০১। মাইন সার্ভে বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠ হতে নুন্যতম ১০০ মি. গভীরতায় মাটির নিচে খনিজ পদার্থের অবস্থান, অনুসন্ধান খনিজের স্থান নির্বাচন, ভুত্বক সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান এবং কলা কৌশল প্রয়োগ করে খনিজ পদার্থের উদঘাটন ও উত্তোলন করার জন্য গৃহীত জরিপ কার্যক্রমেক খনিজ জরিপ বা মাইন সার্ভে (Mine Survey) বলে।
২। খনিজ জরিপ কেন করা হয়?
উত্তর: দেশের বেশির ভাগ সম্পদ ভূগর্ভে অবস্থান করে। এদের অবস্থান জানা, খনির স্থান নির্বাচন, ভুস্তর সম্পর্কে সকল তথ্য অনুসন্ধান অর্থকরী, খনিজ সম্পদ বা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নিরাপত্তার সাথে উত্তোলন করে জনগোষ্ঠীর কল্যাণ করার জন্যই খনি জরিপ করা হয়।
০৩। টানেল ট্রানজিট কি?
উত্তর: ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত পাঠ গ্রহণযোগ্য ভার্নিয়ারের সাথে একটি উলম্ববৃত্ত সংযুক্ত বেশ হালকা ধরনের থিওডোলাইট যন্ত্রকে টানেল ট্রানজিট বলে।
০৪। মাইনিং শ্যাফট কি?
উত্তর: ভূ-পৃষ্ঠ হতে ভূগর্ভস্থ খনি পর্যন্ত লম্বিক (Vertical) পথকে মাইনিং শ্যাফট (Mining Shaft) বলে। কাজের সুবিধার্থে কেন্দ্ররেখায় বিদ্যমান এক বা একাধিক খাড়া খোলা মুখ খনন করা হয়।
০৫। খনি জরিপে সার্ভেয়ারগণের কাজ কি?
উত্তর: খনি জরিপে সার্ভেয়ারগণের কাজ:
ক) প্রস্থচ্ছেদ সহ একটি সূক্ষ্ম ম্যাপ তৈরী করা ও খনিজ পদার্থ অনুসন্ধঅন করা, যাতে এক নজরেই বুঝা যায়। যে কোন অংশে খনিজ সম্পদ পাওয়া যাবে এবং কোন অংশে কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
খ) ভূগর্ভের ছাদ ধসে পড়া, আগুন লাগা, শ্বাসরোধ ও ভিতরের গ্যাসের বিষ ক্রিয়ায় মৃত্যুর হাত হতে নিরাপত্তার জন্য উচ্চ সতকর্তা অবলম্বন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
গ) ভূত্বক সম্পর্কে অন্য অনুসন্ধান করে মূল্যবান খনিজ দ্রব্য উত্তোলন করা।
০৬। আলোকসজ্জা কি?
উত্তর : জরিপতব্য ভূগর্ভস্থ এলাকা অনুসন্ধান এবং দৃশ্যতার দুরত্ব হওয়ার কারণে ক্রস হেয়ার কৃত্রিমভাবে আলোকিত করার প্রয়োজন। অন্ধকার দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রকার আলোর ব্যবস্থা করা হয় তাকে আলোকসজ্জা বলে।
০৭। খনি জরিপের ধাপগুলো কি কি?
উত্তর: খনি জরিপ নিম্নোক্ত ধাপে করা হয়। যথা:-
ক) ভূপৃষ্ঠ জরিপ
খ) ভূপৃষ্ঠস্থ অ্যালাইনমেন্ট ভূগর্ভে স্থানান্তর।
গ) ভূগর্ভে কেন কেন্দ্ররেখা স্থানান্তর।
ঘ) উলম্ব শ্যাফটের নিম্নে এলিভেশনের পার্থক্য নির্ণয়।
ঙ) ভূগর্ভে লেভেল স্থানান্তর
০৮। টানেল ভেন্টিলেশনের প্রয়োজনীয়তা কি?
উত্তর: ভূগর্ভস্থ টানেলের অভ্যন্তরে যথাযথভাবে মুক্তবায়ু চলাচলের পথকে টানেল ভেন্টিলেশন বলা হয়। এটা রেলওয়ে, হাইওয়ে, বড় বড় শহর, হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট, ইরিগেশন প্রজেক্ট, খনি জরিপ ইত্যাদির কাজে বায়ু চলাচলের জন্য টানের ভেন্টিলেশন ব্যবহার করা হয়।
০৯। ভূগর্ভস্থ জরিপ কি?
উত্তর: খনিজ জরিপের ক্ষেত্রে ভূ-গর্ভস্থ এলাকার খনির সুড়ঙ্গপথ, প্রধান রাস্তা, বায়ু, নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, খনিজ দ্রব্য উত্তোলন, যন্ত্রপাতি, স্থাপনের স্থান ইত্যাদি সঠিকভাবেন নিরুপনের জন্য ভূগর্ভে যে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, তাকে ভূগর্ভস্থ জরিপ বলে।
১০। খনি জরিপের উদ্দেশ্য লিখ?
উত্তর: খনি জরিপের উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপ
১। প্রস্থচ্ছেদসহ (Sections) একটি সূক্ষ্ম ম্যাপ তৈরী করা ও খনিজ পদার্থ অনুসন্ধান করা, যাতে এক নজরেই বুঝা যায় যে, কোন অংশে খনিজ সম্পদ পাওয়া যাবে এবং কোন অংশে কর্যক্রম শুরু করা যাবে।
২। নূন্যতম ১০০ মিটার গভীরের খনিজ দ্রব্য তাদের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য।
৩। কয়লা, কঠিন শিলা, গ্যাস, তেল, পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ, স্বর্ণ, লৌহ, মাটির গভীরে অবস্থান করে, সে সমস্ত পদার্থগুলোর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করে উত্তোলন করার জন্য।
৪। ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ, প্রধান রাস্তা এবং বাতাস নিষ্কাশন ব্যবস্থার অবস্থান নির্ণয় করা।
৫। ভূগর্ভের বিভিন্ন অ্যালাইনমেন্ট এভাবে তৈরি করা যেন কেউ বিভ্রান্ত (Confused) বা হারিয়ে না যায়।
৬। খনিজ পদার্থ উত্তোলনের উদ্দেশ্যে, যন্ত্রপাতি স্থাপনের উত্তম স্থান নির্বাচন করার জন্য।
৭। মুক্ত বায়ু চলাচল এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রয়োগ করার জন্য।
৮। নির্দেশিত খনি সমূহের অবস্থানে ত্রুটিযুক্ত ফাটল বা গর্তসমূহের অবস্থান নির্ণয় এবং কার্যোপযোগী অনুপযোগী অংশের চিহ্নিতকরণ।
৯। ভূগর্ভস্থ মাইনর মাইনিং Shaft এর তলার লেভেল এবং উচ্চতা নির্ণয় করা বাস্তবিকপক্ষে সম্পূর্ণ ভূগর্ভের কার্যক্রমের এবং গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ও প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যাদির নকশা ভূপৃষ্টের সাপেক্ষে উপস্থাপন করা যায়। ভূপৃষ্ঠের উপর প্লানিমেট্রিক অবস্থানে বিদ্যমান প্রকৌশল কার্যক্রম যেমন- রাস্তা, বিল্ডিং, প্রবাহ ধারা (Stream) ব্যক্তিগত সম্পত্তির সীমানা ইত্যাদি ভূমি জরিপের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। অপরপক্ষে ভূ নিম্নস্থ কার্যক্রমের নকশা মাইন সার্ভেয়িং এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
১১। টানেল অব কার্ড কি?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপরে রাস্তায় যেমনভাবে কার্ড বাঁক স্থাপন করা হয়। টানেল এ তেমনিভাবে কার্ড তৈরি করা হয়। তবে টানেল এ প্রধানত কার্ভ যতদূর সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া হয়। কেননা, ভূগর্ভে কার্ড থাকলে খুব অসুবিধার সৃষ্টি হয়। একান্তই যদি এড়ানো না যায় তাহলে ভূপৃষ্ঠের উপরেই প্রত্যাশিত বাঁক তৈরী করে সেট আউট করতে হয়। সেই জন্য স্পর্শক বিন্দুর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করে মাটির উপরে যথেষ্টভাবে (ভালোভাবে) মাপজোক করতে হয়। তারপর সেই কার্ড চেইন ও থিওডোলাইট এর সাহায্যে মাটির নিচের (টানেল) এ তৈরি করা হয়।
১২। মাইন সার্ভের অসুবিধাগুলো উল্লেখ কর:
উত্তর: মাইন সার্ভেয়িং এর ক্ষেত্রে খনিজ প্রকৌশলীকে (Minning Engineer) বহুবিধ সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীণ হতে হয়। নিম্নে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উল্লেখ করা হল:-
১। মুক্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থার সমস্যা।
২। নরম মাটিতে শ্যাফট খনন সমস্যা।
৩। ভূগর্ভে নিষ্কাশন ব্যবস্থার সমস্যা।
৪। খনি ছাদের আকস্মিক ধসের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমস্যা।
৫। খনি অভ্যন্তরে গ্যাসের উপস্থিতি।
৬। খনি অভ্যন্তরে উচ্চ তাপমাত্রার উপস্থিতি।
৭। আগুনের বিরুদ্ধে সতর্কতা।
৮। জরুরী ভিত্তিতে রেহাই পাওয়ার পথ। কিন্তু ভূমি জরিপকর, টানেল, টানেলের প্রকৃত অ্যালাইনমেন্ট এবং টানেলের প্রকৃত দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের মাধ্যমে টানেদের খাড়া দৈর্ঘ্যের পরিমাপ করে যন্ত্রের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ লেভেলিং এবং ট্রাভার্সিং করে ভূপৃষ্ঠ জরিপের সাথে ভূগর্ভস্থ জরিপের সংযোগ সাধন করে উপরোক্ত বিষয়াদি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
১৩। টানেল স্থাপনে বাঁকের সুবিধা ও অসুবিধা লেখ।
উত্তর: টানেল স্থাপনে বাঁকের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো নিম্নরূপ:
সুবিধা:
১। টানেলের মধ্যে হঠাৎ দিক দিক পরিবর্তনের অসুবিধা দূর করার জন্য;
২। টানেলের পার্শ্বদেশের ক্ষয়রোধ করার জন্য;
৩। দিক পরিবর্তন সহজতর করার জন্য এবং
৪। নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করার জন্য;
অসুবিধা:
১। এতে খরচের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
২। ইহা প্রত্যাশিত হলে ও সহজ করা যায় না।
৩। বাস্তবসম্মত না হলেও ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে পর্যাপ্ত সংখ্যক পরিমাপের মাধ্যমে স্পর্শক বিন্দু সমূহের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
৪। বাঁকসমূহ স্পর্শক হতে অফসেট পদ্ধতিতে ভূ অভ্যন্তরে সংস্থাপন করা কষ্টকর।
১৪। টানেল বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: টানেল হলে একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ। এটা হাইওয়ে,বড় বড় শহর, হাইড্রোইলেকট্রিক প্রজেক্ট, ইরিগেশন প্রজেক্ট, খনি জরিপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নির্মাণ করা হয়।
১৫। টানেল সার্ভে বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: দুই বা ততোধিক বিন্দু সংযোগকারী কোনো স্থান দিয়ে সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করার জন্য যে জরিপ পরিচালনা করা হয়, তাকে টানেল সার্ভে বা সুড়ঙ্গ পথ জরিপ বলে। এই সার্ভে ভূগর্ভের ভিতর অথবা ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে পরিচালনা করা হয়।
১৬। সাইট পোল কি?
উত্তর: দুই বা ততোধিক ষ্টেশনকে দৃশ্যমান করার জন্য দিবা সিগন্যাল হিসেবে যে পোল ব্যবহৃত হয়, তাকে সাইট পোল বলে।
১৭। কোণ পরিমাপের আধুনিক যন্ত্রের নাম লিখ।
উত্তর: ১। থিওডোলাইট ২। টোটাল ষ্টেশন ৩। জিপিএস ৪। ইডিএম
১৮। ২০ সে.মি থিওডোলাইট বলতে কি বুঝায়?
উত্তর যে থিওডোলাইটের দাগকাটা নিম্নপাতের ব্যাস ২০ সেমি সেই থিওডোলাইটকে ২০ সেমি থিওডোলাইট বলা হয়।
১৯। টানেল জরিপের ধাপগুলো লিখ।
উত্তর: টানেল জরিপের ধাপগুলো হলো-
ক) ভূপৃষ্ঠস্থ জরিপ
খ) ভূপৃষ্ঠস্থ অ্যালাইমেন্ট
গ) সঠিক অ্যালাইনমেন্ট
ঘ) গ্রেড ইন টানেল
২০। টানেল বা সুড়ঙ্গ নির্মাণের উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
উত্তর: সুড়ঙ্গ নির্মাণের উদ্দেশ্য হলো:-
ক) এটা চূড়া দ্বারা পৃথককারী দুটি ষ্টেশনের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমায়:
খ) ভূমির ঢাল হ্রাস করে।
গ) খোলাভাবে খননকৃত কোন জায়গার রক্ষনাবেক্ষণ ও হিমবাহের খরচ পরিহার করে।
ঘ) এটা বড় শহরগুলোতে দ্রুত যাতায়াতের চাহিদা পূরণ করে।
২১। টানেল জরিপের স্কেলগুলো লিখ।
উত্তর: টানেল পথের অ্যালাইনমেন্ট বরারব ১: ১০০০ থেকে ১: ৫০০০ স্কেলে জরিপ করা যেতে পারে। ট্রানজিট থিওডোলাইটর সাহায্যে কমপক্ষে ৩ কি.মি থেকে ৫ কি.মি দৈর্ঘ্যে প্রস্তাবিত অ্যালাইনমেন্ট উভয় পার্শ্ব প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করে ৫ মি. কন্টুর ব্যবধানে ১: ২০০০ স্কেলে মানচিত্র অংকন করা হয়।
২২। খনি শ্যাফটের উচ্চতা নির্ণয়ের পদ্ধতি কয়টি ও কি কি?
উত্তর: খনি শ্যাফটের উচ্চতা নির্ণয়ের পদ্ধতি ৪টি। যথা-
ক) ইস্পাতের ফিতার সাহায্য
খ) চেইনের সাহায্যে
গ) বিশেষভাবে নির্মিত রড
ঘ) তারের সাহায্যে
২৩। মাইনিং ট্রানজিট কি?
উত্তর: সাধারণত ভূগর্ভে খনিতে বা টানেলে একটি বর্ধনশীল তেপায়াবিশিষ্ট সাধারণ ইঞ্জিনিয়ার্স ট্রানজিট। এতে একটি পূর্ণ উলম্ববৃত্ত, সংবেদনশীল টেলিস্কোপ বাবল এবং অনুভূমিক অক্ষের জন্য পছন্দসই একটি স্ট্রাইডিং লেভেল ৫ ইঞ্চি (৭.৫০ সে.মি) ব্যাসের অনুভূমিক বৃত্তবিশিষ্ট যন্ত্রই মাইনিং ট্রানজিট।
২৪। ঝুলন্ত খনি কম্পাস কাকে বলে?
উত্তর: ঝুলন্ত ফ্রেমযুক্ত কম্পাস। ঝুলন্ত ফ্রেমে সুতা ভূস্তরের গভীর পর্যন্ত ঝুলানো হয় এবং ঢালকে বৃহৎ ব্যাসার্ধের ক্রিনোমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়।
২৫। ঝুলন্ত খনি কম্পাস কত ধরনের?
উত্তর: ঝুলন্ত খনি কম্পাস ২ ধরনের।
ক) ক্যাসেল টাইপ।
খ) ফ্রিবার্গ টাইপ।
২৬। রিটারেশন থিওডোলাইট কি?
উত্তর : রিটারেশন বা নির্দেশক থিওডোলাইট একটি খাড়া অক্ষ সম্বলিত থিওডোলাইট। যাতে ভার্নিয়ারের পরিবর্তে দুটি বা তিনটি মাইক্রোমিটার মাইক্রোস্কোপ লাগানো থাকে। যার সাহায্যে ক্ষুদ্রতম ভাগের পাঠ গ্রহণ করা হয়।
২৭। ৬" থিওডোলাইট বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: যে থিওডোলাইটের দাগকাটা নিম্নপাতের ব্যাস ৬" তাকে ৬" থিওডোলাইট বলে।
২৮। রিপিটিং ও সাধারণ থিওডোলাইটের পার্থক্য লিখ।
উত্তর: রিপিটিং সাধারণ থিওডোলাইটের পার্থক্য:
সাধারণ থিওডোলাইট
১। সাধারণ ভাবে কোন মাপার জন্য সাধারণ থিওডোলাইট ব্যবহার করা হয়।
২। সাধারণ ভার্নিয়ার ব্যবহার করা হয়।
৩। এটি দ্বারা ট্রাভার্সের কোণ গুলো পরিমাপ করা হয়।
৪। সাধারণ থিওডোলাইট দ্বারা সকল পাঠ নেওয়া যায় না।
৫। দূরবীন সাধারণ মানের বলে বিবর্ধন ক্ষমতা কম।
৬। এটির মূল্য কম।
রিপিটিং থিওডোলাইট
১। পুনরাবৃত্তি পদ্ধতিতে কোণ মাপার জন্য রিপিটিং। থিডোলাইট ব্যবহার করা হয়।
২। দুই বা ততোধিক ভার্নিয়ার ব্যবহার করা হয়।
৩। এই থিওডোলাইট দ্বারা দ্বিতীয় ক্রম এবং তৃতীয় ক্রম ত্রিভুজায়নের কোণ গুলো পরিমাপ করা হয়।
৪। রিপিটিং থিওডোলাইট দ্বারা সকল পাঠ নেওয়া যায়।
৫। এই থিওডোলাইটের দুরবীনের বিবর্ধন ক্ষমতা বেশী।
৬। এটির মূল্য বেশী।
২৯। ঝুলন কম্পাসের ব্যবহার লিখ:
উত্তর: খনি জরিপে ঝুলন কম্পাসের সাহায্যে অনুভুতিক ও উলম্ব কোণ পরিমাপের জন্য ব্যবহার করা হয়।
৩০। সাহায্যকারী দূরবীনের উলম্ব কোণ 30°00′। প্রধান ও সাহায্যকারী দুরবীনের মধ্যবর্তী কেন্দ্রবিন্দুর দুরুত্ব 5 সেমি। প্রধান দূরবীনের কেন্দ্র হতে পর্যবেক্ষন বিন্দুর দুরত্ব 75 মি.। নিম্নমুখী আনত এবং উর্ধ্বমুখী আনত কোণ নির্ণয় কর।
সমাধান:
দেওয়া আছে,
D=5 সে.মি
d=75 মি.
=75×100=7500 সে.মি
α = 30°00"
আমরা জানি,
সংশোধনী
B=sin-1D/d
= sin1 57500
= 0°2′17.51"
.. নিম্নমুখী আনত = a -β
=30°00′-0°2′17.57"
=29°57′-42.49"
=29°57'42.49"
উর্ধ্বমুখী আনত =α+β
=30°+0°2′17.51"
=30°0°2′17.51"
=30°2′17.51" Ans:
৩১। টানেলের কেন্দ্ররেখা স্থাপনের ধাপগুলো লিখ:
উত্তর: টানেলের কেন্দ্র রেখা স্থাপনের ধাপগুলো হলো:-
ক) ভূপৃষ্ঠে জরিপ বা সেটিং আউট।
খ) ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ জরিপের সংযোগ
গ) ভূগর্ভস্থ সেটিং আউট
ঘ) সুড়ঙ্গের টানেল।
৩২। টানেলের কেন্দ্ররেখা স্থাপনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির নাম লিখ।
উত্তর: ১। ট্রানজিট থিওডোলাইট
২। ইঞ্জিনিয়ার্স চেইন
৩। ইস্পাত ফিতা
৪। খুঁটি ইত্যাদি।
৩৩। বিয়ারিং অব ড্রিফট (Bearing of Drift) কাকে বলে?
উত্তর : খনির অভ্যন্তরে খনিজ দ্রব্য আহরনের জন্য যে ড্রিফট সুড়ঙ্গপথ তৈরী করা হয়। তার নির্ধারিত দিক নির্ণয় করার জন্য খনির মধ্যে ক্রনটন কম্পাসের সাহায্যে বিয়ারিং নির্ণয় করে দিক ঠিক করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে বিয়ারিং অব ড্রিফট (Bearing of Drift) বলে।
৩৪। খাদ বা শ্যাফট কাকে বলে?
উত্তর: নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে সুড়ঙ্গের কেন্দ্ররেখায় বিদ্যমান এক বা একাধিক খাড়া খোলামুখের ন্যায় গর্ত নির্ণয় করা হয় তাকে খাদ বা শ্যাফট (Shaft) বলে।
৩৫। খাদের নিচের কেন্দ্র রেখা স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা লিখ।
উত্তর: খাদের নিচে কেন্দ্র রেখা স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা:
১। ভূপৃষ্ঠে নির্ধারিত কেন্দ্ররেখা পাওয়ার পর, ভূগর্ভে কেন্দ্র রেখাকে স্থানান্তর করিয়ে তা হতে টানেলকে প্রয়োজনীয় দিকে নেওয়ার জন্য।
২। খনির মেঝের আরএল নির্ণয়।
৩। খনির মেঝের দিক নির্ণয় করার জন্য
৪। খনির ভিতরের খনিজ দ্রব্য আহরনের পথ তৈরী ও পরিকল্পনার জন্য।
৫। খনি শ্রমিকদের যাতায়াতের পথ সহজকরণ করার জন্য।
৩৬। টানেলের বেঞ্চমার্ক (বিএম) স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা লিখ।
উত্তর: টানেলের বাইরের প্রান্তে অবস্থিত বেঞ্চমার্ক হতে স্পিরিট লেভেলিং এর সাহায্যে টানেলের ভিতরে লেভেলিং কাজ পরিচালনা করা হয়। অন্য বেঞ্চমার্ক টানেলের মেঝেতে অথবা টানেলের পার্শ্বে ব্রিক ওয়ার্ক জোড়ায় স্থাপন করা হয়। এটা সমস্ত টানেল কার্যক্রমে নিয়মিত স্মারক নির্দেশক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। যেমন: সিমেন্ট এবং রং করা ডগ স্পাইক স্থাপন করা হয়। যেন প্রত্যেকে এটা চিনতে পারে এবং তাদের গুরুত্ব অনুায়ী ব্যবহার করতে পারে। টানেল নির্মাণে যত দূর সম্ভব বেঞ্চমার্ক গুলো সুনির্দিষ্ট লেভেলে স্থাপন করা হয়। বেঞ্চমার্কের অবস্থান এমনভাবে নির্বাচন করা উচিত যেন কাজের অগ্রগতিতে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না করে। কাজ চলাকালীন সময়ে নতুন কতগুলো বেঞ্চ মার্ক মাঝে মাঝে স্থাপন করা হয় এবং টানেল সংযোগকারী দুই প্রান্ত লেভেলিং কার্যক্রম দ্বারা চূড়ান্তভাবে লেভেলগুলো একপ্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত নিরীক্ষণ করা হয়। টানেলে নির্মাণে বেঞ্চ মার্ক অতিগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩৭। টানেল খনন কার্যের সমস্যার উৎসগুলো লিখ।
উত্তর: টানেল খনন কার্যের সমস্যার উৎসগুলোঃ-
১। নরম মাটিতে খনন কার্যের সমস্যা।
২। টানেলের ছাদ আকস্মিক ধসের সমস্যা।
৩। মুক্তবায়ু চলাচল ব্যবহার সমস্যা।
৪। টানেলের অভ্যন্তরে গ্যাসের সমস্যা।
৫। ভূগর্ভস্থ পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থার সমস্যা।
৬। টানেলের ভিতর তাপমাত্রার পরিবর্তনের সমস্যা
৭। আগুনের সমস্যা।
৩৮। টানেল জরিপের ভুলের মাত্রা কত?
উত্তর: টানেল অ্যালাইনমেন্টের দৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ভুলের মাত্রা 1 সে.মি 10 সে.মি এবং উচ্চতা (Level) এর ক্ষেত্রে 0.002 সে.মি থেকে 5 সেমি।
৩৯। স্বতন্ত্ররাশি কাকে বলে?
উত্তর: একটি রাশিকে তখনই স্বতন্ত্র রাশি বলা হয়, তখন এর মান অন্যান্য রাশির উপর নির্ভরশীল নয় এবং একটি রাশির মানের পরিবর্তনে এর মানের কোন পরিবর্তন হয় না। স্বতন্ত্র রাশি সমূহের মধ্যে কোন সম্পর্ক স্থাপিত হয় না। উদহারণস্বরূপ বলা যায় যে, কতিপয় বেঞ্চ মার্কের R.L সমূহ।
৪০। শর্তযুক্ত রাশি কাকে বলে?
PIC
উত্তর: শর্তযুক্ত রাশি সেটাই যার মান এক বা একাধিক পরিমাণ বা সংখ্যার মানের উপর নির্ভরশীল। এটি অন্যান্য পরিমাণ বা পরিমাণ সমূহের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক মেনে চলে। এটাকে নির্ভরশীল পরিমাণ বা সংখ্যাও বলা হয়। উদাহরণ একটি ABC বিভুদ্ধে ∠A+ ∠B+∠C=180° এই ধরনের শর্তযুক্ত সমীকরণে যে কোন দুইটি কোণ, স্বাধীন হিসেবে আখ্যায়িত হয় এবং তৃতীয়টি সর্বদা অপর দুইটির উপর নির্ভরশীল বা শর্তযুক্ত।
৪১। পর্যবেক্ষণকৃত রাশি কাকে বলে?
উত্তর: পরিমাণকৃত কোনো রাশির গাণিতিক মানকেই পর্যবেক্ষণ (Observation) বলে। একটি কৌনিক বা রেখিক যে কোন মানের হতে পারে। যেমন: ∠A=60°32′30″, বাহু AB = 220m.
৪২। সর্বাধিক সম্ভাব্য ভ্রান্তি বলতে কি বোঝায়?
উত্তর: যখন কোন রাশির মান অন্যান্য রাশির তুলনায় প্রকৃত মানের খুব নিকটবর্তী হয়। তখন উক্ত মানকে ঐ রাশির সর্বাধিক সম্ভাব্য মান বলা হয়। এটি হ্রাস করা হয় সেই পরিমাণ থেকে যার উপর ভিত্তি করে মাপা হয়। যখন 10 হওয়ার জন্য কাছাকাছি মান যেটা হবে সেটাই অধিক সম্ভাব্য মান। যেমন-7.725, 8.350, 9.000
৪৩। প্রকৃত ভ্রান্তি কি?
উত্তর: কোন পরিমাণ বা সংখ্যার প্রকৃত মান ও এর পর্যবেক্ষিত মানের মধ্যকার যে পার্থক্য তাই হল প্রকৃত ভ্রান্তি। এর মান কখনই জানা সম্ভব হয় না।
৪৪। অবশিষ্ট ভ্রান্তি কাকে বলে?
উত্তর: কোন পরিমাণ বা সংখ্যার সর্বাধিক সম্ভাব্য মান ও এর পর্যবেক্ষিত মান এই দুইয়ের মধ্যে যে পার্থক্য তাকেই অবশিষ্ট ভ্রান্তি বলে।
৪৫। শর্তযুক্ত সমীকরণ বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: কতিপয় রাশির সাথে সম্পর্ক রেখে প্রকাশিত সমীকরণকে শর্তযুক্ত সমীকরণ বলে। এতে রাশি গুলোর মধ্যেই এক বা একাধিক শর্ত আরোপিত হতে পারে।
৪৬। নরমাল সমীকরণ বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: যার সাধারণ সমীকরণ জানা যাবে, এমন কোনো অজানা সহগ দ্বারা, প্রত্যেক সমীকরণকে গুণ করে যোগ করার পর যে সমীকরণটি গঠিত হয়,ত তাকেই নরমাল সমীকরণ বলে।
৪৭। রাশির প্রকৃত মান বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: যে মান সব রকম ভ্রান্তি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত তাকেই পরিমাণ বা সংখ্যার প্রকৃত মান বলে। যদি প্রকৃত ভ্রান্তি কখনই জানা না থাকে তাহলে পরিমানের বা সংখ্যার মান অনির্ণয় থেকে যায়।
৪৮। ভ্রান্তি সমূহ কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: ভ্রান্তি সাধারণ ৪ প্রকার। যথা-
ক) পুঞ্জীভূত ভ্রান্তি বা সুশৃঙ্খল বা পর্যায়ক্রমিক ভ্রান্তি
(Commulative or Systmetic Error)
খ) ক্ষতিপূরক ভ্রান্তি (Compenstation Error)
গ) আকস্মিক ভ্রান্তি (Accidental Error)
ঘ) ভুল (Mistake)
এছাড়াও অন্যান্য ভ্রান্তি সমূহের তালিকা নিম্নরূপ:
ক) প্রকৃত ভ্রান্তি (True Error)
খ) অবশেষ ভ্রান্তি (Residual Error)
গ) গড় ভ্রান্তি (Average Error)
ঘ) গড় বর্গ ভ্রান্তি (Mean Square Error)
ঙ) আদর্শ ভ্রান্তি (Standard Error)
চ) অনুমোদনযোগ্য ভ্রান্তি (Permissible Error)
ছ) সম্ভাব্য ভ্রান্তি (Probable Error)
৪৯। আদর্শ ভ্রান্তি কি?
উত্তর: আদর্শ ভ্রান্তি বা আদর্শ বিচ্যুতি হল, এক সেট পর্যবেক্ষণের একটি আদর্শ গাণিতিক ভ্রান্তির মান, যা নিম্নের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়। যদি n সংখ্যক পর্যবেক্ষণের মানগুলো যথাক্রমে X1 X2 X3. ...n হয় এবং ভ্রান্তির গড় মান হয়, x তবে আদর্শ ভ্রান্তি = (X1-X2)nআদর্শ ভ্রান্তিকে গড় বিচ্যুতির বর্গমূলের গড় বর্গ ভ্রান্তি ও বলা হয়, আদর্শ ভ্রান্তির অনুমিত মান= আদর্শ ভ্রান্তির n। যেমন: n পর্যবেক্ষন সংখ্যা।
৫০। সর্বাধিক সম্ভাব্য মান বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: যখন কোন রাশির মান অন্যান্য রাশির তুলনায় প্রকৃত মানের নিকটবর্তী হয়, তখন উক্ত মানকে ঐ রাশির সর্বাধিক সম্ভাব্য মান (Most Probable Value) বলে। এটি কতিপয় পরিমাপের উপর ভিত্তি করে প্রতিপাদন করা হয়।
৫১। রাশির সর্বাধিক সম্ভাব্য মান নির্ণয়ের ক্ষেত্র সমূহ লিখ।
উত্তর: রাশির সর্বাধিক সম্ভাব্য মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রগুলো হলো:
ক) সমওয়েটের সরাসরি পর্যবেক্ষণ
খ) অসম ওয়েটের সরাসরি পর্যবেক্ষণ।
গ) সমওয়েটের পরোক্ষ পর্যবেক্ষণ।
ঘ) অসমওয়েটের পরোক্ষ পর্যবেক্ষণ।
ঙ) শর্তযুক্ত রাশি সমূহ।
৫২। নিচে লিখিত পর্যবেক্ষণ সমীকরণ থেকে A কোণের সর্বাধিক সম্ভাব্য মান বের কর।
A=30°28′20″
3A-91°25'55"
4A-121°54′30″
সমাধান: A এর নরমাল সমীকরণ:
A=30°28′20″
9A-274°17'45"
16A-487°38′0"
26A-792°24'25"
A=30°28′37.88" (উত্তর)
৫৩। নিচে লিখিত পর্যবেক্ষিত পরিমাণ থেকে A কোণের সর্বাধিক সম্ভাব্য মান নির্ণয় কর।
A = 32°25′54"
ওয়েট = 2
3A 97°16′05"
ওয়েট = 3
সমাধান:
2A = 64°51′30″
9A = 875°24′45″
11A=940°16'15"
A=85°28′45″ (উত্তর)
৫৪। জরিপকালে কোণ এ পরিমাপ করে নিচে লিখিত তথ্যাদি পাওয়া গেল। A কোণের সর্বাধিক সম্ভাব্য মান নির্ণয় কর।
কোণ
74°40′45″ ওয়েট = 2
74°40′20″ ওয়েট = 3
74°38′15″ ওয়েট = 3
74°40′00″ ওয়েট = 2
সমাধান: A কোণের সর্বাধিক সম্ভাব্য মান:
LA = m₁W1+m2w₂ + M3W3 + M4W4 W1+W2+W3+ W4
= 74°40'45″ x 2 + 74°40'20″ x 3 + 74°38'15″ x 3 + 74°40'0" x 22+3+3+2
= 74°39′43.5" (উত্তর)
৫৫। নিচের পর্যবেক্ষণ হতে A কোণের সর্বাধিক সম্ভাব্য মান বের কর।
2A= 20°12′20.4"
গুরুত্ব-2
4A = 40°24′42"
গুরুত্ব-3
সমাধান-
A এর নরমাল সমীকরণ:
8A= 88°49′21.6"
48A=484°56'24"
56A=573°45′45.6"
A = 10°14′44.74" (উত্তর)
৫৬। সম্ভাব্য ভ্রান্তি কী?
উত্তর : সম্ভাব্য ভ্রান্তি হলো একটি গাণিতিক রাশি। যা ফলাফলের নির্ভুলতা বা সূক্ষ্মতা সম্পর্কে পরম ধারণা দেয়। কতিপয় জ্ঞাত ভ্রান্তি সমূহের সাথে তুলনা করা হয়। এর মান সর্বদাই পর্যবেক্ষণই রাশির সাথে যোগ বা বিয়োগ আকারে লিখা হয়।
৫৭। ভিত্তি রেখা মাপনের প্রয়োজনীয়তা লিখ।
উত্তর: ভিত্তি রেখা মাপনের প্রয়োজনীয়তা:
১। সমগ্র এলাকায় ত্রিভুজের অন্যান্য বাহুগুলোর দৈর্ঘ্য হিসাব করে বের করার জন্য।
২। সকল ত্রিভুজের বাহুর দৈর্ঘ্য সরেজমিনে পরিহার করার জন্য।
৩। অধিক সংখ্যক রৈখিক পরিমাপে ভুল ত্রুটির সম্ভাবনা কমানোর জন্য।
৪। ভিত্তিরেখা পরিমাপে মাঠের কাজের পরিধি কমানোর জন্য।
৫। নিখুঁত মানচিত্র তৈরী করতে।
৫৮। স্টেশন সমন্বয়ন বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: স্টেশন সমন্বয়ন হলো কোন স্টেশনের দুই বা ততোধিক পরিমাপকৃত কোণের সর্বাধিক সম্ভাব্যমান বের করা, যাতে জ্যামিতিকভাবে সংগতিপূর্ণ শর্ত পূরণ করে।
৫৯। দিগন্ত আবদ্ধকরণ বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: কোন স্টেশনে যখন অন্তঃস্থ ও বহিঃস্থ কোণ মেপে কোণের মান বের করা হয়, তখন একে দিগন্ত আবদ্ধকরণ বলে।
৬০। ত্রিভুজায়ন সমন্বয়ন কাকে বলে?
উত্তর: ত্রিভুজায়ন জরিপের ক্ষেত্রে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রই ত্রিভুজে বিভক্ত করে কোণগুলো পর্যবেক্ষণ করে, প্রাপ্ত মানগুলো সংশোধন করার প্রয়োজন হয়। কোণের যোগফলের মান, তাত্ত্বিক যোগফলের মানের কম বা বেশির উপর ভিত্তি করে সংশোধনীর মান যোগবোধক ও বিয়োগবোধক করে সমন্বয়ন করা হয়। একে ত্রিভুজায়ন সমন্বয়ন বলে।
৬১। গোলকীয় ত্রিভুজ কি?
উত্তর : মহাবৃত্তের তিনটি বৃত্তচাপ দ্বারা গঠিত ত্রিভুজকেই গোলকীয় ত্রিভুজ বলে। গোলকীয় ত্রিভুজের তিন কোণের যোগফল সর্বদাই 180° অপেক্ষা বেশি হয়।
৬২। গোলকীয় আধিক্য নির্ণয়ের সূত্রটি লিখ।
উত্তর: গোলকীয় আধিক্য, SE A×648000πR2 সেকেন্ড
এখানে,
A = গোলকীয় ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল।
R = পৃথিবীর ব্যাসার্ধ।
৬৩। গোলকীয় ত্রিভুজের বাহুর দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের পদ্ধতি কি কি?
উত্তর: গোলকীয় ত্রিভুজের বাহুর দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের পদ্ধতি হলো:
ক) গোলকীয় ত্রিকোণমিতির সাহায্যে
খ) ডিল্যামব্রির সাহায্যে
গ) লিজেনড্রির সাহায্যে।
৬৪। জরিপ রেখার বিয়ারিং ও আজিমাথ কি?
উত্তর: বিয়ারিং কোন রেখার বিয়ারিং হলো, প্রত্যেক স্টেশনের সুনির্দিষ্ট তল এবং উক্ত রেখা বরাবর অতিক্রমকারী মহাবৃত্ত তলের মধ্যবর্তী কোণকে বুঝায়।
আজিমাথ: একটি খ গোলকীয় জ্যোতিষ্ক যেমন: সূর্য বা তারকা মেরু বা মধ্যরেখার সাথে যে অনুভূমিক কোণ সৃষ্টি করে, তাকে আজিমাথ বলে।
৬৫। সুনির্দিষ্টতল কী?
উত্তর: জরিপকৃত এলাকার কাছাকাছি কোন বিন্দু দিয়ে অতিক্রান্ত আদর্শ প্লেনের সমান্তরাল তলকে সুনির্দিষ্টতল বা রেফারেন্স প্লেন বলে।
৬৬। মধ্যরেখার সমকেন্দ্রিকতা কাকে বলে?
উত্তর: দুটি বিন্দু দিয়ে অতিক্রান্ত মধ্যরেখার আজিমাথের মধ্যবর্তী কোণকে মধ্যরেখার সমকেন্দ্রিকতা বলে।
৬৭। অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ কাকে বলে?
উত্তর : অক্ষাংশ: বিষুবরেখা রেখা হতে পৃথিবীর পৃষ্ঠের কোন বিন্দু দিয়ে অতিক্রান্ত মধ্যরেখা পর্যন্ত দূরত্বকে অক্ষাংশ বলে।
দ্রাঘিমাংশ : প্রমাণ মধ্যরেখা থেকে ভূপৃষ্ঠের কোন নির্দিষ্ট বিন্দুদিয়ে অতিক্রান্ত মধ্যরেখা পর্যন্ত মধ্যবর্তী দূরত্বকে দ্রাঘিমাংশ বলে।
৬৮। জরিপে পৃথিবীর বক্রতার প্রভাব কি কি?
উত্তর: জরিপ কাজে পৃথিবীর বক্রতার প্রভাব দুই ভাবে বিস্তার করে।
১। গোলকীয় আধিক্য।
২। মধ্যরেখার সমকেন্দ্রিকতা।
৬৯। AB রেখার দিগংশ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: এ বিন্দু দিয়ে অতিক্রান্ত মধ্যরেখার তল এবং AB রেখা বরাবর অতিক্রমকারী মহাবৃত্ত তলের মধ্যবর্তী কোণকে বুঝায়।
৭০। লেভেল নেট (Level Net) কী?
উত্তর: তিন বা ততোধিক বেঞ্চমার্ক সংযোগকারী লেভেল লাইন দ্বারা গঠিত লেভেল গুলোর আন্ত:সংযোগকারী নেটওয়ার্ককে লেভেল নেট (Level Net) বলে।
৭১। গড় অক্ষাংশ 52°45′ হলে, 30km দ্রাঘিমার জন্য মধ্যরেখার কেন্দ্রাভিমুখী বিচ্যুতির পরিমাণ নির্ণয় কর। পৃথিবীর ব্যাসার্ধ, R = 6370km
৭২। A এবং B দুটিস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ যথাক্রমে 47°30′ উ: 118°50′10″ পঃ এবং 48°50′45″ উ: 120°14′16″ পশ্চিম। মধ্যরেখা মেরু কেন্দ্রাভিমুখী বিচ্যুতি কত?
সমাধান:
দ্রাঘিমার পার্থক্য = 120°14′16″ 118°50′10″ = 1°24′6"
গড় অক্ষাংশ =47°30' + 48°50'45″2 = 48°10′22.5
• কেন্দ্রাভিমুখী বিচ্যুতি, CM = দ্রাঘিমার পার্থক্য X sin গড় অক্ষাংশ
= 1°24'6" × sin 48°10′22.5"
= 1°2′40.08" (উত্তর)
৭৩। 50 কি. মি. দ্রাঘিমাংশ এবং 65°40′ গড় অক্ষাংশ বিশিষ্ট কোন মধ্যরেখার সমকেন্দ্রিকতার মান নির্ণয় কর। R636800m.