হাইড্রোগ্রাফিক এন্ড রুট সার্ভেয়িং


১। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: জরিপ বিজ্ঞানের যে শাখায় সাগর, মহাসাগর, নদনদী, খালবিল, জলাধার, পুকুর ইত্যাদির পানিময় এলাকার তলদেশের ভূ-প্রকৃতি, ক্ষেত্রফল, পানি প্রবাহ, পানির পরিমাণ, পানির গভীরতা ও এতদসংক্রান্ত সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ বলা হয়।

২। হাইড্রো শব্দের অর্থ কি?

উত্তর: হাইড্রো শব্দের অর্থ হলো পানি।

৩। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপে কি কি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে?

উত্তর। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে, যথাঃ

ক) মেরিন জরিপ (Marine Survey)

খ) রিভার গেজিং (River Gouging)

গ) রেইন গেজিং (Rain Gauging)

৪। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ২টি উদ্দেশ্য লেখ।

উত্তর: হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ২টি উদ্দেশ্য হলো:

ক) উপকূল রেখার নকশা প্রনয়ন করা।

খ) সাউন্ডিং গ্রহণ ও পানির তলদেশের বৈশিষ্ট্য নিরুপন করা।

৫। অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক কাকে বলে?

উত্তর: পানি বিজ্ঞান বিষয়ক (Hydrographic) লেখচিত্রের জরিপ কার্যের শুরুতে অনুভূমিক দূরত্ব মাপার বা পরীক্ষার জন্য যে নিয়ন্ত্রক বিন্দুসমূহ স্থাপন করা হয়, তাকে অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক বলে।

৬। উলম্ব নিয়ন্ত্রক কাকে বলে?

উত্তর: নদী তীর বা সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি যে স্মারক বেঞ্চ মার্ক থেকে অন্যান্য বিন্দুর খাড়া উচ্চতা নির্ণয় করা হয়ে থাকে, তাকে উলম্ব নিয়ন্ত্রক বলে।

৭। সৈকত রেখা জরিপ কাকে বলে?

উত্তর: সৈকত বা উপকূল রেখার ভূ-সংস্থানিক নকশা প্রনয়নের জন্য যে জরিপ করা হয়, তাকে সৈকত রেখা বা উপকূল রেখা। জরিপ বলা হয়।

৮। হাইড্রোগ্রাফিক মানচিত্রের মূখ্য বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: হাইড্রোগ্রাফিক মানচিত্রে জলপথের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি থাকে, যা নৌযান চলাচলে

নির্দেশিকা হিসেবে ব্যবহৃতহয়।

৯। নদী জরিপ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: নদীর তীরে পানি তল থেকে সুবিধা মতো দূরত্বে ট্রানজিট থিওডোলাইট ও ফিতার সাহায্যে ট্রাজান। উত্তর গঠন করে নদীর তীর জরিপ করি থামাতো দরকে উনেলি আঁকাবাঁকা হলে স্টেডিয়া বা প্লেন টেবিল মার প্যাক ট্রামে এইয়া থাকে অফসেট নিয়ে বিন্দুসমূহের অবস্থান নির্ণয়ে করে নকশা অঙ্কন করা যেতে পারে আর চওড়া নদীর ক্ষেত্রে এক পাড়ে ট্রাভার্স করে স্টেডিয়া বা প্লেন টেবিল জরিপের সাহায্যে উভয় পাড়ের নকশা অঙ্কন করা হয়।

১০। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ৪টি উদ্দেশ্য লেখ।

উত্তর: নিম্নে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হলো:

ক) সৈকত রেখা পরিবর্তন সমুদ্র তীরে বির্তনের ইতিহাস এবং সময়ের সাথে এদের পরিবর্তিত অবস্থা নির্ণয় করা ও শিক্ষা করা।

খ) উপকূল রেখার নকশা প্রণয়ন করা।

গ) সাউন্ডিং গ্রহণ ও পানির তলদেশের বৈশিষ্ট্য নিরুপন করা।

ঘ) পানির তলদেশে কোন কোন এলাকায় শিলা বালুচর বা পলি জমেছে, ভূমি ক্ষয়ে যাচ্ছে তা চিহ্নিত করা।

১১। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির নাম লেখ।

উত্তর: হাইড্রোগ্রাফিক জরিপে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের তালিকা নিম্নরূপ:

ক) সাউন্ডিং নৌকা।

খ) সাউন্ডিং রড বা পোল

গ) লেড লাইন

ঘ) সাউন্ডিং লেড

ঙ) সাউন্ডিং মেশিন

চ) ফ্যাদোমিটার বা ইকো সাউন্ডার

ছ) সেক্সট্যান্ট

জ) সিগন্যাল

ঝ) আড়াআড়ি রশি

ঞ) সাউন্ডিং চেইন

ট) ওয়াটার টেলিস্কোপ

ঠ) স্টেশন পয়েন্টার

১২। মানচিত্র অভিক্ষেপ কী?

উত্তর: মানচিত্র অভিক্ষেপ হলো পৃথিবীর বক্ররেখা পৃষ্ঠ গ্রহণের পদ্ধতি এবং এটি কম্পিউটার স্কিন বা কাগজের মতো ফ্ল্যাটে প্রদর্শিত হয়। মানচিত্র প্রস্তুতকারী পৃথিবীর বক্ররেখা পৃষ্ঠায় পয়েন্টগুলো গ্রহণ করে এবং সমতল পৃষ্ঠতে প্রজেক্টিং করে থাকে। এই পদ্ধতিগুলো ম্যাপ নির্মাতাদের বৃত্তাকার পৃথিবীর সমতল মানচিত্র তৈরী করতে সাহায্য করে।

১৩। ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক কী?

উত্তর: ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক এমন একটি পদ্ধতি যার সাহায্যে পৃথিবীর প্রতিটি অবস্থানকে সংখ্যা, অক্ষর বা প্রতীক দ্বারা নির্দেশ করতে সক্ষম করে।

১৪। মানচিত্র অভিক্ষেপ কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: সাধারণত তিন ধরনের মানচিত্র অভিক্ষেপ ব্যবহার হয়ে থাকে, যথা:

ক) নলাকার মানচিত্র অভিক্ষেপ

খ) কনিক মানচিত্র অভিক্ষেপ

গ) দিগংশিক মানচিত্র অভিক্ষেপ

১৫। নলাকার মানচিত্র অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: নলাকার মানচিত্রের অভিক্ষেপ পৃথিবীকে প্রদর্শন করার এক উপায়। এ ধরনের মানচিত্র অভিক্ষেপটি সরাসরি সমন্বয় লাইনে থাকে। নলাকার মানচিত্রকে গোলাকারও বলা হয়, কারণ এটিকে গোটান করা যায় এবং তাদের প্রান্ত একটি নল অথবা সিলিন্ডারের মতো মানচিত্র তৈরী করে।

১৬। সাউন্ডিং কাকে বলে?

উত্তর: জল সমতল হতে তলদেশ পর্যন্ত খাড়াভাবে পানির গভীরতা মাপার প্রক্রিয়াকে সাউন্ডিং বলে।

১৭। সাউন্ডিং গ্রহণের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: পানির তলদেশের ভূমিরূপ সাবমেরিন কন্টুর নিরুপন করাই সাউন্ডিং গ্রহণের প্রধান উদ্দেশ্য।

১৮। সাউন্ডিং এর ৩টি উদ্দেশ্য লেখ।

উত্তর: সাউন্ডিং এর ৩টি উদ্দেশ্য হলোঃ

ক) নৌপথের তালিকা প্রণয়ন।

খ) নদী বা খালের নিষ্কাশন ক্ষমতা নিরুপন করা।

গ) পুকুর বা জলাধারের ধারণক্ষমতা নির্ণয় করা।

১৯। সেক্সট্যান্ট কী?

উত্তর: সেক্সট্যান্ট একটি বহনযোগ্য কোণ পরিমাপক যন্ত্র। এটির বৃত্তচাপে ৬০০ পর্যন্ত দাগ কাটা থাকে, যার সাহায্যে উলম্ব ও অনুভূমিক কোণ মাপা যায়।

২০। সেক্সট্যান্ট এর সাহায্যে কত ডিগ্রি পর্যন্ত কোন মাপা যায়?

উত্তর: সেক্সট্যান্ট এ ৬০ পর্যন্ত দাগ কাটা থাকে। তবে এর সাহায্য ১২০ পর্যন্ত কোণ পরিমাপ করা যায়।

২১। সেক্সট্যান্টের প্রধান অংশগুলোর নাম লেখ।

উত্তর: সেক্সট্যান্ট এর প্রধান অংশগুলো হলোঃ

ক) সূচক দর্পণ

খ) দিকচক্রবাল দর্পণ

গ) দাগকাটা বৃত্তাংশ

ঘ) দূরবিন

২২। রেঞ্জ লাইন কী?

উত্তর: যে কাল্পনিক রেখা বরাবর সাউন্ডিং গ্রহণ করা হয় সেই কাল্পনিক রেখাকে রেঞ্জ লাইন বলে।

২৩। ইকো সাউন্ডারের মূলনীতি কী?

উত্তর: ইকো সাউন্ডারের মূলনীতি হচ্ছে যে, পানি পৃষ্ঠে সৃষ্ট শব্দ তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তরিত করে পানির তলদেশে প্রেরণ করা হয় যা সেখানে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে প্রতিধ্বনি আকারে পানি পৃষ্টে ফিরে আসে।

২৪। গভীরতা মাপার সূত্রটি লিখ।

উত্তর:

h=12vt

এখানে,

h = গভীরতা

v= বেগ

t= সময়

২৫। সাউন্ডিং কাজে জরিপবিদের কাজ কী?

উত্তর: দলনেতা হিসেবে সম্পূর্ণ জরিপ কার্য পরিচালনা, নৌকা লাইন বরাবর রাখার জন্য সংকেত ও নির্দেশ প্রদান এবং ক্ষেত্রবিশেষ জরিপ চালনা করা।

২৬। সাউন্ডিং এর প্রয়োজনীয়তা কী?

উত্তর: নিম্নলিখিত প্রয়োজনে সাউন্ডিং করা হয়;

ক) নৌপথের তালিকা প্রণয়ন

খ) নদী বা খালের নিষ্কাশন ক্ষমতা নিরূপন

গ) পুকুর বা জলাধারের ধারনক্ষমতা নির্ণয়

ঘ) নদীর তলদেশের গভীরতা নির্ণয়।

২৭। সাউন্ডিং এর যন্ত্রপাতির তালিকা তৈরী কর।

উত্তর: সাউন্ডিং এর যন্ত্রপাতির তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ-

ক) সাউন্ডিং নৌকা

খ) সাউন্ডিং দন্ড

গ) লেড লাইন

ঘ) সাউন্ডিং লেড

ঙ) সাউন্ডিং মেশিন

চ) ইকো সাউন্ডিং বা ফ্যাদোমিটার

ছ) সেক্সট্যান্ট

জ) সিগন্যাল

ঝ) স্টেশন পয়েন্টার

ঞ) Decca Navigator and GPS

২৮। ইকো সাউন্ডারের মূল অংশগুলোর নাম লেখ।

উত্তর: ইকোসাউন্ডারের মূল অংশগুলো হলো:-

ক) শব্দ প্রেরক একক

খ) এসি মোটর জেনারেটর

গ) প্রতিধ্বনি গ্রাহক একক

ঘ) প্রতিধ্বনি অ্যামপ্লিফায়ার

ঙ) লিপিবদ্ধ একক

চ) দৃশ্যমান নির্দেশক।

২৯। ফ্যাদোমিটারের ৪টি সুবিধা লেখ।

উত্তর: ফ্যাদোমিটারের সুবিধা:

ক। ফ্যাদোমিটারের সাহায্যে সবচেয়ে নিখুঁতভাবে পানির গভীরতা নির্ণয় করা যায়।

খ। এটি লেড লাইন অপেক্ষা বেশি সংবেদনশীল।

গ। শব্দের বেগ এবং অংকন কাজে গতি বৃদ্ধি করা যায়।

ঘ। ত্রুটি সংশোধনী সহজেই করা যায়।

ঙ। নরম স্তরের নিচে শিলা থাকলে তাও রেকর্ড করে।

৩০। কোনো নদীর গভীরতা পরিমাপ করতে গিয়ে শব্দ প্রেরণ করার 5 সেকেন্ড পর প্রতিধ্বনি শোনা গেল। নদীর গভীরতা কত?

উত্তর: [v=1400 m/sec]

দেওয়া আছে,

সময়, t = 5 sec

বেগ v= 1400 m/sec

আমরা জানি,

গভীরতা, H =12 vt

=12x1400x5 

= 3500 m (Ans.)

৩১। সাউন্ডিং বিন্দু নির্ণয়ের উপায়গুলো কী কী?

উত্তর: সাউন্ডিং বিন্দু নির্ণয়ের উপায়গুলো হলোঃ-

ক) সম্পূর্ণভাবে নৌকা থেকে

খ) সম্পূর্ণ ভাবে সৈকত থেকে

গ) উভয় স্থান থেকে

৩২। দুইটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয়ের সূত্রটি লেখ।

উত্তর: সূত্রটি হলোঃ x = dtanß1tana1+tanß1

৩৩। ইকো সাউন্ডিং বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: ইকো শব্দের অর্থ প্রতিধ্বনি হওয়া। যে সাউন্ডিং এর সাহায্যে ধারাবাহিকভাবে নদীর তলদেশের চিত্র অঙ্কন করার জন্য পানির উপরপৃষ্ঠে সৃষ্ট শব্দ তরঙ্গ তলদেশে প্রতিফলিত করে সাউন্ডিং নির্ণয় করা হয়, সেই সাউন্ডিং পদ্ধতিকে ইকো সাউন্ডিং বলে।

৩৪। তিন বিন্দু সমস্যা কাকে বলে?

উত্তর: একটি অজ্ঞাত বিন্দুতে তিনটি জ্ঞাত বিন্দু দ্বারা সৃষ্ট কোণদ্বয় জানা থাকলে যে সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে অজ্ঞাত বিন্দুটির অবস্থান জানা যায়, ঐ সমস্যাকে তিন বিন্দু সমস্যা বলে।

৩৫। তিন বিন্দু সমস্যা সমাধানে কয়টি প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় ও কী কী?

উত্তর: ৪টি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, যথা-

ক) লৈখিকভাবে

খ) যান্ত্রিকভাবে

গ) বিশ্লেষনিকভাবে

ঘ) স্বাধীন স্থানাঙ্ক পদ্ধতি

৩৬। ফ্যাদোমিটারে কী কী সংশোধনীর প্রয়োজন?

উত্তর:

ক) শব্দ বেগ সংশোধনী

খ) যান্ত্রিক সংশোধনী

গ) তলদেশের ঢালজনিত সংশোধনী।

৩৭। সাউন্ডিং লঘুকরণ কাকে বলে?

উত্তর: জোয়ারভাটা স্রোতের হ্রাসবৃদ্ধি বা স্রোতযুক্ত জলাশয়ের পানি পৃষ্টতল সব সময় স্থির থাকে না বরং উঠানামা করে। ফলে বিভিন্ন বিন্দুতে একই উচ্চতার পানি তল থেকে সাউন্ডিং গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। এ জন্য প্রত্যেক বিন্দুতে সাউন্ডিং গ্রহণের সময় গেজপাঠ নেওয়া হয়। গৃহীত গেজ পাঠ ও সাউন্ডিং এর সাহায্যে নির্দিষ্ট উপাত্ত তলের সাপেক্ষে প্রত্যেক বিন্দুতে গেজ সংশোধনী প্রয়োগ করে সাউন্ডিং এর মান নির্ণয় করার প্রক্রিয়াকে সাউন্ডিং লঘুকরণ বলে।

৩৮। লঘুকৃত সাউন্ডিং এর সূত্রটি লেখ।

উত্তর: লঘুকৃত সাউন্ডিং= সাউন্ডিংগেজ +-সংশোধনী

৩৯। গেজ সংশোধনী কী?

উত্তর: প্রত্যেক সাউন্ডিং বিন্দুতে গৃহীত গেজ পাঠ ও উপাত্ত তলের গেজ পাঠের পার্থক্যকে গেজ সংশোধনী বলে।

৪০। LWOST পূর্ণরূপ কী? 

উত্তর: Low Water of Ordinary Spring Tide. 

৪১। স্টাফ ফ্লোটস এর কাজ কী?

উত্তর: গভীরতা প্রতি স্তরে গতিবেগ ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় গড় গতিবেগ মাপার জন্য স্টাফ জোটস বা বাহু জোটস ব্যবহার করা হয়।

৪২। LDVADV এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর: LDV= Laser Doppler Velocimeter. 

ADV Acoustic Doppler Velocimeter.

৪৩। টাইপ গেজ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: টাইড গেজ তিন প্রকার, যথা-

(ক) স্টাফ ফ্লোটস

(খ) ফ্লোট গেজ

(গ) চেইন ওয়েট গেজ।

৪৪। স্রোতস্বিনীর গতিবেগ মাপার ফ্রান্সিস সূত্রটি লেখ।

উত্তর: ফ্রান্সিস সূত্রটি হলো: V = Vr (1.102 -0.116cd) এখানে,

V= গতিবেগ, m/sec

Vr= স্টাফ ফ্লোটসের গতিবেগ, m/sec

c= নিম্নোক্ত প্রাপ্ত হতে তলদেশের দূরত্ব, m

d = স্রোতস্বিনীর গভীরতা, m

৪৫। প্রবাহ গেজিং এর নিষ্কাশন ক্ষমতা নির্ণয়ের সূত্রটি লেখ।

উত্তর: সূত্রটি হলো: Q= AV এখানে,

Q = নিষ্কাশন

A= চ্যানেলের ক্ষেত্রফল

V = প্রবাহীর বেগ।

৪৬। প্রবাহের বেগ নির্ণয়ে কী কী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: প্রবাহের বেগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি হলো:-

(ক) কারেন্ট মিটার

(খ) ফ্লোটস

(গ) আয়তাকার উইয়ার

(ঘ) ভি-নচ

(৬) ট্রাপিজিয়াম উইয়ার।

৪৭। পিটট টিউব কী?

উত্তর: পিটট টিউব এক ধরনের পরিমাপক গেজ, যার সাহায্যে প্রবাহিত তরল পদার্থের বেগ মাপা যায়। পিটট টিউব মূলত একটি কাচনলের কিছু অংশ, যা ৯০° কোণে বাকা করে তৈরী করা হয়। 

৪৮।কারেন্ট মিটারের সাহায্যে প্রবাহের গড় বেগ নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলোর নাম লেখ। 

উত্তর: পদ্ধতিগুলোর নাম হলো:

১। গতিবেগ বন্টন পদ্ধতি।

২। এক বিন্দু পদ্ধতি।

৩। দুই বিন্দু পদ্ধতি।

৪। তিন বিন্দু পদ্ধতি।

৫। চার বিন্দু পদ্ধতি।

৬। পাঁচ বিন্দু পদ্ধতি।

৭। ছয় বিন্দু পদ্ধতি।

৮। মধ্যবিন্দু পদ্ধতি।

৯। পানি পৃষ্ঠদেশের এক বিন্দু পদ্ধতি।

১০। সমাকলিত বা সমন্বিত পদ্ধতি।

৪৯। সাউন্ডিং মধ্যবিন্দুতে পানি প্রবাহের বেগ 2m/sec হলে গড় গতিবেগ কত?

উত্তর: দেওয়া আছে,

v=2 m/sec 

c= 0.95 (ধ্রুবক) 

গড়গতিবেগ, V = Vc

2x0.95=1.90 m/sec

৫০। নিষ্কাশন কি?

উত্তর: একক সময়ের নির্দিষ্ট প্রস্থচ্ছেদ নিয়ে প্রবাহিত পানির পরিমানকে ঐ প্রস্থচ্ছেদের একক সময়ে নিষ্কাশন বলে।

৫১। নিষ্কাশন ক্ষমতা নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলো কী কী?

উত্তর: নিষ্কাশন নিরূপন করার পদ্ধটি চারটি, যথা: 

ক) রৈখিক পদ্ধতি।

খ) গড় প্রস্থচ্ছেদ পদ্ধতি

গ) মধ্য প্রস্থচ্ছেদ পদ্ধতি।

ঘ) গতিবেগ কন্টুর পদ্ধতি।

৫২। নিষ্কাশনের সূত্রটি লেখ।

উত্তর: নিষ্কাশন Q = AV 

= b4{(d₁+d2)x(v1+v2)} 

= d₁+d₂2+×b× V₁+v22 

এখানে, d₁ d₂= সাউন্ডিং এর গভীরতা

 V₁ v2 = গতিবেগ 

A= ক্ষেত্রফল 

Q= নিষ্কাশনের পরিমাণ

৫৩। কীভাবে গড় গতিবেগ নির্ণয় করা হয়?

উত্তর: পানি পৃষ্ঠতলের ঠিক নিচের বিন্দুতে প্রবাহ গতিবেগ মেপে পূর্বনির্ধারিত ধ্রুবক দ্বারা গুন করে গড় গতিবেগ নির্ণয় করা হয়।

৫৪। উইয়ার কাকে বলে?

উত্তর: পানির সেচ বা এরূপ কোনো কাজের সুবিধার্থে নদী, খাল, নালার পানির লেভেল নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত বাঁচানোর জন্য উজানের দিকে আড়াআড়ি ইট বা কংক্রিট দ্বারা যে বাধ তৈরী করা হয় তাকে উইয়ার বলে।

৫৫। পানির হেড কাকে বলে?

উত্তর: উইয়ার থেকে প্রবাহ গভীরতার তিনগুন উজানে আবদ্ধকৃত পানিপৃষ্ঠ থেকে উইয়ার তল পর্যন্ত মাপকে পানির হেড বলে।

৫৬। পথ জরিপ কাকে বলে?

উত্তর: স্থানান্তর যোগাযোগ বা পরিবহনের সুবিধার্থে সড়কপথ, রেলপথ, খাল, পানি সরবরাহ লাইন, সিউয়ারেজ লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন বা এ ধরনের যে কোনো পথের সর্বাধিক উপযোগী।

৫৭। পথ জরিপের ধারাবাহিক ধাপগুলো কী কী?

উত্তর: পথ জরিপের ধারাবাহিক ধাপগুলো হলোঃ

ক) পরিদর্শন বা পর্যবেক্ষণ জরিপ 

খ) প্রাথমিক জরিপ 

গ) অবস্থান জরিপ 

ঘ) নির্মাণ জরিপ

৫৮। অবস্থান জরিপ কাকে বলে?

উত্তর: প্রাথমিক জরিপ ম্যাপে চূড়ান্ত ভাবে সিদ্ধান্তকৃত পথের কাগজে চিহ্নিত অবস্থানকে সরজমিনে বা ভূমিতে সংস্থাপন করাই হলো অবস্থান জরিপ (Location Survey) বলে।

৫৯। অবস্থান জরিপের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: অবস্থান জরিপের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভূমিতে পথের অ্যালাইনমেন্ট স্থাপন, প্রয়োজনে পথের অবস্থানের ক্ষেত্রে ছোটখাটো সংশোধন ও উন্নয়ন লম্বালম্বি ঢাল স্থাপন করা।

৬০। নির্মাণ জরিপ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পরিমাণ ভূমিতে সংস্থাপন বা চিহ্নিত করে যে জরিপ করা হয় তাকে নির্মাণ জরিপ বলে।

৬১। প্রাথমিক জরিপ কেন করা হয়?

উত্তর: পরিদর্শন জরিপে নির্ধারিত পথে যান্ত্রিক জরিপের মাধ্যমে সার্বিক তথ্যাদি সংক্রান্ত এবং উক্ত পথের উভয় পার্শ্বে সন্তোষজনক চওড়ায় (সাধারন সড়কের ক্ষেত্রে ১২০ মি. এবং রেলপথের ক্ষেত্রে ৪০০ মি.) ভূ-সংস্থানিক অবস্থান জানার জন্য প্রাথমিক জরিপ করা হয়।

৬২। প্রাথমিক জরিপে কয়টি দল কাজ করে থাকে ও কী কী দল?

উত্তর: প্রাথমিক জরিপের কাজে মূলত ৩টি দল থাকে; যথাঃ

ক) ট্রানজিট পার্টি।

খ) লেভেল পার্টি এবং

গ) ভূ-সংস্থান পার্টি।

৬৩। ভূ-সংস্থান পার্টির জনবলগুলো কী?

উত্তর: ভূ-সংস্থান পার্টিতে নিম্নলিখিত জনবল থাকে।

ক) ভূ-সংস্থানার- ১ জন।

খ) স্টাফম্যান- ২ জন।

গ) চেইনম্যান-২ জন।

ঘ) শ্রমিক- প্রয়োজন মতো।

৬৪। পর্যবেক্ষণ জরিপ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: পর্যবেক্ষণ জরিপ একটি দ্রুততর ও খসড়া জাতীয় জরিপ। এতে প্রকল্প এলাকায় গমনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা, প্রকর বাস্তবায়ন ও বিভিন্ন দিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করে। তাকে পর্যবেক্ষন জরিপ বলে।

৬৫। পর্যবেক্ষণ মানচিত্র বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: সময় পর্যবেক্ষণ প্রকৌশলীগণ যে মানচিত্র ব্যবহার করে সম্ভাব্য পথের অবস্থান চিহ্নিত করে ও কার্য পরিচালনা করে, তাকে পর্যবেক্ষণ মানচিত্র বলে।

৬৬। পথ জরিপের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: পথ জরিপের উদ্দেশ্য হলোঃ

ক) নির্বাচিত পথের ঢাল নির্ণয় করা।

খ) যে সাধারণ পথ অনুসরণ করা হবে তা নির্বাচন করা।

গ) নির্বাচিত পথের সংশ্লিষ্ট যাবতীয় ডিটেইলের অবস্থান নির্ধারণ করা।

ঘ) নির্বাচিত পথের অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা।

ঙ) নির্বাচিত পথের নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট প্লান অনুযায়ী সম্পন্ন করা।

৬৭। ট্রানজিট দলের সদস্য কে কে?

উত্তর: ট্রানজিট দলের সদস্য;

ক) একজন ট্রানজিট ম্যান, যিনি দলের প্রধান থাকে।

খ) ২ জন চেইনম্যান।

গ) ১ জন ফ্লাগ ম্যান

ঘ) আগাছা, জঙ্গল পরিষ্কার খুটি সংস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাঠুরি এবং

ঙ) কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজন নোট কিপার।

৬৮। প্রকল্প জরিপ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: রেলপথ, সড়কপথ, মহাসড়ক, জলসেচ খাল, পয়ঃনিষ্কাশন লাইন, সুড়ঙ্গ, বাধ ইত্যাদি প্রকৌশল প্রকল্প, প্ল্যানিং ও নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্ভত মাঠ পর্যায়ে যাবতীয় কার্যক্রম ও ম্যাপ প্রোফাইল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ড্রয়িং সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় হিসাব নিকাশকে প্রকল্প জরিপ বলে।

৬৯। পাঁচটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের নাম লেখ।

উত্তর: পাঁচটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের নাম হলো:

ক) হাইওয়ে প্রজেক্ট (Highway project)

খ) রেলওয়ে প্রজেক্ট (Railway project)

গ) ওয়াটার ওয়ে প্রজেক্ট (Water Way Project)

ঘ) টানেল প্রজেক্ট (Tunnel Project)

ঙ) ব্রিজ ও কালভার্ট প্রজেক্ট Bridge and Culvert Project.

৭০। পানি সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকার জরিপের নাম লেখ।

অথবা, জলসেচ প্রকল্প জরিপকে কয়ভাবে ভাগ করা হয়?

উত্তর: জলসেচ প্রকল্পে জরিপকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:

ক) প্রাথমিক জরিপ

খ) বিস্তারিত জরিপ

গ) নির্মাণ জরিপ

৭১। পয়ঃ নিষ্কাশন ও পাইপ লাইন প্রকল্পে কী কী জরিপ কার্য করা হয়?

উত্তর: পয়ঃ নিষ্কাশন ও পাইপ লাইন প্রকল্পে নিম্নলিখিত জরিপকার্য পর্যায়ক্রমিকভাবে সম্পাদন প্রয়োজন হয়, যথাঃ

ক) পরিদর্শন জরিপ

খ) প্রাথমিক জরিপ

গ) চূড়ান্ত অবস্থানায়ন জরিপ

ঘ) নির্মাণ জরিপ

৭২। সরেজমিনে অবস্থান কাকে বলে?

উত্তর: নির্বাচিত পথের অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্তভাবে ভূমিতে সংস্থাপন করা হলে একে পথের ফিল্ড লোকেশন বা সরেজমিনে অবস্থান বলে।

৭৩। বাধ প্রকল্প নির্মাণে কী কী কার্যাদি করতে হয়?

উত্তর: বাধ প্রকল্প নির্মাণে নিম্নোক্ত কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়)

ক) মাঠের কাজ (Field Work)

খ) অফিসের কাজ (Office Work)

গ) জলাধারের ধারণ ক্ষমতানির্ণয়।

৭৪। জলাধারের ধারনক্ষমতা নির্ণয়ের সূত্রটি লেখ।

উত্তর: সূত্রটি হলোঃ

জলাধারের ধারণ ক্ষমতা

V = {(A1st + Alast)} + 2× যুগ্ম ক্ষেত্রফল+4× অযুগ্ম ক্ষেত্রফল}

V= d3(A1 +A7)+2(A2+A4)+4(A3 +A5)}

৭৫। স্টেজিয়া জরিপ কী?

উত্তর: যে জরিপে প্রধানযন্ত্র হিসেবে স্টেডিয়া ব্যবহার করা হয়, তাকে স্টেডিয়া জরিপ বলে। এ জরিপ খুব নির্ভুল মান পাওয়া যায়। এ জরিপ কম সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে করা হয়।

৭৬। রুলিং গ্রেডিয়েন্ট বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: সড়ক নির্মাণের সময় সচরাচর যে ঢাল দেওয়া হয় তাকে রুলিং গ্রেডিয়েন্ট বলে।

৭৭। দশটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্টের নাম লেখ।

উত্তর: বিভিন্ন প্রকার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের নাম হলো:

ক) হাইওয়ে প্রজেক্ট;

খ) রেলওয়ে প্রজেক্ট;

গ) বিমানবন্দর প্রজেক্ট;

খ) ইরিগেশন ক্যানেল প্রজেক্ট

৩) টানেল প্রজেক্ট

চ) ওয়াটার ওয়ে প্রজেক্ট

ছ) হাইড্রোগ্রাফিক প্রজেক্ট

জ) বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রজেক্ট

ঝ) ব্রিজ ও কালভার্ট প্রজেক্ট

ঞ) ইমারত নির্মাণ প্রজেক্ট

৭৮। বাঁক প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা লেখ।

উত্তর: যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম এ জরিপের প্রয়োজন হয়। নিম্নে বাধ জরিপের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলোঃ

ক) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ।

খ) ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র প্রণয়ন।

গ) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই।

ঘ) বাধের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন।

ঙ) সর্বোচ্চ বন্যাতল এর অবস্থান।

চ) বাধের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ।

৭৯। সেটিং আউটের নিয়ন্ত্রক কয় ধরনের ও কী কী?

উত্তর: সেটিং আউটের নিয়ন্ত্রক দুই ধরনের, যথা:

ক) অনুভূমিক নিয়ন্ত্রক

খ) উলম্ব নিয়ন্ত্রক।

৮০। দাগমারি কী?

উত্তর: ভিত্তির মাটি খননের জন্য মাটি খননের পরিসীমা চিহ্নিতকরণকে দাগমারি বলে।

৮১। ইমারত বা সড়কের বিভিন্ন অংশের আর এল দেয়ার প্রক্রিয়া কয়টি ও কী কী?

উত্তর: ইমারত বা সড়কের বিভিন্ন অংশের আর, এল দেয়ার প্রক্রিয়া তিনটি, যথা-

ক) সুতলি ও স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে

খ) পানি ভর্তি নমনীয় স্বচ্ছ প্লাস্টিক পাইপের সাহায্যে।

গ) স্টাফ পাঠ ও লেভেল যন্ত্রের সাহায্যে।

৮২। বোনিং ইন বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: লেভেল যন্ত্রের মাধ্যমে সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট করে পোঁতা দুটি খুটির মাঝে এক বা একাধিক বিন্দু বোনিং রডের মাধ্যমে একই লেভেল কোনো নির্দিষ্ট গ্রেডিয়েন্টে স্থাপন প্রক্রিয়াকে বোনিং ইন বলা হয়।

৮৩।সেটিং আউট কাজে কী পরিমান জনবল লাগে?

উত্তর: সেটিং আউট কাজে নিম্নলিখিত জনবল লাগে:

ক) পুরপ্রকৌশলী

খ) রাজমিস্ত্রি

গ) দক্ষ শ্রমিক

ঘ) সাধারণ শ্রমিক

৮৪। পেপার লোকেশন কী?

অথবা, কাগজে অবস্থানায়ন কী?

উত্তর:প্রাথমিক জরিপ ম্যাপ ও ভূমির লম্বালম্বি ছেদ দৃশ্য এবং আপেক্ষিক অবস্থা ইত্যাদি সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করে পরখ ও ভুল পদ্ধতিতে ম্যাপের উপর রেখা একে অভিক্ষেপের লাইনটির চূড়ান্ত অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। ম্যাপে অঙ্কিত রেখাকে কাগজে অবস্থানায়ন (Paper Location) বলে।