ট্রাভার্সিং এন্ড ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভেয়িং


প্রশ্নঃ- ০১। ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে কাকে বলে?

ক্যাডাস্ট্রাল বা কিস্তোয়ার অর্থ কিত্তা, কিত্তা করে জরিপ করা। Codastral শব্দটি ফরাসি শর অর্থ কিত্তা, কিত্তা করে জরিপ করা। "Cadastre" হতে উৎপত্তি হয়েছে। Cadastre অর্থ হলো জরিপের রেজিষ্ট্রি বই। মৌজার ভৌগোলিক অবস্থান সম্বলিত মৌজার ম্যাপ ভূমি মালিকগণের প্রতিটি প্লট জরিপ করে জমির পরিমাণ, মালিকের নাম, জমির শ্রেণি, খাজনার পরিমাণ নির্ধারণ ইত্যাদি উল্লেখ করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়, তাকে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে বা কিস্তোয়ার জরিপ বলা হয়।


প্রশ্নঃ- ০২। ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভেকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?

উত্তর: ভূমি জরিপ তথা ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভেকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, যথা:

ক) সার্বিক জরিপ এবং

খ) দিয়ারা জরিপ।


প্রশ্নঃ- ০৩। সার্বিক জরিপ কাকে বলে?

উত্তর: কোনো জমির রাজস্ব ইউনিটের সমগ্র এলাকায় নকশা ও রেকর্ড প্রণয়নের জন্য যে জরিপ করা হয়, তাকে সার্বিক জরিপ (Major Settlement Operation) বলা হয়।


প্রশ্নঃ- ০৪। দিয়ারা জরিপ কাকে বলে?অথবা, আংশিক জরিপ কি?

উত্তর: নদী বা সমুদ্রের জেগে উঠা চর জরিপ করার জন্য যে জরিপ করা হয়, তাকে দিয়ারা জরিপ বা আংশিক জরিপ (Minor Settlement Operation) বলা হয়।


প্রশ্নঃ- ০৫। ভিত্তিরেখা কাকে বলে?

উত্তর: জরিপ কার্য পরিচালনার জন্য যে বাহু সর্বাপেক্ষা বড় এবং প্রধান রেখার দৈর্ঘ্য অত্যাধিক সতর্কতা ও নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা হয়, তাকে ভিত্তিরেখা (Base ine) বলা হয়


প্রশ্নঃ- ০৬। যাচাই রেখা কাকে বলে?

উত্তর: যাচাই রেখাকে প্রমাণ রেখা বা নিরীক্ষা রেখা বলা হয়। জরিপতব্য এলাকার কাজ সঠিক হয়েছে কিনা তা প্রমাণের জন্য কোনাকুনি যে রেখা টানা হয়, তাকে যাচাই রেখা (Check Line) বা প্রমাণ রেখা বলা হয়। অবশ্য ত্রিভুজের যে কোনো দুই বাহুর কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুদ্বয়ের সংযোজিত রেখা ও। ও যাচাই রেখা।


প্রশ্নঃ- ০৭। অপ্রধান ষ্টেশন বিন্দু কাকে বলে?

উত্তর: প্রধান জরিপ হতে বেশ দূরে কোনো বস্তু স্থানের সঠিক নকশা আঁকার সুবিধার্থে প্রধান জরিপ রেখার উপর জুত সই বিন্দু নির্বাচন করে সাহায্যকারী জরিপ রেখা টনা হয়। প্রধান জরিপ রেখার উপর নির্বাচিত বিন্দুকে গ্রন্থি ষ্টেশন বা অপ্রধান ষ্টেশন বিন্দু বলা হয়।


প্রশ্নঃ- ০৮। কিস্তোয়ার জরিপ করে কে?

উত্তর: কিস্তোয়ার জরিপ সাধারণত ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর করে।


প্রশ্নঃ- ০৯। কিস্তোয়ার জরিপের উদ্দেশ্য লেখ।

উত্তর: নিচে কিস্তোয়ার জরিপের উদ্দেশ্য গুলো দেয়া হল:-

১। জমির মালিকানা ও তার স্বত্ব নিরূপন করা;

২। জমির কর বা খাজনা নির্ধারণ করা;

৩। জমির শ্রেণি বিন্যাস নির্ণয় করা।

৪। জমি বিক্রয় ও হস্তান্তরের সুযোগ দান করা

৫। খাস জমি চিহ্নিত করা।

৬। প্রতিটি ভূমির খন্ড সরেজমিনে মেপে নির্দিষ্ট স্কেলে নকশা প্রণয়ণ করা।

৭। জমির নকশা ও রেকর্ড হালনাগাদ করা।

৮। জমির দলিলে আইনের বিবরণ লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা।চয়কে

৯। জমির ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করা

১০। কোন দাগের চৌহদ্দি পুনঃ নির্ধারণ করা।


প্রশ্নঃ- ১০। ভিত্তিরেখা পরিমাপে ত্রুটির উৎস গুলো লেখ। 

উত্তর: ভিত্তিরেখা পরিমাপের ত্রুটি উৎসগুলো হল:-

ক) ফিতার ভুল থাকলে।

খ) ঝুলনজনিত ত্রুটি।

গ) প্রখর রৌদ্র ও অত্যন্ত ঠান্ডা প্রবাহের ফলে।

ঘ)  ভূমি শক্ত ও মসৃন না হওয়া।


প্রশ্নঃ- ১১। কিস্তোয়ার জরিপের স্কেলগুলো লিখ।

সাধারণ স্কেল :

১৬" = ১ মাইল RF= ১/৩৯৬০

১" = ৫ চেইন (গান্টার), RF = ১/৯৯০

ঘনবসিত:

৩২" = ১ মাইল, RF = ১/১৯৮০

শহর এলাকা:

৬৪" = ১ মাইল, RF =১/৯৯০


প্রশ্নঃ- ১২। রেজিং রডের কাজ কি?

উত্তর: রেজিং রডের কাজ:-

ক) ষ্টেশন বিন্দু চিহ্নিতকরণ

খ) রেখা সোজাকরণ।


প্রশ্নঃ- ১৩। প্লেন টেবিল জরিপ কি?

উত্তর: প্লেন টেবিলের সাহায্যে জরিপ কাজ করা হয় বলে এটাকে প্লেন টেবিল জরিপ বলে। প্লেন টেবিল জরিপকে সংক্ষেপে PT Survey বলে।


প্রশ্নঃ- ১৪। প্লেন টেবিলের মূলনীতি কি?

উত্তর : প্লেন টেবিলের মূলনীতি হলো- প্রতিসমতা, সমানুপাত এবং সমান্তরালতা। চন্ডীক তোময়ী চেচক্রেীডী


প্রশ্নঃ- ১৫। অপটিক্যাল স্কয়ারের মূলনীতি কি?

উত্তর: "আলোকরশ্নি দুটি প্রতিফলকের উপর পর্যায়ক্রমে প্রতিফলিত হলে এদের অর্ন্তভুক্ত কোনোর প্রতিফলকদ্বয়ের অর্ন্তভুক্ত কোণের দ্বিগুণের সমান"। এটিই অপটিক্যাল স্কয়ারের মূলনীতি।


প্রশ্নঃ- ১৬। অপটিক্যাল স্কয়ারের কাজ কি?

উত্তর: কোন নির্দিষ্ট বিন্দু হতে শিকল রেখার উপর লম্বের পাদমূল চিহ্নিতকরণে এবং শিকল রেখার কোন বিন্দুতে লম্ব স্থাপনে অপটিক্যাল স্কয়ার ব্যবহার হয়।


প্রশ্নঃ- ১৭। বিভিন্ন প্রকার শিকলের নাম ও দৈর্ঘ্য লিখ।

উত্তর:

১। গান্টার শিকল ৬৬ ফুট বা, ২২ গজ বা, ২০.৩১ মি.

২। প্রকৌশল শিকল = ১০০ ফুট

৩। মিটার শিকল ২০ মি. এবং ৩০ মি.


প্রশ্নঃ- ১৮। রেজিং রড ও অফসেট রডের পার্থক্য লিখ।

উত্তর: রেজিং রড ও অফসেট রডের পার্থক্য নিম্নে দেওয়া হলো:-

অফসেট রড

রেজিং রড

১। অফসেট রড সচরাচর ৩ মি. দৈর্ঘ্যের হয়।

১। রেজিং রড ২ মি. বা ৩ মি. হয়।

২। অফসেট রড গোলাকার হয়।

২। এটি গোলাকার তবে অষ্টাভূজাকৃতির

৩। সমকোনে স্লট থাকে না।

৩। সমকোণে স্লট থাকে।

৪। শীর্ষে পতাকা থাকে না।

৪। শীর্ষে পতাকা থাকে।

৫। শীর্ষে আংটা থাকে না।

৫। শীর্ষে আংটা থাকে।


প্রশ্নঃ- ১৯। প্লেন টেবিলের জরিপের উদ্দেশ্য লিখ

উত্তর: প্লেন টেবিলের উদ্দেশ্য হলো:

১। মাঠের কাজ ও নকশার কাজ যথা সময়ে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে।

২। থিওডোলাইট স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকার বিস্তারিত তথ্যাদি সন্নিবেশনের উদ্দেশ্যে। 

৩। দ্রুত নকশায়ন ও মাঠের কাজ সম্পাদনের জন্য।

৪। কম খরচে, কম আয়াসে, কম সময়ে এবং একই সঙ্গে জরিপকরণ ও নকশা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে।


প্রশ্নঃ- ২০। সংশোধনী জরিপ কাকে বলে? বা আর.এস কি?

উত্তর: কোন জরিপ কার্যক্রম শেষ হবার পর ২০ থেকে ২৫ বছর অতিবাহিত হবার পর জমির মালিকানার শর্ত, জমির শ্রেণি ও রাজস্ব ইত্যাদির পরিবর্তন হওয়াটাই স্বাভাবিক। পরিবর্তনের ফলে নতুন করে যে জরিপ কার্যাদি পরিচালন করা হয়। তাকে সংশোধনী জরিপ (Revisional Survey) বা আর. এস বলে।


প্রশ্নঃ- ২১। এস.এ অপারেশন কি?

উত্তর: এস.এ পূর্ণরূপ হলো State Acquisition এস.এ অপারেশন সি.এস বা আর.এস এর মতো সরেজমিনে জরিপ কাজ নয়। জমিদারগণের জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণী তালিকা প্রণয়নের পর রায়তের বিবরণ সম্বলিত তালিকা খতিয়ান হিসেবে গণ্য করে কালেক্টরগণের নিকট হস্তান্তর করা হয়। তাকে এস.এ (State Acquisition) অপারেশন বলে।


প্রশ্নঃ- ২২। রেকডর্স অব রাইট কাকে বলে?

উত্তর: রেকর্ডস অব রাইট (Records of Right) ইংরেজী শব্দ। যার অর্থ হলো খতিয়ান বা স্বত্বলিপি। একর একাধিক দাগের সম্পূর্ণ বা আংশিক পরিমাণ ভূমি নিয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তির নামে সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সে ভূমি স্বত্ব প্রস্তুত করা হয়, , তাকে খতিয়ান বলে।


প্রশ্নঃ- ২৩। বুঝারত কাকে বলে?

উত্তর: জরিপের পঞ্চম স্তরে মৌজার সীমানা নির্ধারণের পর ৬ষ্ঠ স্তরে শুরু হয় বুঝারত। বুঝারত অর্থ হলো বুয়িা দেওয়া জরিপকারী সরেজমিনে প্রজাগণকে তাদের স্বত্ব অংশ বুঝিয়ে দিয়ে থাকেন বলে তাকে বুঝারত বলে।


প্রশ্নঃ- ২৪। খতিয়ান অর্থ কি?

উত্তর: খতিয়ান শব্দের অর্থ হলো জমি জমার হিসাব।


প্রশ্নঃ- ২৫। তসদিক অর্থ কি?

উত্তর: তসদিক অর্থ হলো সত্যায়ন করা বা সঠিকভাবে কোন কিছু নির্ধারণ করা।চীতি: চকট


প্রশ্নঃ- ২৬। তসদিক কাকে বলে?

উত্তর: খানাপুরি ও বুঝারতের পরবর্তী ধাপ হলো তসদিক। মৌজার জমিসমূহ প্রজাগণের জমি সংক্রান্ত কেনে সম্পত্তি থাকলে তা শ্রবণ করে পর্চার ভুলত্রুটি সংশোধন পূর্বক যে রেকর্ড সংশোধন করা হয়, তাকে তসদিক (Attestation) বলে।


প্রশ্নঃ- ২৭।সংশোধনী জরিপের উদ্দেশ্য লিখ।

উত্তর: সংশোধনী জরিপের উদ্দেশ্যে হলো:- 

১। সুষ্ঠভাবে রেকর্ড ও নকশার হালনাগাদ বা আধুনিকায়ন করা

২। ভূমির মালিকানা নির্ধারণ করা।

৩। পরিবার ভিত্তিক মালিকানা চিহ্নিত করা।

৪। নকশা হালনাগাদ করা।

৫। খাস জমি চিহ্নিত করা।

৬। ভূমি সংস্কার আইন বাস্তবায়ন করণ।

৭। খাজনা নির্ধারণ করা

৮। মৌজার মোট জমির পরিমাণ নির্ধারণ করা।


প্রশ্নঃ- ২৮। এস.এ অপারেশনের উদ্দেশ্য লিখ

উত্তর: এস.এ অপারেশনের উদ্দেশ্য: লোরচাল

১। এস.এ অপারেশনের মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য ক্ষতিপূরণ ধার্য্য কর

২। প্রজার খাজনা নির্ধারণ করা।

৩। জমির পূর্ণ বিবরণ তৈরী করা।

৪। স্বত্বলিপি বা খতিয়ান প্রস্তুত করা।

৫। জমিদারদের দখলকৃত খাস জমির পরিমাণ নির্ধারণ।


প্রশ্নঃ- ২৯। রেকর্ডস অব রাইটস এ কি কি বিবরণ থাকে? 

উত্তর: রেকর্ডস অব রাইটস এ নিম্নোক্ত বিবরণ থাকে:-

১। খতিয়ানের ক্রমিক নং

২। মালিকগণের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা

৩। মালিক বা মালিকগণের অংশ

৪। দাগ নং এবং জে. এল নং

৫। দাগে মোট ভূমির পরিমাণ 

৬। খতিয়ানের হিস্যা

৭। জেলা থানা, মৌজার নাম

৮। তৌজি নং ইত্যাদি 


প্রশ্নঃ- ৩০। একটি খতিয়ানের নমুনা ছক অংকন করো।

[বাংলাদেশ ফর্ম নং ৫৪৬২ সংশোধিত]

খতিয়ান নং…………….

জেলা…..……….

উপজেলা/থানা….……….

মৌজা…………..

জেএল নং………

বে.স.নং……...

মালিক,

কৃষি,

অকৃষি,

নাম ও

ঠিকানা

অংশ

রাজস্ব

দাগ নং

জমির শ্রেণি

দাগে মোট জমির পরিমান

খতিয়ানের

অংশ

অংশ অনুযায়ী জমির পরিমান

মন্তব্য

কৃষি

৫(ক)

অকৃষি

৫(খ)

একর

৬(ক)

শতাংশ

৬(খ)

একর

৮(ক)

শতাংশ

৮(খ)



প্রশ্নঃ- ৩১। মৌজা ঘের কাকে বলে?

উত্তর: মৌজা ঘেরের আরেক নাম গ্রাম ঘের। মৌজা ঘের দিয়ে স্কেলিটন ম্যাপ বা পি-৭০ শিট তৈরী করাই হলো ট্রাভার্সিং দলের শেষ করা। প্রত্যেকটি মৌজার বাইরের সীমানা বরাবর বা সীমানার কাছাকাছি ষ্টেশন চিহ্নিত করে শক্ত বাঁশের খুঁটি দিয়ে গ্রাম বা মৌজাকে বেষ্টন করে ঘের দেওয়া হয়। এ ঘেরকে মৌজা ঘের বা গ্রাম ঘের বলে।


প্রশ্নঃ- ৩২। ট্রাভার্স কাকে বলে? ট্রাভার্স কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : ঘের বা ট্রাভার্স স্টেশন দিয়ে অতিক্রমকারী নির্দিষ্ট দিক বা দৈর্ঘ্য মানের ধারাবাহিক সরলরেখা দ্বারা সৃষ্ট কাঠামোকে ঘের বা ট্রাভার্স বলে। ট্রাভার্স ২ প্রকার। ক) বদ্ধঘের খ) খোলা ঘের।


৩৩। স্বতন্ত্র স্থানাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর: সরাসরি কোন বিন্দুকে মূল বিন্দু, যার স্থানাঙ্ক (0,0) ধরা হয়। ঐ বিন্দুর সাপেক্ষে ট্রাভার্স এর অন্যান্য ষ্টেশনের স্থানাংককে স্বতন্ত্র স্থানাঙ্ক (Independent Ordinate) বলে।


প্রশ্নঃ- ৩৪। ধারাবাহিক স্থানাংক কাকে বলে?

উত্তর: বিভিন্ন ষ্টেশনের স্থানাঙ্ক হিসাবকালে ধারাবাহিক পূর্ববর্তী ষ্টেশনের তুলনায় পরবর্তী ষ্টেশনের স্থানাংককে ধারাবাহিক স্থানাংক (Consective Coordinate) বলা হয়।


প্রশ্নঃ- ৩৫। একটি বন্ধ ঘেরের বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তর: বদ্ধ ঘেরের বৈশিষ্ট্য হলো:

ক) উত্তরায়ণ ও দক্ষিনায়ণের অন্তরফল শূন্য হবে।

খ) পূর্বায়ণ ও পশ্চিমায়ণের অন্তরফল শুন্য হবে।

গ) অন্তঃস্থ কোণের পরিমাণ= (2N-4)×90°

ঘ) বহিঃস্থ কোণের পরিমাণ= (2N+4)×90°

৬) ∑L= 0 এবং ∑D=0

L = অক্ষাংশ এবং D = দ্রাঘিমাংশ


প্রশ্নঃ- ৩৬। কী কী পদ্ধতিতে মৌজা ও সাবট্রাভার্স অংকন করা হয়?

উত্তর: মৌজা ও সাব ট্রাভার্স পদ্ধতি ২টি। যথা:-

ক) কোণ এবং দুরত্ব পদ্ধতি

খ) স্থানাংক পদ্ধতি

কোণ এবং দুরত্ব পদ্ধতি ৩ ভাবে করা হয়।

ক) চাঁদার সাহায্যে

খ) স্পর্শক পদ্ধতি

গ) জ্যা পদ্ধতি


প্রশ্নঃ- ৩৭ । অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের সূত্র লিখ।


প্রশ্নঃ- ৩৮। অক্ষাংশ সংশোধনীর বৌডিচের সূত্রটি লিখ।

উত্তর: অক্ষাংশ সংশোধনীর বৌডিচের সূত্র:


CL = অক্ষাংশের সংশোধনী

Le = অক্ষাংশের মোট ভ্রান্তি

EL = ঘেরের পরিসীমা 

l = বাহুর দৈর্ঘ্য


প্রশ্নঃ- ৩৯। মিলনভ্রান্তি কাকে বলে?

উত্তর: মৌজা ঘের বা সাব ঘেরের ক্ষেত্রে বদ্ধ ঘেরে আরম্ভ ও শেষ বিন্দু একই বিন্দুতে মিলিত না হয়ে অন্য কোন বিন্দুতে মিলিত হয়।প্রারম্ভ বিন্দু ও শেষ বিন্দুর এ দুরত্ব কে বলা হয় মিলন ভ্রান্তি।


প্রশ্নঃ-৪০। ট্রাভার্সের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের পদ্ধতি গুলো কি কি?

উত্তর: 

ক) স্থানাংকের সাহায্যে

খ) অক্ষাংশ ও দ্বিগুন মধ্যরেখা দুরত্বের সাহায্যে

গ) দ্রাঘিমা ও মোট অক্ষাংশের সাহায্যে


প্রশ্নঃ-৪১। ABC বন্ধঘেরের AB বাহুর সরাসরি পূর্ব রেখার সাথে অর্থাৎ সরাসরি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আছে। যার অন্তঃস্থ কোন গুলো হলো ABC=50°30', BCA=69°30′, এবং CAB=60° হলে BC এবং CA বাহুর বিয়ারিং কত?

সমাধানঃ-



চিত্রানুযায়ী

BC বাহুর বিয়ারিং = 270° +50°30' = 320°30′

CA বাহুর বিয়ারিং=180° +30' = 210°

বিকল্প 

AB বাহুর বিয়ারিং= 90° [পশ্চিম থেকে পূর্বে আছে বলে)

BC বাহুর বিয়ারিং = 90° +50°30′+180° = 320°30′ 

CA বাহুর বিয়ারিং = 320°30′+69°30′-180° = 210°

AB বাহুর বিয়ারিং = 210°+60°-180° = 90°(যাচাইকৃত)



প্রশ্নঃ-৪২। যদি 260 মি. দীর্ঘ একটি লাইনের অক্ষাংশ 210 মি. হয়, তাহলে লাইনটির বিয়ারিং ও দ্রাঘিমাংশ কত?

সমাধান:

দেওয়া আছে

অক্ষাংশ L = 210 মি.

দৈর্ঘ্য l = 260 মি.

অক্ষাংশ, L=lcoseθ 

cosθ = L/l

θ =cos-1 L/l

θ = cos-1(210/260)= 36.128° N/E

অতএব‌ বিয়ারিং θ = 36.128° N/E

দ্রাঘিমাংশ, D = lsinθ =260sin 36.128° = 153.30 মিঃ


প্রশ্নঃ-৪৩। CD এবং DE রেখার বিয়ারিংদ্বয় 280° এবং 220° হলে, CDE = কত? CD রেখার দৈর্ঘ্য 550 মি. হলে, CD রেখার মধ্যবিন্দুর অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ কত?

সমাধান:

CD রেখার বিয়ারিং = 280°

DC রেখার বিয়ারিং = 280°-180° = 100°

DE রেখার বিয়ারিং = 220°

অতএবCDE = 220°-100° = 120° (উত্তর)

CD রেখার পূর্ণবৃত্ত বিয়ারিং = 280°

CD রেখার হ্রাসকৃত বিয়ারিং= 360° 280° = 80° N/W

অতএব CD রেখার অক্ষাংশ =1cose=250 cos80°) = 43.41m (উত্তর)

CD রেখার দ্রাঘিমাংশ = 250 sin 80° = 246.20m (উত্তর)


প্রশ্নঃ-৪৪। থিওডোলাইটের ভুলগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর: থিওডোলাইটের ভুলগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।

১। যান্ত্রিক ত্রুটি।

২। ব্যক্তিগত বা পর্যবেক্ষনজনিত ত্রুটি

৩। প্রাকৃতিক ত্রুটি।


প্রশ্নঃ-৪৫। যান্ত্রিক ত্রুটি কয় ধরণের ও কি কি?

উত্তর: যান্ত্রিক ত্রুটি ৩ ধরনে। যথা:-

১। যন্ত্রের সমন্বয়ন জনিত ত্রুটি

২। যন্ত্র তৈরীতে কাঠামোগত ত্রুটি

৩। যন্ত্রের ক্ষয়জনিত ত্রুটি।


প্রশ্নঃ-৪৬। যন্ত্র স্থাপনের কি কি ব্যক্তিগত ত্রুটি হতে পারে?

উত্তর: নিম্নলিখিত ব্যক্তিগত ত্রুটি হতে পারে:-

ক) যথাযথ ভাবে যন্ত্র সেন্টারিং না করা

খ) ঠিকমত লেভেলিং না করা

গ) ভুল রিডিং ফিল্ডবুকে লিপিবদ্ধ করা

ঘ) লেখার ভুল করা।


প্রশ্নঃ-৪৭। মিলভ্রান্তির সূত্রটি লিখ


প্রশ্নঃ-৪৮। প্রাকৃতিক ভ্রান্তির উৎস গুলো কি কি?

উত্তর: প্রাকৃতিক ভ্রান্তির উৎস:-

১। নরম মাটিতে পায়া অসমভাবে ডেবে যাওয়া।

২। প্রখর রোদ্রের জন্যে যন্ত্রে বিকিরণ হওয়া

৩। যন্ত্রের অংশ বিশেষ সম্প্রসারণ ঘটা

৪। শীতের কারণে অংশবিশেষ সংকোচন ঘটা

৫। বায়ু প্রবাহের ফলে যন্ত্রে কম্পন সৃষ্টি হওয়া।


প্রশ্নঃ-৪৯। একটি ঘেরের P এবং ষ্টেশনম্বরে স্থানাংক যথাক্রমে (2N,6E) এবং (5N,10E)PQ রেখার দৈর্ঘ্য বিয়ারিং এবং QP রেখার বিয়ারিং কত?

সমাধানঃ-

অক্ষাংশ, L=+5-(+2) = +3 মিটার। (উত্তর)

দ্রাঘিমাংশ D =+10-(+6) = +4 মিটার (পূর্ব)


PQ এর পূর্ণবৃত্ত বিয়ারিং = 53°4′48.33"+180° =233°4′48.33" (উত্তর)


প্রশ্নঃ-৫০। A এবং B বিন্দুর স্থানাংক যথাক্রমে 100m (উঃ) 200m (পূর্ব) এবং 200m (দ:) 600m (পূর্ব) হতে AB বাহুর দৈর্ঘ্য ও বিয়ারিং নির্ণয় কর।



প্রশ্নঃ-৫১। যদি ABC ত্রিভুজের AB বাহুর সম্মুখ বিয়ারিং 30° BC এর সম্মুখ বিয়ারিং 120° এবং CA বাহুর সম্মুখ বিয়ারিং 270° হয়, তবে ত্রিভুজ ABC এর কোণের পরিমাণ বের কর।

সমাধানঃ-


চিত্রানুযায়ী A=60° B=90°

যেহেতু A=60°

অতএব B = 90°

অতএব C = (180°-60°-90°) = 30° (উত্তর)।

প্রশ্নঃ- ৫২। মৌজা ম্যাপ কাকে বলে?

উত্তর: নকশা বা মানচিত্র হলো প্রতিচ্ছবি বা দর্পন স্বরূপ। কিস্তোয়ার জরিপের মাধ্যমে প্রতি মৌজার জমির মালিকানা, শ্রেণিবিন্যাস, খাজনার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। জমির নকশা অঙ্কনের সময় জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একটি নির্দিষ্ট অণুপাতে ছোট ও বড় অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা নকশায় দেখাতে হয়। তা দেখিয়ে যে নকশা তৈরী করা হয় তাকে মৌজা মানচিত্র বা মৌজা ম্যাপ বলে।


প্রশ্নঃ- ৫৩। সাংকেতিক চিহ্ন কাকে বলে?

উত্তর: মানচিত্রের উপর বিভিন্ন বস্তুর অবস্থান দেখানোর জন্য সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ মানচিত্র সহজে বোধগম্য হবার জন্য যে চিহ্ন বা আলামত ব্যবহার করা হয় তাকে সাংকেতিক চিহ্ন বলা হয়।


প্রশ্নঃ- ৫৪। যাচাই রেখা কাকে বলে?

উত্তর: কোন ত্রিভুজ কাঠামোর যে কোন ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দুর ও বিপরীত বাহুস্থ যে কোন বিন্দু বা যে কোন দুই বাহুর নির্দিষ্ট দুই বিন্দুর সংযোগকারী রেখাকে যাচাই রেখা বলে।


প্রশ্নঃ- ৫৫। চান্দা কাকে বলে?

উত্তর: কিস্তোয়ার জরিপে ঘের জরিপের স্টেশন ও ত্রিসীমানার বিন্দুগলোকেও মোরব্বা ষ্টেশন হিসেব ধরা হয় এসব ষ্টেশন বাদে জরিপের সুবিধার্থে আরো কিছু অস্থায়ী ষ্টেশন ও নেয়া হয়। এগুলোকে ৩০ সে.মি ব্যাসের বৃত্তের ভূমিতে চিহ্নি করা হয়, তাকে চান্দা বলা হয়। চান্দা বিশেষ করে জমির আইলে করা হয়।


প্রশ্নঃ- ৫৬। খাকা কাকে বলে?

উত্তর: মোরব্বা প্রস্তুত এবং কাটান কাটার কাজে ব্যবহারের জন্য স্কেলিটন ম্যাপের হুবহু নকল করে অন্য কাগজে ট্রেসিং করা হয়। এ ট্রেসিং করা নকশা বা মানচিত্রকে খাকা বলে। খাকাকে হাত মানচিত্র ও বলে।


প্রশ্নঃ- ৫৭। মৌজা মানচিত্রের নাম্বারিং কাকে বলে?

উত্তর: সাধারণত মৌজা মানচিত্রে জমির সীমানা, মালিকানা শ্রেণীভিত্তিক জমি আলাদা আলাদভাবে চিহ্নি করা হয়। এই মালিকের বিভিন্ন শ্রেণির জমি থাকে। সেই জমিকে মানচিত্রে যে পৃথক পৃথক পরিচিত নম্বর দ্বারা শনাক্ত করা হয়, তাকে মানচিত্রের নাম্বারিং বলে।


প্রশ্নঃ- ৫৮। মানচিত্রের শিরোনামে কি কি তথ্যাদি থাকে?

উত্তর: মানচিত্রের শিরোনামে নিম্নোক্ত তথ্যাদি থাকে।

১। মধ্যস্থানে দেশের নাম

২। বাম দিকের জেলার নাম

৩। জেলার নাম ও দেশের নামের মাঝামাঝি জরিপকৃত বিবরণ।

৪। সীমাবদ্ধ মানচিত্রের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ (Restricted) কথাটি লিখতে হবে।

৫। সর্বডানে শিট নাম্বার।

৬। সংরক্ষণ, দেশের নামের ও শিটের নাম্বারের মাঝখানে লিখতে হবে।

৭। গ্রীড নর্থ এবং Magnetic Declination এর তথ্যাদি লিখতে হবে।


প্রশ্নঃ- ৫৯। কিস্তোয়ার কাকে বলে?

উত্তর: ভূমি জরিপকালে মোরব্বা বা চর্তুভুজ তৈরী করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে একটির পর একটি কিত্তা বা খন্ড খন্ড ভূমির চিত্র অংকনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।


প্রশ্নঃ- ৬০। কিস্তোয়ারের জনবলের পরিমাণ লিখ।

উত্তর: কিস্তোয়ারের জনবল হলো:-

১। কানুনগো ১ জন

২। সার্ভেয়ার ৩ জন

৩। বদর আমিন ৪ জন।

৪। চেইনম্যান-প্রয়োজনমত।

৫। সাহায্যকারী প্রয়োজনমত।


প্রশ্নঃ- ৬১। মোরব্বা কাকে বলে?

উত্তর: নকশা তৈরীর প্রার্থমিক পর্যায়ে ট্রাভার্স স্টেশন গুলোর বহি: সীমানা সরলরেখা দ্বারা সংযোগ করে চর্তুভুজ স্কো প্রস্তুতের পর বহুভুজ ক্ষেত্রকে ছোট ছোট চর্তুভুজ ক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়। কিস্তোয়ারের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতকৃত এমন চর্তুভুজকে মোরব্বা বলা হয়।


প্রশ্নঃ- ৬২। জরিপলিপি কাকে বলে?

উত্তর: যে বইতে মাঠে সরাসরি প্রাপ্ত তথ্যাদি লেখা হয়, তাকে জরিপলিপি (Field Book) বলা হয়। এটি সাধারণত কাজের উপর ভিত্তি করে ২০ সেমি. × ১২ সে.মি আয়তাকার ৫০ বা ১০০ পৃষ্ঠার জরিপলিপি হয়।


প্রশ্নঃ- ৬৩। কিস্তোয়ারের অফিসের কাজগুলো কি কি?

উত্তর: কিস্তোয়ারের অফিসের কাজগুলো হলো:-

ক) সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যাদির হিসাব নিকাশকরণ।

খ) নকশা বা মানচিত্র প্রনয়ণ।

গ) ক্ষেত্রফল নিরুপন।

ঘ) খরচের হিসাব নিকাশ প্রস্তুতকরণ

ঙ) নকশায় কালি দেওয়া

চ) শিরোনাম লেখা।

ছ) নকশায় আলামত অংকন।


প্রশ্নঃ- ৬৪। জরিপকাজের প্রধান উদ্দেশ্য কি?

উত্তর: জরিপ কাজ করার পর ম্যাপ বা নকশা তৈরী করে এর ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করা।


৬৫। নকশা বা প্লান থেকে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের পদ্ধতি কয়টি ও কি কি?

উত্তর: নকশা বা প্লান থেকে ক্ষেত্রফল বের করার পদ্ধতি ৪টি। যথা:-

ক) নকশাকে জ্যামিতিক চিত্রে বিভক্ত করে

খ) নকশাকে সমান্তরাল রেখা দ্বারা বিভক্ত করে

গ) নকশাকে বর্গাকার ক্ষেত্রে বিভক্ত করে

ঘ) যান্ত্রিক উপায়ে।


প্রশ্নঃ- ৬৬। ভিত্তিরেখার সাথে অফসেটের মাধ্যমে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের পদ্ধতি কি কি?

উত্তর: ভিত্তিরেখার সাথে অফসেটের মাধ্যমে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের পদ্ধতি হলো

ক) মধ্যকোটি নিয়ম

খ) গড় কোটি নিয়ম

গ) ট্রপিজয়ডাল নিয়ম

ঘ) সিমসনের এক তৃতীয়াশ নিয়ম।


প্রশ্নঃ-৬৭। একর কম্ব কি?

উত্তর: একর কথ: কম্ব অর্থ চিরুনী। এটি চিরুনীর মতো বলে একে একরকম্ব বলে। ছোট ছোট ভূমির ক্ষেত্রফল অতি তাড়াতাড়ি নির্ণয়ের জন্য একর-কম্ব ব্যবহার করে ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা যায়। একর-কম্ব ধাতব পিতলের বা কার্ড বোর্ডের উপর তৈরী করা হয়। এটি দ্বারা ক্ষেত্রফল একরে নির্ণয় করা হয়। এটি সাধারণ ১৬" = ১ মাইল স্কেলের জন্য বিশেষ সুবিধাজনক।


প্রশ্নঃ-৬৮। প্লানিমিটারের সাহায্যে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্রটি লিখ (নড়াইল জেলা পরিষদ সার্ভেয়ার নিয়োগ পরীক্ষা)

উত্তর: প্লানিমিটারের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্রটি হলো: A=M (F-I ± 10N + C)

M = গুণবোধক ধ্রুবক

F = চূড়ান্ত পাঠ

I = শুরুতে গৃহীত পাঠ

N = ঘূর্ণন সংখ্যা

C = যন্ত্রের ধ্রুবক।


প্রশ্নঃ-৬৯। একর স্কয়ার কী?

উত্তর: নকশা বা প্লান থেকে জমির ক্ষেত্রফল নির্নয়ের জন্য একর স্কয়ার ব্যবহার করা হয়।


প্রশ্নঃ-৭০। গড় কোটি নিয়মটি ব্যখ্যা কর।

উত্তর: গড় কোটি নিয়ম: প্রতিটি অফসেটের মধ্যবর্তী স্থান সোজা রেখায় অবস্থান করে। এতে মাঠে সরাসরি ভিত্তিরেখ হতে প্রতি ভাগের ভাগ বিন্দুকে অফসেট নেয়া হয়।

ক্ষেত্রফল = গড় কোটি × ভিত্তি রেখার দৈর্ঘ্য



প্রশ্নঃ-৭১। টাল্ক স্কয়ারের কাজ কী?

উত্তর: টাল্ক স্কয়ারের কাজঃ- টাল্ক স্কয়ার ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের একটি পুরাতন পদ্ধতি। টাল্ক স্কয়ার কোন প্লান বা নকশার উপর স্থাপন করে নকশার বা প্লানের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা হয়। টাল্ক স্কয়ার দ্বারা একর শতাংশ, বিঘা, কাটা, ছটাক ইত্যাদি এককে জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা সহজ।


প্রশ্নঃ-৭২। তুলনামূক মানচিত্র কাকে বলে?

উত্তর: দুই বা ততোধিক মৌজার তথ্য জানার জন্য বা জেলার সীমানা পরীক্ষা করে দেখার জন্য দুই বা ততোদিক সীমানা দেখিয়ে প্রকৃত ভূখন্ডের তুলনা করার জন্য যে মানচিত্র তৈরী করা হয়, তাকে তুলনামূলক মানচিত্র বলে।


প্রশ্নঃ-৭৩. তুলনামূলক স্কেল কাকে বলে?

উত্তর: বিভিন্ন হিসাবের স্কেলের একটির সাথে অন্য স্কেলের তুলনা করার জন্য যে স্কেল ব্যবহার করা হয়, তাকে তুলনামূলক স্কেল (Comparative Scale) বলে।


প্রশ্নঃ-৭৪. সীমানা নির্ধারনের উদ্দেশ্য লিখ

উত্তর: মৌজার অর্ন্তগত সকল জমির সীমানা নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সীমানা নির্ধারনের উদ্দেশ্যে হলোঃ-

ক. পাশাপাশি দুই মালিকের সীমানা নির্ধারনের জন্য।

খ. মালিকের ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।

গ. দখলকৃত জমির কর সহজ ভাবে নির্ধারনের জন্য।

ঘ. ভূমি হস্তান্তর করার সুবিধার্থে।

ঙ. সীমানা বিরোধ নিস্পত্তির জন্য।


প্রশ্নঃ-৭৫. সীমানা চিহ্নিতকরন কাকে বলে?

উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন স্বত্বের ভিন্ন শ্রেনীর খন্ড খন্ড জমিতে যে রেখা দ্বারা চিহ্নিত করে সীমানা বা আইলের সাহায্যে বিভক্ত করা হয়। তাকে সীমানা চিহ্নিতকরন বলে।

সীমানা নির্ধারণ ২ প্রকার। যথাঃ-

ক. স্থায়ী সীমানা।

খ. অস্থায়ী সীমানা।


প্রশ্নঃ-৭৬। মৌজা ম্যাপ তৈরীর ধাপগুলো লিখ।

উত্তর: মৌজাম্যাপ তৈরীর ধাপগুলো হলোঃ-

১। ট্রাভার্স ষ্টেশন খুঁজে বের করা।

২। মোরব্বা গঠন করা।

৩। মৌজার সীমানা অংকন করা।

৪। দাহী বন্টন করা।

৫। মৌজার দাগ গুলো নকশায় অংকন করা।

৬। পরতালের মাঠলিপি তৈরী করা

৭। পার্শ্ববর্তী মৌজার সাথে বহি: সীমানা মিলকরণ।

৮। নকশায় দাগ নম্বর বসানো।

৯। নকশায় কালি দেওয়া।

১০। আলামত অংকন করা।


প্রশ্নঃ-৭৭। কম্পাস জরিপে নকশা প্লটকরণের কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়?

উত্তর: কম্পাস জরিপের নকশা প্লট করার পদ্ধতি হলোঃ-

ক) সমান্তরাল মধ্যরেখা পদ্ধতি

খ) অন্ত:স্থকোণ পদ্ধতি

গ) আয়তাকার স্থানাঙ্ক পদ্ধতি।

ঘ) ট্যানজেন্ট পদ্ধতি

৫) কর্ড পদ্ধতি।

চ) কাগজের চাঁদা পদ্ধতি।


প্রশ্নঃ-৭৮। EDM এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর: EDM এর পূর্ণরূপ হলো: Electronics Diste Measurements.


প্রশ্নঃ-৭৯। প্রিজমেটিক কম্পাস জরিপের মাঠের কাগজপগুলো লিখ।

উত্তর: প্রিজমেটিক কম্পাস জরিপের মাঠের কাজগুলো হলোঃ-

ক) প্রাথমিক পর্যবেক্ষন

খ) স্টেশন ও স্টেশন লাইন নির্বাচন।

গ) ঘের, উপঘের দেয়া এবং জরিপলিপি লিখন

ঘ) কম্পাস জরিপের নকশা প্লটকরণ।

ঙ) নকশাতে কালি দেওয়া।


প্রশ্নঃ-৮০। চুম্বকীয় অনৈক্য কাকে বলে?

উত্তর: প্রকৃত মধ্যরেখা এবং চুম্বকীয় মধ্যরেখার মধ্যবর্তী অনুভূমিক কোণকে চুম্বকীয় অনৈক্য বলে।


প্রশ্নঃ-৮১। প্রতিসরণ কোণ কাকে বলে?

উত্তর: কোন জরিপরেখা তার পূর্ববর্তী জরিপ রেখা বর্ধিতাংশের সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে প্রতিসরণ কোণ (Deflection Angle) বলে।


প্রশ্নঃ-৮২। একটি সুষম অষ্টভুজের বহিঃস্থ কোণের মান কত?


প্রশ্নঃ-৮৩। ট্রাভার্স সমতাকরণ কাকে বলে?

উত্তর: বন্ধঘেরের সকল ষ্টেশনের ধারাবাহিক স্থানাঙ্ক নির্ণয় করার পর অক্ষাংশের সকল উত্তরায়নের সমষ্টি ও সকল দক্ষিনায়নের সমষ্টি পরস্পর সমান না হলে এবং দ্রাঘিমাংশের সকল পূর্বায়নের সমষ্টি ও সকল পশ্চিমায়নের সমষ্টিজ সমান না হলে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রয়োগ করার প্রক্রিয়াকে বন্ধঘের সমতাকরণ বলা হয়।


প্রশ্নঃ-৮৪। বৌডিচের নিয়মটি লিখ।

উত্তর: বৌভিচের নিয়মে কোন বাহুর অক্ষাংশ/দ্রাঘিমাংশের সংশোধনী



প্রশ্নঃ-৮৫। ট্রানজিট নিয়মের ঘের সমতাকরণের সূত্রটি লিখ।

উত্তর: বদ্ধঘেরের কোন বাহুর অক্ষাংশ/দ্রাঘিমাংশের সংশোধনী



প্রশ্নঃ-৮৬। ডানাবর্তে ঘের দেওয়া ABCDE ক্ষেত্রটির বহিঃস্থ কোণ ABC = BCD = CDE = DEA = 250°। যদি AB রেখার বিয়ারিং 30° হয়, তবে অন্যান্য বাহুগুলোর বিয়ারিং নির্ণয় কর।

সমাধানঃ যেহেতু, বহিঃস্থ কোণ দেওয়া আছে এবং ঘেরটির ডানাবর্তে

EAB=(2×5+4)×90°-250°×4 = 260°

AB রেখার বিয়ারিং =30°

BC রেখার বিয়ারিং =P + a ± 180°

=30°+250°-180° = 100°

CD রেখার বিয়ারিং= 100° +250°-180°=170°

DE রেখার বিয়ারিং= 170° +250°-180° = 240°.

EA রেখার বিয়ারিং= 240° +250°-180°=310°.

AB রেখার বিয়ারিং= 310°+260°-180°=390°

অর্থাৎ 390°-360° = 30° (যাচাইকৃত)


প্রশ্নঃ-৮৭। একটি সুষম ষড়ভুজের ABCDEF এর AB বাহুর বিয়ারিং (ডানাবর্তে) 40° হলে অন্যান্য বাহুগুলোর বিয়ারিং নির্ণয় কর।

সমাধান:


বামাবর্তের ক্ষেত্রে

AB রেখার বিয়ারিং = 40°

BC রেখার বিয়ারিং =40°+120° +180°=340°

CD রেখার বিয়ারিং =340°+120°-180°=280°.

DE রেখার বিয়ারিং =280°+120°-180° = 220°

EF রেখার বিয়ারিং =220°+120°-180°-160°

FA রেখার বিয়ারিং =160°+120°-180°=100°

AB রেখার বিয়ারিং = 100°+120°-180° = 40° (যাচাইকৃত)