।
উত্তর: প্রকৌশলীগণ বাঁকের ডিগ্রি নির্ধারণে নিম্নোক্ত বিষয় বিবেচনা করেন।
ক) রাস্তার বৈশিষ্ট্য
খ) গাড়ীর গতিবেগ
গ) কেন্দ্রাতিগ বলের অনুপাত
ঘ) সুপার এলিভেশন
ঙ) দৃশ্যমান দূরত্ব
৫১। 60 মি. দীর্ঘ জ্যা বিশিষ্ট একটি সরল বৃত্তাকার বাঁকের ভারসাইন 3 মি। 5 মিটার পর পর অর্ডিনেট নিয়ে বাঁক সংস্থাপনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদী নির্ণয় কর।
Solution
দেওয়া আছে
L = 60 মিটার।
L/2 = 30m মিটার।
Vs = 3m.
আমরা জানি,
R-V1= R2-(L2)2
⇒(R-3)² = R2-302
⇒R2-6R+9= R2-900
⇒R=151.5m
R-Vs=151.5-3=148.5m
Again -
Ox=√R²-x²-(R-Vs)
05=√151.52-148.5=2.917m
010= √151.52-102-148.5 = 2.67m
015=√151.52-152-148.5=2.256m
020=151.52-202-148.5=1.674m
025=√151.52-252-148.5=0.92m
030 = 151.52-302-148.5=0
৫২। রৈখিক পদ্ধতিতে বাঁক সংস্থাপনের প্রক্রিয়া কি কি?
উত্তর: রৈখিক পদ্ধতিতে বাঁক সংস্থাপনের প্রক্রিয়া হলো:
ক) দীর্ঘ জ্যা হতে অফসেটের সাহায্যে
খ) স্পর্শক হতে অফসেটের সাহায্যে
গ) জ্যা কে একাদিক্রমে দ্বিখন্ডিত করে
ঘ) বর্ধিত জ্যা হতে অফসেটের সাহায্যে।
৫৩। কৌণিক পদ্ধতিতে কি কি প্রক্রিয়ায় বাঁক সংস্থাপন করা যায়?
উত্তর: চার প্রক্রিয়ায় কৌণিক পদ্ধতিতে বাঁক সংস্থাপন করা হয়।
ক) এক থিওডোলাইট পদ্ধতি
খ) দুই থিওডোলাইট পদ্ধতি
গ) ট্যাকোমেট্রিক পদ্ধতি
ঘ) টোটাল স্টেশন ইনস্ট্রমেন্ট পদ্ধতি।
৫৪। একটি বৃত্তাকার বাঁকের ব্যাসার্ধ ও দৈর্ঘ্য যথাক্রমে 286.5 মি. এবং 132.94 মিলে, =?
৫৫। দুই থিওডোলাইট পদ্ধতির অসুবিধা লিখ:
উত্তর: দুই থিওডোলাইট পদ্ধতির অসুবিধা:
১। এ পদ্ধতিতে দুটি থিওডোলাইটের প্রয়োজন হয় বিধায় কাজ জটিল ও কষ্টসাধ্য।
২। থিওডোলাইট ব্যবহারে দক্ষ জরিপকারীর প্রয়োজন হয়।
৩। এক থিওডোলাইট পদ্ধতির তুলনায় সময় এবং খরচ অধিক হয়।
৫৬। শিফট বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: সোজাপথ ও বৃত্তাকার পথের মাঝে ক্রান্তি বাঁকের মাধ্যমে সংযোগ দিতে হলে বৃত্তাকার বাঁককে আদি অবস্থান হতে বাঁকের কেন্দ্রের দিকে কিছুদূর সরিয়ে আনতে হয়। ক্রান্তি বাঁকের সাথে সংযোগ দেয়ার নিমিত্তে বৃত্তাকার বার্ককে আদি অবস্থান হতে যে পরিমাণ দূরত্ব ভিতরের দিকে সরাতে হয়। এ সরানোর পরিমাণকে শিফট বলে।
৫৭। স্পাইরাল কোণ বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: ক্রান্তিবাঁক ও বৃত্তাকার বাঁকের সংযোগ বিন্দুতে অভিকত সাধারণ স্পর্শক মূল স্পর্শক বা সরল পথের সাথে যে প্রতিসরণ কোণের সৃষ্টি করে। তাকে স্পাইরাল কোণ বলে।
স্পাইরাল কোণ, ∆s= L2R
৫৮। শিফটের সূত্রটি লিখ:
উত্তর: শিফট S = L224R
L = ক্রান্তি বাঁকের দৈর্ঘ্য
R = বাঁকের ব্যাসার্ধ
৫৯। ক্রান্তি বাঁক কি?
উত্তর: রাস্তার সরল অংশ ও বৃত্তাকার বাঁকের মধ্যে বা যৌগিক বা বিপরীত বাঁকের দু বৃত্তচাপের মাঝে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তনশীল ব্যাসার্ধের যে অধিবৃত্তাকার বাঁক স্থাপন করা হয়, ঐ পরিবর্তনশীল ব্যাসার্ধের বাঁককে ক্রান্তিবাক (Transition Curve) বলে।
৬১। কেন্দ্রাতিগ অনুপাত কি?
উত্তর: কেন্দ্রাতিগ বল (P) এবং গাড়ীল ওজন W এর অনুপাতকে কেন্দ্রাতিগ অনুপাত বলে। অর্থাৎ কেন্দ্রাতিগ
অনুপাত P/w সড়কের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 1/4 মান এবং রেলপথের ক্ষেত্রে 1/৪
৬১। সুপার এলিভেশন বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: সুপারি এলিভেশনের নিম্নোক্ত বিষয় নির্ভর করে:
উত্তর: বাঁকে রেলপথ বা রাস্তার ভিতরের দিক অপেক্ষা বাহিরের দিকে যে পরিমাণ উঁচু করা হয় তাকে সুপার এলিভেশন (Super Elevation) বা ক্যান্ট বলে।
৬২। সুপার এলিভেশন কি কি বিষয়ের নির্ভর করে?
ক) গাড়ীর গতিবেগ
খ) রাস্তার প্রন্থ
গ) বাঁকের ব্যাসার্ধ/বাঁকের ডিগ্রি
ঘ) বাঁকের ঢাল।
ঙ) ঘর্ষণ সহগ।
৬৩। ক্রান্তিবাঁকের প্রয়োজনীয়তা লিখ
উত্তর: ক্রান্তি বাঁকে প্রয়োজনীয়তা:
১। সরল পথ হতে বৃত্তাকার পথে এবং বৃত্তাকার পথ হতে সরল পথে গাড়ীকে সহজ এবং আরামদায়ক চলাচলের সুবিধা দানের জন্য।
২। বক্রপথে চলাচলে গাড়ীকে দূর্ঘটনার হাত হতে রক্ষা করার জন্য।
৩। বাঁকের মাত্রা শূন্য হতে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে বৃত্তাকার বাঁকের প্রারম্ভেই বৃত্তাকার বাঁকের সমপরিমাণে আনয়নের। জন্য।
৪। গতিজড়তার জন্য যাত্রীদের অবাঞ্চিত ঝাঁকুনী ও হেলে পড়া হতে রক্ষা করার জন্য।
৬৪। ক্রান্তিবাঁকের বৈশিষ্ট্য লিখ
উত্তর: ক্রান্তি বাঁকের বৈশিষ্ট্য
১। এটা মূল সরলরেখার সাথে স্পর্শক হবে।
২। এটা বৃত্তাকার বাঁকের সাথে স্পর্শক হিসাবে মিলিত হবে।
৩। মূল সরল রেখার সাথে সংযোগস্থলে বাঁকের মাত্রা শুন্য হবে।
৪। বৃত্তাকার বাঁকের সাথে এর সংযোগ কালে এর ব্যাসার্ধ বৃত্তাকার বাঁকের ব্যাসার্ধের সমান।
৫। ক্রান্তি বাঁকের মাত্রা বৃদ্ধির হার সুপার এলিভেশনের বৃদ্ধির হারের সাথে সমানুপাতিক হবে।
৬৫। সুপার এলিভেশনের প্রয়োজনীয়তা লিখ।
উত্তর: সুপার এলিভেশনের প্রয়োজনীয়তা।
১। যাত্রী, মালামাল বহন সহজতর, নিরাপদ ও আরামদায়ক করা;
২। যানবাহনের উভয় চাকায় সমভাবে ভার পড়ার উপযোগী করা।
৩। যানবাহন ও সড়কের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে উভয়ের মেরামত খরচ হ্রাস করা।
৪। কেন্দ্রাতিগ বল এবং কেন্দ্রমুখী বলের সমতাকরণের মাধ্যমে দ্রুতগামী যানবাহনের গতি মন্থর না করে চলাচলের সুযোগ দান করা।
৬৬। একটি 280 মিটার ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার বাঁকের উভয় পাশে ক্রান্তি বাঁক আছে। গাড়ীর গতিবেগ ঘন্টায় 62km/hour হলে ক্রান্তি বাঁকের দৈর্ঘ্য ও শিফ্ট নির্ণয় কর।
a=0.3m/sec²/sec
Solution:
বাকের দৈর্ঘ্য
L= V3aR
= 17.2220.3×280
= 60.80 মিটার। (উত্তর)
শিফট:
S= L224R
= 60.80224×280 =0.55 মিটার
৬৭। 3° বৃত্তাকার বাঁকের সাথে একটি ক্রান্তি বাঁক সংযুক্ত হবে। গাড়ীর ডিজাইন গতিবেগ 60km/hr. ত্বরণ পরিবর্তনের হার 0.03m/sec ক্রান্তি বাঁকের দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর।
৬৮। উলম্ব বাঁক কি?
উত্তর: রেলপথ বা সড়ক পথে বিপরীত দুটি ঢাল বা নিম্নমুখী বা উর্ধ্বমুখী দুটি ঢাল একত্রে মিলিত হলে সংযোগস্থলে খাড়া কোণের সৃষ্টি করে। এরূপ অবস্থায় এক ঢাল হতে অন্য ঢালে ক্রমান্বয়ে আরোহন করার জন্য বৃত্ত বা অধিবৃত্তীয় চাপ আকৃতির বাঁকের মাধ্যমে গোলাকার করে দেয়া হয়। উলম্ব তলে বৃত্তীয় বা অধিবৃত্তীয় চাপ আকৃতির বার্ককে উলম্ব বার্ক (Vertical Curve) বলা হয়।
৬৯। উলম্ব বাঁক কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে উলম্ব বাঁক ব্যবহার করা হয়
১। পাহাড়ী এলাকা, উচু-নিচু বন্ধুর এলাকার দিয়ে অতিক্রমকারী রেলপথ বা সড়কপথে।
২। সমতল এলাকায় সেতু এলাকায় রেলপথ বা সড়কপথে।
৩। উর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী ঢালের সাথে বা যেখানে সমধর্মী ভিন্ন মাত্রার ঢালের সাথে মিলে, ঐ সকল সড়ক বা রেলপথে।
৭০। কর্ডগ্রেডিয়েন্ট কি?
উত্তর: উলম্ব বাঁকে কোন জ্যা এর প্রান্তদ্বয়ের এলিভেশনের পার্থক্যই ঐ জ্যা এর জ্যা ঢাল বা কর্ড গ্রেডিয়েন্ট (Chord Gradient) বলা হয়।
৭১। উলম্ব বাঁকের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্রটি লিখ।
উত্তর
উলম্ব বাঁকের দৈর্ঘ্য ঢালের বীজগাণিতিক পার্থক্যঢাল পরিবর্তনের হার
৭২। +2% এবং +1% ঢালের রাস্তাদ্বয়ের সংযোগস্থলে বাঁকের দৈর্ঘ্য 800 মি: হলে, ঢাল পরিবর্তনের হার কত?
সমাধানঃ-
ঢাল পরিবর্তনের হার = +2-(+1)800
=0.25% উত্তর
৭৩। -0.4% এবং +0.2% ঢালদ্বয়ে ছেদবিন্দুর আর এল ১০০ মি. হলে স্পর্শকদ্বয়ের আর.এল কত হবে?
সমাধানঃ-
ধরি, ঢাল পরিবর্তনের হার r=0.06% [২০ মি. শিকলে]
বাঁকের দৈর্ঘ্য, L= ঢালের বীজগাণিতিক পার্থক্যঢাল পরিবর্তনের হার
=-0.4-(+0.2)0.06=10 শিকল
১ম স্পর্শক বিন্দুর R.L = 100+ 0.4100(102×20) =100.4মিঃ
২য় স্পর্শক বিন্দুর RL = 100 + 0.2100×(102×20)=100.2 মিঃ
উত্তর:
৭৪। একটি বার্কের চিত্র একে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর।
উত্তরঃ- একটি বাকের চিত্র একে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করা হলঃ-