১। G.I.S কাকে বলে?
উত্তর: জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (G.I.S) এমন একটি সিস্টেম যেটা সকল ধরনের জিওগ্রাফিক ডাটা ক্যাপচার করা, ডাটা সংরক্ষন, সঠিকভাবে ব্যবহার, বিশ্লেষণ পরিচালনা এবং উপস্থাপন করে থাকে।"
২। G.I.S এর পূর্ণরুপ লেখ।
উত্তরঃ G.I.S এর পূর্ণরুপ হলো: Geographic information System.
৩। জিও কোডিং কি?
উত্তরঃ জিও কোডিং হলো এমন একটি টার্ম যেটা ব্যবহার করে অ্যানালগ স্পেশাল ইনফরমেশনকে ডিজিটাল গঠনে রুপান্তরিত করা হয়।
৪। টেবুলার ডাটা কি?
উত্তরঃ টেবুলার ভাটা যেগুলোকে বর্ণনামূলক ডাটা বলা হয়। এটা জিআইস এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহের মধ্যে একটি। এটা স্ট্যাটিক্যাল, সংখ্যাবাচক অথবা বৈশিষ্ট্যমূলক তথ্য যেটা স্পেশাল ফিচারসমূহ আরোপ করা যেতে পারে। স্পেশাল ডাটার মতো টেবুলার ডাটা ও জিআইএস সফটওয়্যারের একটি পদ্ধতি দ্বারা সংরক্ষিত হয়ে থাকে, যে পদ্ধতি দ্বারা এটাকে দেখা বা এতে প্রবেশ করা যায়, সাধারণত রিলেশনাল ডাটাবেস ফরম্যাটে।
৫। জিআইএস ওয়েব সার্ভিস বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ জি আই এস ওয়েব (G.I.S) সার্ভিস বিভিন্ন ধরনের পরিচালিত, হোস্টকৃত এবং শেয়ারকৃত অনলাইন সার্ভিস সাপোর্ট করে। "পোর্টাল ফর আর্ক জিআইএস" আর্ক জিআইএস প্লাটফর্মের একটি মৌলিক অংশ। এটি পুরো জিআইএস সংস্থাব্যাপী উদ্যম কাজের ক্ষমতায়নের জন্য স্ব-পরিবেশিত কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং ইনফরমেশন শেয়ার করার ফ্রেমওয়ার্ক প্রদান করে।
৬। কার্টোগ্রাফি শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ কার্টোগ্রাফি শব্দের অর্থ হলো মানচিত্র অংকন বিদ্যা।
৭। কার্টোগ্রাফি বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ মানচিত্র অঙ্কনের কলাকৌশলকে কার্টোগ্রাফি বলে। কেবলমাত্র ভূ-জরিপকৃত নানাবিধ তথ্যাবলি সম্বলিত চাহিলা মোতাবেক মানচিত্র অঙ্কনের বা মুদ্রনের আধুনিক কলাকৌশলকে মানচিত্র অংকন বিদ্যা বা কাটোগ্রাফি বলে।
৮। জরিপ কাকে বলে?
উত্তরঃ পর্যবেক্ষন ও পরিমাপ দ্বারা ভূ-পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত বিভিন্ন বিন্দু বা বস্তুর অবস্থান, উচ্চতা আয়তন, দিক, সীমানা নির্ধারণ, কৌনিক দূরত্ব ও অনুভূমিক দূরত্ব নির্ণয় প্রক্রিয়াকে জরিপ বলে।
৯। বর্তুলাকার সমশ্রেণীভুক্ত মানচিত্র কোন স্কেলে তৈরি করা হয়?
উত্তরঃ নিম্নলিখিত স্কেলে মানচিত্র তৈরি ও মুদ্রিত হয়ে থাকে যথা:-
১৫ মি.× ১৫ = ১: ৫০০০০
১০ (ডিগ্রী) × ১০ ডিগ্রী = ১: ২,৫০,০০০
৪° (ডিগ্রী) × ৪০ ডিগ্রী = ১ঃ ২,৫০,০০০
৪০ ডিগ্রী × ৬০ ডিগ্রী = ১: ২, ৫০,০০০ (আর্ন্তজাতিক মানচিত্র)।
১০। মানচিত্র বলতে কি বুঝ?
উত্তর: সমতল পৃষ্ঠের উপর নির্দিষ্ট মাপনীতে সমগ্র পৃথিবী বা এর সামান্য অংশের প্রতিকৃতি বা প্রতিবিম্বকে মানচিত্র বলে।
১১। কী কী বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মানচিত্রের শ্রেণীবিন্যাস করা হয়?
উত্তরঃ মানচিত্র অঙ্কনের ভিত্তি হিসাবে একে প্রধানত ৩ (তিন) ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমনঃ-
(১) স্কেলভিত্তিক মানচিত্র (২) বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র (৩) তথ্যভিত্তিক মানচিত্র।
১২। প্রশাসনিক মানচিত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীপৃষ্ঠের কোথাও উচু নিচু, নদী-নালা, রাস্তা, রেলওয়ে দেশের প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যসমূহ থানার সীমানা জেলার
সীমানা, বিভাগের সীমানা এবং আর্ন্তজাতিক সীমানা দেখিয়ে যে মানচিত্র অঙ্কন করা হয়, তাকে প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক মানচিত্র বলে।
১৩। প্রকল্প মানচিত্র কাকে বলে?
উত্তর: যে কোনো প্রকল্পের জন্য মূল পরিকল্পনা মানচিত্র তৈরির উদ্দেশ্য যে মানচিত্রের প্রয়োজন হয়, তাকে প্রকল্প মানচিত্র বলে।
১৪। কিস্তোয়ার মানচিত্র বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যে জরিপের মাধ্যমে মৌজাভিত্তিক জমির প্লটগুলো দাগে দাগে মেপে মালিকানাস্বত্ব নির্ধারণ, জমির শ্রেণিভেদ চিহ্নিতকরন, সরকারি রাজস্ব নির্ধারণ করে ১৬" = ১ মাইল, ৩২" = ১ মাইল, ৬৪" = ১ মাইল স্কেলে যে মৌজা মানচিত্র তৈরি করা হয়, তাকে কিস্তোয়ার মানচিত্র বলে।
১৫। মৌজা মানচিত্র কেন তৈরি করা হয়?
উত্তর: ছোট একটি মানচিত্রে দেখে বিশাল এলাকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেয়া যায়। কোন একটি মৌজা মানচিত্র দেখে উক্ত মৌজা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি জানার জন্য মৌজা মানচিত্র তৈরি করা হয়।
১৬। মৌজা মানচিত্র কী কী প্রতীক ব্যবহৃত হয়?
উত্তরা মৌজা মাপে বিভিন্ন জমির সীমানা রাজা, মাংস, ঠিক ভাবে, জঙ্গল, বনভূমি, পুকুর, বসতি এলাকা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, খাসজমির পরিমাণসহ বিভিন্ন প্রকার সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
১৭। মোজাইক বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ মোজাইক একটি ইংরেজি শব্দ, যার বাংলা অভিধানিক অর্থ হলো একই স্কেলের খন্ড খন্ড চিত্রকে সীমাবদ্ধ স্থানে একত্রিকরণ।
১৮। মৌজা মানচিত্র তৈরীর প্রাথামিক ধাপ কী কী?
মৌজা মানচিত্র তৈরির প্রাথমিক ধাপগুলোর মান দুই ধাপে করা হয় যথাঃ-
উত্তরঃ
ক) দাপ্তরিক কাজ
খ) মাঠপর্যায়ের কাজ
১৯। সাংকেতিক চিহ্ন কাকে বলে?
উত্তরঃ সাংকেতিক চিহ্ন বা আলামত চিহ্ন বলতে মানচিত্রের বিভিন্ন বস্তুর অবস্থান দেখার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ও আলামত বা প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই আলামত বা প্রতীক চিহ্নকে সাংকেতিক চিহ্ন বলে।
২০। কিস্তোয়ার মানচিত্রে ব্যবহৃত স্কেলসমূহ সাদৃশ্য ভগ্নাংশসহ লেখ।
উত্তর :
মৌজা ম্যাপ:
16" = 1 মাইল
RF =1/3960
শহরঃ
32" = 1 মাইল
RF = 1/1980
ঘণবসতিপূর্ণ শহরঃ
64" = 1 মাইল
RF = 1990
২১। কন্টুর কাকে বলে?
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে বিদ্যমান ডেটাম হতে সমউচ্চতাবিশিষ্ট বিভিন্ন বিন্দু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাকে সমউচ্চ রেখা বা কন্টুর রেখা বলে।
২২। কন্টুর ব্যবধান কী কী বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর কন্টুর রেখার ব্যবধান নির্ভর করেঃ
ক) ভূ-প্রকৃতি
খ) জরিপের উদ্দেশ্য ও ব্যাপ্তি
গ) মানচিত্রের স্কেল
ঘ) সময় ও
৫) খরচ
২৩। লেটারিং সেট বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ লেটারিং সেট হলো লেখার যন্ত্রবিশেষ। এ যন্ত্রের সাহায্যে সোজা বা বাঁকা ছোট বা বড় বিভিন্ন আকারে লেখা যায়।
২৪। প্লানিমিটার কী?
উত্তর: আঁকাবাঁকা ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে প্ল্যানমিটার বলে। এছাড়াও এই যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বাহুর দৈর্ঘ্য ক্ষেত্রের পরিসীমা, বৃত্তের ব্যাসার্ধ, কোনো স্টেশনের স্থানাঙ্ক, কোণের পরিমাণ ইত্যাদির বিশুদ্ধতা ও দ্রুততার সাথে নির্ণয় করা হয়।
২৫। প্যান্টাগ্রাফ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: মানচিত্র ছোট বা বড় করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, তার নাম প্যান্টাগ্রাফ।
এ যন্ত্রের সাহায্যে মানচিত্র বা নকশাকে ১০ গুণ বড় এবং ছোট করা যায়।
২৬। মানচিত্র ছোট বা বড় করার যেকোন চারটি পদ্ধতির নাম লেখ।
উত্তরঃ মানচিত্র ছোট বা বড় করার যেকোন চারটি পদ্ধতির হলোঃ-
ক) লৈখিক পদ্ধতি
খ) যান্ত্রিক পদ্ধতি
গ) আলোকচিত্র পদ্ধতি
ঘ) কম্পিউটার পদ্ধতি
২৭। একরকম্ব কাকে বলে?
উত্তর: নকশায় কোনো প্লটের জমির পরিমাণ হিসাব করার উদ্দেশ্যে চিরুনির ন্যায় যে কাগজের বা মেটাল যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাকে একর কম্ব বলে।
২৮। প্লানিমিটারের ধ্রুবক নির্ণয়ের সূত্রটি লেখ।
উত্তর: প্লানিমিটারের ধ্রুবক নির্ণয়ের সূত্রটি হলোঃ-
M= ▲F+I+10N+C
▲ = ক্ষেত্রফল
F= চূড়ান্ত পাঠ
I = শুরুতে গৃহীত পাঠ
N = যত সংখ্যক বার ডায়ালের শূণ্য সংখ্যা স্থির ইনডেক্স চিহ্ন অতিক্রম করে।
C = যন্ত্রের ধ্রুবক পাঠ
M = গুণবোধক ধ্রুবক / একে প্লানিমিটারের ধ্রুবক বলে।
২৯। আনুপাতিক কম্পাস দিয়ে কী করা যায়?
উত্তর: আনুপাতিক কম্পাস দিয়ে নকশা বা মানচিত্রকে ১০ গুণ পর্যন্ত ছোট বা বড় করা হয়ে থাকে।
৩০। গুণিতক ধ্রুবক কি?
উত্তর: গুণিতক ধ্রুবক (Multiplying Constant) বা প্লানিমিটার ধ্রুবক বলতে রোলারের প্রতি আবর্তন বা ঘূর্ণনে যে, একক পরিমাণ ক্ষেত্র পরিগ্রহ করে তার সংখ্যাকে বুঝায়। সংখ্যাভিত্তিক এর মান Lrd এর সমান। অথবা, যে মানচিত্র হতে ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে হবে সেই মানচিত্রের স্কেল অনুপাতে মানচিত্রের এক বর্গ মিমি এর ভূমির পরিমাণ বা ক্ষেত্রফল যত বর্গমিটার হবে সেই মানকেই ধ্রুবক বলে।
৩১। শিরোনামের সাতটি তথ্যাদির নাম লেখ।
উত্তরঃ শিরোনামের সাতটি হলো:-
ক) মধ্যস্থানে দেশের নাম।
খ) বামদিকে জেলার নাম।
গ) এর উপর সীমাবদ্ধ মানচিত্রের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ (Restricted) কথাটি লিখতে হবে।
ঘ) এর উপর সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে (Restricted) সীমাবদ্ধ কথাটি লিখতে হবে।
৩) সর্বডানে শিট নম্বর।
চ) সংস্করণ, দেশের নামের ও শিটের নাম্বারের মাঝখানে লিখতে হবে (রঙিন ম্যাপে লাল রঙে) ও
ছ) গ্রিডনর্থ (Grid North) এবং Magnetic declination এর তথ্যাদি লেখা হয়।
৩২। প্লানিমিটারের সাহায্যে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের নিয়ম ৪ টি কী কী?
উত্তরঃ প্লানিমিটারের সাহায্যে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের নিয়ম ৪টি নিম্নে দেওয়া হলঃ
ক। মধ্য অর্ডিনেট রুল
খ। গড় অর্ডিনেট রুল
গ। ট্রাপিজয়ডাল রুল
ঘ। সিমসনস্ রুল।
৩৩। মানচিত্র অঙ্কনে অভিক্ষেপ বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ পৃথিবীর সমতল কাল্পনিক অক্ষরেখা এবং দ্রাঘিমা রেখাদ্বয়ের মাধ্যমে সমতল কাগজ বা বস্তুর উপর প্রয়োজনীয় ছেলে সঠিকভাবে, মানচিত্র অঙ্কন করাকে মানচিত্র অভিক্ষেপ বলে।
৩৪। মানচিত্রের অভিক্ষেপ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: মানচিত্রের অভিক্ষেপ প্রধানত চার প্রকার, যথাঃ
ক) বেলনাকার / বেলন অভিক্ষেপ
খ) কৌনিক/ শাংকব অভিক্ষেপ
গ) শীর্ষদেশীয় অভিক্ষেপ
ঘ) ব্যবহারসিদ্ধ অভিক্ষেপ
৩৫। অর্থোমরফিক অভিক্ষেপ কাকে বলে?
উত্তর: যখন কোনো অভিক্ষেপ পৃথিবীর কোনো ছোট অংশের আকৃতি সঠিকভাবে দেখানোর জন্য অঙ্কন করা হয়, তখন তাকে সঠিক আকৃতি বা অর্থোমরফিক অভিক্ষেপ বলে, এ ধরনের অভিক্ষেপ অক্ষও দ্রাঘিমারেখাসমূহ পরস্পর সমকোণে ছেদ করে।
৩৬। গ্রিড লাইনের উত্তর বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্রে সাধারণত দু ধরনের উত্তর দেখানো হয়। একটি সঠিক উত্তর
(True North) এবং অপরটি চুম্বক উত্তর (Magnetic North)। কিন্তু গ্রিড অভিক্ষেপকৃত মানচিত্রে আরও একটি অতিরিক্ত উত্তর দেখানো হয়, যাকে গ্রিড লাইনের উত্তর বলে। এখানে উল্লেখ্য যে, একটি টপো শিটের সঠিক উত্তর অন্য টপো শিটের সঠিক উত্তরের সাথে গ্রিড উত্তর সমান্তরাল নয়।
৩৭। কেসাইনি অভিক্ষেপ কাকে বলে?
উত্তরঃ কেসাইনি অভিক্ষেপ একটি সম আয়তনিক অভিক্ষেপ। যখন কোন অভিক্ষেপ সঠিকভাবে ভৌগলিক আয়তন বজায় রাখার জন্য অঙ্কন করা হয়, তখন তাকে কেসাইনি অভিক্ষেপ বা সমআয়তনিক অভিক্ষেপ বলে। এই ধরনের অভিক্ষেপ সম- আয়তনিক অভিক্ষেপ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো এমনভাবে সাজানো হয় যে, মানচিত্রের প্রতিটি গ্রাটিকুল ভূগোলকের প্রার্টিকুলের আয়তনের সমান হয়।
৩৮। গ্রিড অভিক্ষেপ কাকে বলে?
উত্তরঃ মিঃ জে. এইচ, লাম্বাট গ্রিড অভিক্ষেপ আবিষ্কার করেন। এই কারণে একে লাম্বাট গ্রিড অভিক্ষেপ বলা হয়। এই উত্তরঃ পিটি উপোগ্রাফিক, প্রকল্প মানচিত্র এবং সেনাবাহিনীর জন্য ব্যবহৃত মানচিত্রে এই গ্রিড অভিক্ষেপ পদ্ধতি চালু করী হয়।
৩৯। প্রকাশনা নির্দেশনামা বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ মানচিত্র মুদ্রণ বা ছাপাতে হলে বাংলাদেশ জরিপ বিভাগের দপ্তরগুলোতে সংরক্ষিত নির্দেশিকার নমুনা মোতাবেক মানচিত্র অঙ্কন করা হয়। যেখানে মানচিত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য থাকে তাকে প্রকাশনা নিদের্শনামা বলে।
৪০। প্রশাসনিক ম্যাপ বলতে কী বুঝায়?
উত্তরয় প্রশাসনিক মানচিত্র (Administrative Map): পৃথিবী পৃষ্ঠে কোথাও উঁচু নিচু, নদীনালা, রাস্তা, রেলওয়ে, দেশের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ থানার সীমানা, জেলার সীমানা এবং আর্ন্তজাতিক সীমানা দেখিয়ে যে মানচিত্র অঙ্কন করা হয় তাকে
রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক মানচিত্র বলে।
৪১। মোজাইকিং এর অর্থ কী?
উত্তরঃ খন্ড খন্ড চিত্রকে সীমাবদ্ধ স্থানে একত্রিকরণ।
৪২। মানচিত্র সংকলন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো কোনো সময় নতুন মানচিত্র তৈরি করার জন্য বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত ভিন্ন ভিন্ন স্কেলের অঙ্কিত মানচিত্র দুটিকে একত্রিত করার প্রয়োজন হয়। তখন মানচিত্র দুটিকে একটি সাধারণ স্কেলে অথবা একটি অপরটির অনুরুপ স্কেলে পরিবর্তন করতে হয়। দুই বা ততোধিক মানচিত্রের স্কেল পরিবর্তন করে একটি নতুন স্কেল অনুযায়ী মানচিত্র দুটি সংযুক্ত করার পদ্ধতিকে মানচিত্র সংকলন (Map Compilation) বলে।
৪৩। মোজাইক করন কেন করা হয়?
উত্তর: মোজাইক ইংরেজি শব্দ, যার বাংলা অর্থ হলো একত্রিকরণ। কোনো নির্দিষ্ট এলাকার মানচিত্র তৈরি করার জন্য সেই এলাকা সার্ভে করার সময় একাধিক প্লেন টেবিল শিট মোজাইকরণ করা হয়।
৪৪। শিট নাম্বারিং পদ্ধতি কেন চালু করা হয়েছে?
উত্তরঃ অতি সহজেই দ্রুত বা তাড়াতাড়ি একটি মানচিত্রের অবস্থান শিট সূচক দেখে বের করার যায়। এ কারণেই শিট নাম্বার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
৪৫। নাম্বারিং পদ্ধতি কী?
উত্তর। পৃথিবীর মানচিত্রে ভূ-সংস্থানিক মানচিত্রের অবস্থান চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে ভূ-সংস্থানিক মানচিত্রের শিট নাম্বার বসানো হয়। এই শিট নাম্বার দেখে অতি সহজেই পৃথিবীর অবস্থান জানা যায়। যে প্রক্রিয়ায় মানচিত্রের শিটে নাম্বার বাসনে হয়, তাকে শিট নাম্বারিং পদ্ধতি বলে।
৪৬। বাংলাদেশে যে কয়টি ডিগ্রি শিটে সীমাবদ্ধ সেগুলোর নাম উল্লেখ কর।
উত্তর: ৪ টি নাম্বার হলোঃ ৭৮,৭৯,৮৩, এবং ৮৪।
৪৭। আকাশ আলোকচিত্র (Aerial Photography) কী?
উত্তরঃ পাহাড়ের চূড়া উচ্চ স্তম্ভ, হেলিকপ্টার বা বিমান থেকে উন্নতমানের ক্যামেরার সাহায্যে স্থল ও পানিময় এলাকার আলোকচিত্রকে আকাশ থেকে গৃহীত আলোকচিত্র বলে।
৪৮। বিমান আলোকচিত্রের স্কেল বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: আলোকচিত্রের স্কেল বলতে ক্যামেরার ফোকাস দূরত্ব ও উপাত্ত তল থেকে বিমানের উচ্চতার অনুপাতকে বুঝায়। মানচিত্র অংকনের সময় বস্তুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সরাসরি কাগজে অংকন বা ছবি তোলা সম্ভব নয়। তাই মানচিত্র অঙ্কন বা ছবি তোলার সময় দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের একটি নির্দিষ্ট অনুপাত সংকোচন করে ছবি তোলা হয়। মানচিত্রের বা ছবি তোলার এই অনুপাতিক সংকোচনের হারকে স্কেল বলে।
৪৯। মুখ্য বিন্দু বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: বিমান থেকে আলোকচিত্র ধারণ করার সময় বিমানে রক্ষিত ক্যামেরার মধ্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতিটি আলোক সংকেতের সময় একটি যোগ চিহ্ন (+) আসে। এই যোগ চিহ্নটি প্রতিটি আলোকচিত্র ধারণের সময় ছবির মধ্যস্থল চিহ্নিত হয় এটিই উড়োজাহাজ বা বিমানের অবস্থান বা আকাশ আলেকচিত্রের মূখ্য বিন্দু।
৫০। আকাশ আলোকচিত্রে মানবসৃষ্ঠ বিষয়বস্তু শনাক্তকরণ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: কৃত্রিম উপায়ে তৈরি বৈশিষ্ট্যাবলি হলো সড়ক, রেলপথ, খাল, পুকর, বাড়িঘর, দালানকোঠা, কৃষিক্ষেত্র ইত্যাদি এগুলোকেই মানবসৃষ্ঠ বিষয় বলে।
৫১। রেডিয়াল লাইন বলতে কী বুঝ?
উত্তর: বিমান থেকে আলোকচিত্র ধারণ করার সময় বিমানে রক্ষিত ক্যামেরার মধ্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতিটি আলোর
সংকেতের সময় একটি যোগ চিহ্ন (+) আসে। এই যোগ চিহ্নটি প্রতিটি আলোকচিত্র ধারণের সময় ছবির মধ্যস্থল চিহ্নিত
হয় এটিই উড়োজাহাজ বা বিমানের অবস্থান বা আকাশ আলেকচিত্র মূখ্য বিন্দু (Principal Point) বা রেডিয়াল লাইন।
একইভাবে ফটোর চর্তুপার্শ্বের মধ্যস্থলে প্রতি পাশে একটি করে মোট চারটি সরু রেখে আসে, এগুলোকে রেডিয়াল লাইন (Radial Line) বলে।
৫২। মানচিত্র পুনঃমুদ্রণ (Map Reproduction) বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ মূল মানচিত্র হতে চাহিদার কারণে ভিন্ন ভিন্ন রঙে এবং ভিন্ন ভিন্ন স্কেলে কার্টোগ্রাফির বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে মানুষের চাহিদামাফিক মানচিত্র পুনঃ তৈরি করাকে মানচিত্র পুনঃমুদ্রন বা Map Reproduction বলে।
৫৩। মানচিত্র মুদ্রন শাখার কী কী কাজ সম্পাদন করা হয়?
উত্তর: মানচিত্র মুদ্রন শাখার কী কী কাজঃ
(ক) ক্যামেরার সাহায্যে যাবতীয় মানচিত্র ছোট বড় ও সমআয়তনে এনে প্রয়োজনীয় ম্যাপের নেগেটিভ বা পজিটিভ তৈরি করণ।
(খ) প্লেট দানাদার করা এই প্লেট দস্তা অ্যালুমিনিয়াম তামা বা পিতলের হতে পারে।
(গ) নানা প্রক্রিয়ার ছাপার জন্য ধাতব শিটে ছাপাার উপযোগী প্লেট তৈরিকরন।
(ঘ) নেগেটিভ ও পজিটিভ প্লেট সংশোধন করা।
(ঙ) সকল প্রকার প্লেট সংশোধন।
৫৪। দস্তার শিট দানাদার করার জন্য কী কী দ্রব্যাদির প্রয়োজন হয়?
(ক) গ্রেনিং মেশিন
(খ) মোটা বালি
(গ) ৩/৪" থেকে ১" ব্যাসের কাচের নল
(ঘ) পানি
৫৫। কলোডিয়ান নেগেটিভ কাকে বলে?
উত্তরঃ স্বচ্ছ কাচের উপরে আলোকচিত্র গ্রহনের উদ্দেশ্যে যখন সংবেদনশীল করা হয়। তখন তাকে কলোডিয়ান নেগেটিভ বলে।
৫৬। মানচিত্র মুদ্রণে পরিস্ফুটন বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ দ্রবণের মধ্যে ভিজিয়ে বা প্রলেপ দিয়ে নেগেটিভকে পরিস্ফুটন করা হয়। রাসায়নিক দ্রব্যের প্রলেপ দিয়ে সংবেদনশীল করতে হয়। সেই সংবেদনশীলকৃত বস্তুটির উপর নেগেটিভ বা পজিটিভ স্থাপন করে তার প্রতিলিপি আসার জন্য রাসায়নিক দ্রবন ব্যবহার করে যে প্রতিচ্ছবি পরিস্ফুিটিত হয় তাকেই পরিস্ফুটন বলে