১। জিওডেটিক জরিপ বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের বিশাল এলাকাব্যাপী সুদূরবর্তী বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থান বা বিন্দুর পরম অবস্থ নির্ণয়ের জন্য পৃথিবীর বক্রতাকে বিবেচনা করে যে জরিপ কার্য পরিচালনা বা সম্পাদনা করা হয়, তাকে জিওডেটিক জরিপ (সার্ডে) বলে।
২। ত্রিভুজায়ন জরিপের মূলনীতি কী?
উত্তরঃ কোন ত্রিভুজের বাহুর দৈর্ঘ্য ও উক্ত বাহুর সংলগ্ন কোনদ্বয়ের মান জানা থাকলে উক্ত ত্রিভুজের অবশিষ্ট বাহুদ্বয়ের দৈর্ঘ্য ত্রিকোনমিতিক ফাংশন ব্যবহার করে হিসাব করে বের করতে হবে হয়।
৩। ত্রিভূজায়ন জরিপ কী?.
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের বিশাল এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন বিন্দুর অবস্থান নির্ণয়ের ত্রিভুজের কাঠামো তৈরি করে যে জরিপ করা হয় তাকে ত্রিভুজায়ন জরিপ বলে।
B1 ত্রিভূজায়ন জরিপ কোন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত?
উত্তর: ত্রিভুজায়ন জরিপ ত্রিকোনমিতির উপর প্রতিষ্ঠিত।
৫। ভিত্তিরেখা কী?
উত্তর : ভিত্তিরেখা হলো জরিপ কার্যের সর্বাপেক্ষা বড় ও প্রধান রেখা। এটি একটি গুরত্বপূর্ণ রেখা, যার উপর ভিত্তি করে অন্যান্য বাহুর দৈর্ঘ্য হিসাব করা হয় এবং ত্রিকোনমিতিক ফাংশনের মাধ্যমে তা সংশোধন করা হয়।
৬। 8 CM থিওডোলাইট বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: থিওডোলাইটের দাগকাটা নিম্নপাত্রের আকার বা ব্যাস 8CM হলে তাকে 8CM থিওডোলাইট বলে।
۹۱ জিওডেটিক সার্ভের উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের বিশাল এলাকাব্যাপী সুদূরবর্তী উল্লেখযোগ্য স্থান বা বিন্দুর পরম অবস্থা নির্ণয়ের জন্য জিওডেটিক সার্ভে করা হয়।
৮। ত্রিভুজায়ন জরিপের মূলনীতি ব্যাখ্যা কর?
উত্তরঃ ত্রিভুজায়ন জরিপের মূলনীতি ত্রিকোনমিতির স্বতঃসিদ্ধের উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠিত। যেমন: কোন ত্রিভুজের তিনটি কোন এবং কোন একটি বাহুর দৈর্ঘ্য জানা থাকলে অন্যান্য বাহুর দৈর্ঘ্য সাইন (Sine rule) নিয়ম প্রয়োগ করে নির্ণয় করা যায়। ধরা যাক, ABC ত্রিভুজে ∠A, ∠B, ∠C, তিনটি কোণ এবং একটি বাহু AB ভিত্তিরেখা রাখা হয়েছে। সাইন নিয়ম ব্যবহার করে BC ও AC বাহুর দৈর্ঘ্য হিসাব করে বের করা যায়।
PIC
(Sine Rule) সাইন নিয়মঃ ABsin C = BCsin A = ACsin B
৯। ত্রিভুজায়ন জরিপের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: ত্রিভুজায়ন জরিপের মূল বা প্রত্যক্ষ উদ্দেশ্য হচ্ছে দূরবর্তী বিন্দসমূহের ভৌগলিক অবস্থান পৃথিবীর বক্রতারে বিবেচনা করে বিশুদ্ধভাবে নির্ণয় করা। ভৌগলিক অবস্থান বলতে বিন্দুসমূহের অনুভূমিক আপেক্ষিক দূরত্ব (অক্ষাংপ দ্রাঘিমাংশ) এবং সমুদ্র সমতল হতে এদের উচ্চতাকে বুঝায়। পরোক্ষ উদ্দেশ্য হচ্ছে, এলাকার মানচিত্র প্রনয়ণ করা।
১০। ত্রিভুজায়ন জরিপের ধাপগুলো লেখ?
উত্তরঃ ত্রিভুজায়ন জরিপের ধাপগুলো হলো:-
১. জরিপ
২. ভিত্তিরেখা, নিরীক্ষা রেখা ও ত্রিভুজায়ন স্টেশন নির্বাচন।
৩. টাওয়ার ও সিগন্যাল স্থাপন।
৪. ভিত্তিরেখা মাপন।
৫. অনুভূমিক কোণ সাজান।
৬. ত্রিভুজের বাহুর দৈর্ঘ্য নির্ণয় ও পর্যবেক্ষিত কোণের সমন্বয়।
৭. নির্দিষ্ট বিরতিতে কাজের নির্ভুলতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে অ্যাজিম্যাথ অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের জন্য জ্যোতিষীয় পর্যবেক্ষণ।
১১। জিওডেটিক সার্ভের উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ জিওডেটিক সার্ভের উদ্দেশ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো :-
১. ভূ-পৃষ্ঠের উপর সূদূরবর্তী বিভিন্ন বিন্দুর ভৌগলিক অবস্থান বিশুদ্ধভাবে নির্ণয় করার জন্য।
২. গড় সমুদ্রপৃষ্ঠের সাপেক্ষে ট্রায়েংগুলেশন কর্তৃক চিহ্নিত উক্ত বিন্দু সমূহের এলিভেশন নির্ণয় করার জন্য।
৩. সমগ্র দেশব্যাপী বিশুদ্ধভাবে B.M স্থাপনের জন্য।
৪. বড় বড় নদ-নদী বা যে সব জায়গা অনুভূমিক দূরত্ব মাপা যায় না সেখানে জরিপের উদ্দেশ্য।
১১। টাওয়ার কী?
উত্তরঃ পর্যবেক্ষিত স্টেশনকে পরিদৃশ্যমান করার জন্য পর্যবেক্ষনশীল স্টেশনের উপর যে কাঠামো নির্মাণ করা হয়, ভাবে টাওয়ার বলে।
১২। সিগন্যাল কী?
উত্তরঃ ত্রিভুজায়নে এক স্টেশনকে অন্য স্টেশন থেকে পরিদৃশ্যমান করার জন্য সাংকেতিক চিহ্ন সম্বলিত যে কাঠামো নির্মাণ করা হয় তাকে সিগন্যাল বলে।
১৩। ভূ-স্টেশন কাকে বলে?
উত্তর। কোন স্টেশনে টাওয়ার সুফোন্ড নির্মাণ ব্যতিরেকে ভূমিতে যন্ত্র বানিয়ে অন্যান্য স্টেশন দৃষ্টিগোচর করা হয়, উক্ত স্টেশনরে ভূ-স্টেশন বলে।
১৪। কেন্দ্রে লঘুকরণ বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ সুঠাম ত্রিভুজের গঠনের নিমিত্তে অথবা স্টেশনের পরস্পর আন্তঃদৃষ্টিগোচর প্রেক্ষিতে অনেক সময় মসজিদের মিনার, গির্জা, চূড়া, পতাকার দন্ড বা টাওয়ারের মতো সুউচ্চ বস্তুগুলোকে মূল স্টেশন হিসাবে নির্বাচন করা হয়। এ সকল স্থানে যন্ত্র বসিয়ে কোনের পাঠ নেওয়া সম্ভব নয়, তাই এরুপ ক্ষেত্রে মূল স্টেশনের যতটা সম্ভব কাছাকাছি সুবিধা মতো স্থানে স্টেশন নির্বাচন করে সেখান থেকে মূল স্টেশনে যন্ত্র বসিয়ে পর্যবেক্ষন করে নিলে কোণের মান যত হত তা বীজগাণিতিক নিয়ম প্রয়োগ করে বের করার প্রক্রিয়াকে "কেন্দ্রে লঘুকরণ' (Reduction To Center) বলে।
১৫। ভিত্তিজাল কী?
উত্তরঃ ভিত্তিরেখা সংযোগে সারিবদ্ধ ত্রিভূজ যখন প্রধান ত্রিভূজায়ন কাঠামোর সাথে সংযুক্ত করে ঐ রুপ ত্রিভূজ সারিকে ভিত্তিজাল বলে।
১৬। উত্তম সিগন্যালের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: উত্তম সিগন্যালের বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেওয়া হলোঃ-
ক. এটা সুষ্পষ্টভাবে দেখা যাবে।
খ. এটা যথাযথাভাবে স্টেশন বিন্দুতে স্থাপনযোগ্য হবে।
গ. সঠিকভাবে ছেদ করে পাঠ গ্রহনের জন্য এর একটি নির্দিষ্ট তল থাকবে।
ঘ. উত্তম সিগন্যাল ফেসশূণ্য হবে।
১৭। বিকেন্দ্রিক স্টেশন কী বুঝায়?
উত্তরঃ প্রকৃত বা মূল স্টেশনের কাছাকাছি অন্য যে স্টেশন নির্বাচন করা হয়, তাকে উপ স্টেশন বা বিকেন্দ্রিক স্টেশন বলে।
১৮। তদন্তজরিপে কী কী কাজ করা হয়?
উত্তর: তদন্ত জরিপে নিম্নলিখিত কাজগুলো সম্পাদন করা হয়:-
১. জরিপতব্য এলাকাকে ভালভাবে পরিদর্শন করে এলাকার বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহ করা।
২. ত্রিভুজায়ন জরিপ স্টেশনের উপযুক্ত স্টেশন নির্বাচন করা।
৩. স্টেশনগুলোর পারস্পারিক আন্তঃদৃষ্টিগোচরতা নিশ্চিত করার জন্য সিগন্যাল ও টাওয়ারের উচ্চতা নির্ণয়।
৪. অবাধে দৃষ্টি চলাচলের জন্য বন-জঙ্গল, গাছপালা ইত্যাদি বাধা বিপত্তি অপসারনের খরচের পরিমাণ জানা ইত্যাদি।
১৯। ভিত্তিরেখার পরিমাপকরনে সংশোধনীর তালিকা সমূহ লেখ? [বাংলাদেশ চা বোর্ড)
উত্তর: ভিত্তিরেখার পরিমাপকরনের সংশোধনী তালিকা সমূহ নিম্নরুপঃ-
ক. পরম দৈর্ঘ্য সংশোধনী (Correction for absolute Length)
খ. তাপজনিত সংশোধনী (Correction for Temperature)
গ. টানজনিত সংশোধনী (Correction for Pull)
ঘ. ঝুলনজনিত সংশোধনী (Correction for Sag)
৫. ঢালজনিত সংশোধনী (Correcton for Slope)
চ. অনুভূমিক এক রৈখিকরণ জনিত সংশোধনী (Correction for Horizental alignment)
ছ. সমুদ্র পৃষ্ঠে লম্বুকরণ (Reduction for mean Sea level)
২০। টানজনিত সংশোধনী নোটেশনসহ লিখ?
উত্তর: ফিতা যে পরিমাণ টানে আদর্শায়িত, পরিমাপকালে তার চেয়ে কম বা বেশি টানে পরিমাপ করা হলে সংশোধনী দরকার হয়।
Cp= Pm-P0AE ×L
AE
এখানে,
Pm = পরিমাপের প্রয়োগকৃত টান (কেজি)
P0 = আদর্শায়িত করা কালে টান (কেজি)
A = ফিতার প্রস্থছেদের ক্ষেত্রফল (বর্গসেমি:)
E = স্থিতিস্থাপন গুনাংক (কেজি/ব.সেমি)
L = পরিমাপকৃত দৈর্ঘ্য
ইস্পাতের টেপের জন্য E=21 × 105 কেজি/ব. সেমি
ইনভার টেপের জন্য = 16.4 × 105 কেজি/ব. সেমি
যখন Pm> P0. হয় তখন Cp, যোগবোধক Pm <P0 হয় তখন বিয়োগবোধক হবে।
২১। দুটি দ্বীপে বিভুলায়ন A ও B এর মাঝে দূরত্ব 60 কি:মি: গড় সমুদ্রতল হতে এ বিন্দুর যন্ত্রের অনুভূমিক অক্ষের উল্লখ দূরত্ব 40 মিটার হলে ও স্টেশনের সিগন্যালের উচ্চতা কত হবে? (পৃথিবীর ব্যাস 12800km এবং প্রতিসরণ সহগ
0.08)
সমাধান: Data
h1 = (1-2m) d22R
= 401000 = (1-2×0.08)× d22R
d = 24.69 km.
d2=60-24.69
= 35.31km
h₂=(1-2m) d22R
h₂=(1-2x0.08)× 353122×6400
= 0.082 km
উত্তরঃ= 82 মিটার
২২। 20 °C তাপমাত্রায় আদর্শায়িত 30 মিটার ফিতায় ৪ °C তাপমাত্রায় ভিত্তিরেখার দৈর্ঘ্য 517 মিটার পাওয়া গেল AB রেখার প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত? [oc=18×106/°C)]
সমাধান:
Data,
T = 8 °C
T°= 20 °C
L=517m
x=18×106/°C)
C₁ =x (Tm-T°)xL
=18×10-6(8-20)x517
= 0.111672 m
. .. AB রেখার প্রকৃত দৈর্ঘ্য = 517-0.111672
=516.88833m
২৩।
সমতল ভূমিতে অনুভূমিক তলে 7 কেজি টানে আদর্শায়িত একটি 0.02 বর্গ সেমি প্রস্থচ্ছেদের 30 মিটার ফিতার সাহায্যে 14 কেজি টানে একটি রেখার দৈর্ঘ্য 237.32 মিটার পাওয়া গেল পরিমাপকালে ফিতাটির দৈর্ঘ্য কত এবং রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত? E = 2×10°kg/cm
সমাধানঃ
টানজনীত সংশোধনী
Cp = Pm-Po AE×L
= 14-7 0.02×2×10 237.32
= 0.041531 মিটার (+ve)
:: রেখার প্রকৃত দৈর্ঘ্য = (237.31 +0.041531) m
= 237.361531 মিটার
উত্তরঃ
২৪। 20 তাপমাত্রায় আদর্শায়িত 30 মিটার ফিতায় 10° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় কখ ভিত্তিরেখার দৈর্ঘ্য 520 মিটার পাওয়া ।
গেল কখ রেখার প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত? X = 18×10/°C
সমাধানঃ
Data,
T° = 20°C
Tm= 10°C
x=18x106/°C
L = 520m.
তাপমাত্রার সংশোধনী,
C = x (Tm-T°)×2
=18×10-6(10-20)×520
=-0.0936m.
প্রকৃত দৈর্ঘ্য 520-0.0936-519.9064m.
উত্তরঃ
২৬। ত্রিভূজায়ন জরিপ কোণ পরিমাপ পদ্ধতি কয়টি ও কী কী?
উত্তর: ত্রিভূজায়ন জরিপে কোণ পরিমাপ পদ্ধতি দুইটি যথা:-
১। পুনরাবৃত্তি পদ্ধতি।
২। নির্দেশক পদ্ধতি।
২৭। অনুভূমিক কোণ পরিমাপ যন্ত্রের কী কী সমন্বয় করা হয়?
উত্তর: অনুভূমিক কোণ পরিমাপের নিম্নোক্ত সম্বনয়গুলো করা হয়ঃ-
১. বাবল টিউব সম্বনয় (Plate Buble Adjustment)
২. স্ট্রিডিং লেভেল সম্বনয় (Striding Level Adjustment)
৩. মাইক্রোমিটার সমন্বয় (Micrometer Adjutment)
৪. অনুভূমিক অক্ষ সমন্বয় (Horizontal Axis Adjustment)
২৮। ত্রিভূজায়ন জরিপ ও প্লেন টেবিল জরিপের মধ্যে পার্থক্য লেখ?
উত্তর: ত্রিভূজায়ন জরিপ ও প্লেন টেবিল জরিপের মধ্যে পার্থক্য হল –
ত্রিভূজায়ন জরিপ
১। এ জরিপে থিওডোলাইট ব্যবহার করা হয়।
২। দুরবিনের সাহায্যে বস্তুকে দেখা যায়।
৩। সমতল করার জন্য বাবলকে কেন্দ্র আনা হয়।
৪। স্টাফ ব্যবহার করা হয়।
৫। প্রকৃত কম্পাস ব্যবহার করা হয় না।
প্লেন টেবিল জরিপ
১। এ জরিপ প্লেন টেবিল ব্যবহৃত হয়।
২। এ জরিপের এর সাহায্যে বস্তুকে দেখা যায়।
৩। সমতল করার জন্য স্পিরিট লেভেল ব্যবহৃত হয়।
৪। স্টাফ রেজিং বড় ব্যবহার করা হয়।
৫। এতে আয়তকার কম্পাস ব্যবহার হয়।
২৯।ভিত্তিরেখা বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ ত্রিভূজায়ন জরিপে সুষ্ঠভাবে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে বাহুর দৈর্ঘ্য অত্যাধিক সতর্কতা ও নিখুঁতভাবে সরাসরি পরিমাপ করা হয়, তাকে ভিত্তিরেখা বলে।
৩০।ভিত্তিরেখা পরিমাপ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর নাম লিখ।
উত্তর: ভিত্তিরেখা পরিমাপ প্রয়োজনীয় সংশোধনীগুলো নিম্নরুপঃ- বাংলাদেশ চা বোর্ড/২০১৯]
১. তাপজনিত সংশোধনী
২. টানজনিত সংশোধনী
৩. ঝুলনজনিত সংশোধনী
৪. অনুভূমিক এক রৈখিকরন সংশোধনী
৫. সমুদ্র পৃষ্ঠে লঘুকরন সংশোধনী
৬. পরম দৈর্ঘাজনীত সংশোধনী
৩১।ঝুলনজনীত সংশোধনী সূত্রটির নোটেশন লিখ?
উত্তর:
C1 = 124 (wp)2
এখানে
1 = দু সাপোর্টের মধ্যবর্তী দুরত্ব (মি.)
w = প্রতিমিটার ফিতার ওজন (কেজি)
p = প্রয়োগকৃত টানের পরিমান (কেজি)
৩২। নরমাল টেনশনের সূত্রটি নোটেশনসহ লেখ।
উত্তর: টানের জন্য সংশোধনীঃ
C2= Pm-P0AE×L
এখানে,
Pm = পরিমাপের প্রয়োগকৃত টান (কেজি)
P0. = আদর্শায়িত করাকালে টান (কেজি)
L= পরিমাপকৃত দৈর্ঘ্য
A= ফিতার প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল (বর্গ সে মি)
E = স্থিতিস্থাপক গুনাংক (কেজি/বর্গ সে মি)
ইস্পাতের টেপের জন্য E = 21×102kg/cm²
ইনভার টেপের জন্য E = 16.4×102kg/cm²
যখন Pm> Po. হয় তখন Cp, যোগবোধক এবং Pm˂Po. হলে বিয়োগবোধক হবে।
৩৩। ভিত্তিরেখা নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়গুলো লেখ।
উত্তরঃ ভিত্তিরেখা নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হল:-
ক. ভিত্তিরেখা সমতল ভূমিতে হওয়া উচিত।
খ. ভিত্তিরেখা বাধামুক্ত হওয়া উচিত।
গ. ভিত্তিরখো একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৃষ্টিগোচর হতে হবে।
ঘ. ভিত্তিরেখার ভূমি শক্ত দৃঢ় ও মসৃন হওয়া উচিত।
ঙ. ভিত্তিরেখার অবস্থান নদীর তীর সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন স্থানে না হওয়া উচিত।
৩৪। 64 কেজি টানে অনুভূমিক অবস্থায় একটি ইস্পাতের ফিতার দৈর্ঘ্য 30 মিটার। ঐ ফিতা দ্বারা 14 কেজি টানে মেলে একটি ভিত্তিরেখার দৈর্ঘ্য পাওয়া গেল 297.34m.। ভিত্তিরেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর ?। ফিতাটার প্রস্থচ্ছেনীয়।
ক্ষেত্রফল 0.02 cm² ইস্পাতের স্থিতিস্থাপক গুনাংক 2.1×106kg/cm² ।
সমাধানঃ-
টানজনীত সংশোধনী,
Cp= Pm-P0AE × L
= 14-6 0.02×2.1106 × 297.34
= 0.05664 মিঃ
: প্রকৃত রেখার দৈর্ঘ্য
= 297.34 +0.05664
= 297.3964 মিটার
উত্তর:
৩৫।জিওডেটিক অবস্থান বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: বৃহৎ এলাকা জরিপের ক্ষেত্রে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন বিন্দুর অবস্থান জানার প্রয়োজন হয়। এরুপ ক্ষেত্রে অক্ষাংশ এবং দ্রঘিমাংশের সাহায্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন বিন্দুর অবস্থান প্রকাশ করা হয়। এরুপ স্থানাংকের সাহায্যে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন বিন্দুর অবস্থান প্রকাশ করা জিওডেটিক অবস্থান বলে।
৩৬।জিওডেটিক অবস্থান নির্ণয়ের সুত্রগুলো কী কী?.
উত্তর: জিওডেটিক অবস্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে নিম্নের চারটি সূত্র ব্যবহার করা হয়।
১. ক্লার্ক সূত্র (Clarks Formula) দীর্ঘ রেখার জন্য।
২. ক্লার্ক সূত্র (Clarks Formula) মধ্যাম ও ছোট রেখার জন্য।
৩. ভুই স্যান্ট সূত্র (Duisank Formula)
৪. মধ্য অক্ষাংশ সূত্র (Mid Latitude Formula)
৩৭। মহাকাশীয় বস্তুর অবস্থান নির্ধারনে গোলকীয় স্থানাংক পদ্ধতিগুলোর নাম লেখ।
উত্তর "ঃ জ্যোতিষবিজ্ঞান সাধারনত চার ধরনের স্থানাংক পদ্ধতি ব্যবহার রয়েছে যার সাহায্যে খ গোলকের উপর অবস্থিত জ্যোতিষ্ক বা আসমানি বস্তুসমূহের অবস্থান নির্ণয় করা যায়। সেগুলো হচ্ছেঃ
১. উন্নতি এবং দিগংশ পদ্ধতি
২. অবনমন এবং কালকোণ পদ্ধতি
৩. অবনমন এব দক্ষিণারোহন পদ্ধতি
৪. খ অক্ষাংশ এবং খ দ্রাঘিমাংশ
৩৮। সময়ের সমীকরণ বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ যে কোন স্থানের আপাতত সৌরসময় ও গড় সৌর সময়ের পার্থক্যকে সময়ের সমীকরণ বলে। সময়ের সমীকরন (ET) = আপাত সৌরসময় গড় সৌরসময়
৩৯। আদর্শ সময় কী?
উত্তর: সমগ্রদেশের জন্য একটি আদর্শ মধ্যরেখা বিবেচনা করে গ্রীনিচ দ্রাঘিমার সাথে সম্পর্ক রেখে যে সময় হিসাব করা হয় তাকে এ দেশের জন্য আদর্শ বা প্রমাণ সময় বলে। বিভিন্ন দেশের প্রমাণ সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়।
৪০। 1 ঘন্টা 55 মিনিট সৌরসময়কে নাক্ষত্রিক সময়ে প্রকাশ কর।
উত্তর: 24h সোলার টাইম = 23h 56m 4.09s নাক্ষত্রিক সময়
.:. 1h 55m সোলার টাইম = 24h 56m 4.09s × 1h 55m 24
=1h 54 m 41.165 উত্তরঃ
৪১। 1° ডিগী দ্রাঘিমার জন্য সময়ের ব্যবধান কত?
উত্তরঃ 1˚ ডিগী দ্রাঘিমার জন্য সময়ের ব্যবধান 4 মিনিট।
৪২। প্রমাণ সময় বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ একই দেশে বিভিন্ন অঞ্চল বা শহরের দ্রাঘিমাংশ এক নয়। এতে বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক সময় বিভিন্ন হয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য সারা দেশের জন্য একটি রেখা বিবেচনা করা হয় যা দেশটির মাঝ বরাবর দিয়ে অতিক্রম করে এবং গ্রীনিচ সময়ের সাথে একটি পূর্ণসংখ্যা হয় এরুপ দ্রাঘিমাকে আদর্শ দ্রাঘিমা এবং আদর্শ দ্রাঘিমার সময়কে সারা দেশের প্রমাণ বা আদর্শ সময় বলে।
৪৩। বেলা 1 টার সময় গ্রীনিচ হতে ঢাকায় (দ্রাঘিমা 90°26' পৃঃ) একখানি টেলিগ্রাম প্রেরিত হল। টেলিগ্রাম আসতে যদি 15 মিনিট সময় লাগে তবে স্থানীয় সময় অনুযায়ী কখন সেটা ঢাকায় পৌছাবে?
সমাধানঃ
ঢাকার দ্রাঘিমা = 90°26'
গ্রীনিচের দ্রাঘিমা = 0°0′ 90°26'
দ্রাঘিমার পার্থক্য = 90°26'
• সময়ের পার্থক্য = 90°26' 15 = 6h1m445
• ঢাকার স্থানীয় সময় = 1+6h1m445
= 7h1m445
. টেলিগ্রাম আসতে ১৫ মিনিট লাগে ঢাকায়
টেলিগ্রাম পৌঁছাবে = 7h1m445 +15"
= 7 টা 16 মিনিট 44 সেকেন্ড
উত্তর:
৪৪। ঢাকা ও সিউলের সময়ের ব্যবধান 2 ঘন্টা 32 মিনিট। ঢাকার দ্রাঘিমা 90° 26' পূর্ব হলে সিউলে দ্রাঘিমা কত?
সমাধানঃ
সময়ের পার্থক্য = 2h32m
দ্রাঘিমার পার্থক্য = (2h32m ×15) =38°0′
সিউল ঢাকার পূর্বে অবস্থিত
সিউলের দ্রাঘিমা = 90°26' + 38°
= 128°26′ পূর্ব
৪৫। ঢাকা ও টোকিও শহরের স্থানীয় সময়ের ব্যবধান 3h17m16s ঢাকার দ্রাঘিমা 90°26' পূর্বে হলে টোকিও শহরে দ্রাঘিমা কত?
সমাধান:
সময়ের সমাধান = 3h17m16s
দ্রাঘিমার ব্যবধান = (× 15) = 49°19'
টোকিও ও ঢাকার পূর্বে অবস্থিত।
... টোকিওর দ্রাঘিমা = 90°26'+49°19'
= 139°45′ পূর্ব উত্তর:
৪৬। অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা কাকে বলে?
উত্তরঃ অক্ষাংশঃ নিরক্ষের বৃত্তের কেন্দ্র হতে উত্তরে বা দক্ষিনে কোন স্থানের কৌনিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলে। দ্রাঘিমাংশ: সমাক্ষরেখা থেকে অবস্থান জানার জন্য পৃথিবী দুই মেরুকে সংযুক্ত করে উত্তর দক্ষিণে প্রসারিত অনেকগুলো রেখা কল্পনা করা হয়েছে, এই রেখাকে দ্রাঘিমাংশ বলে।
৪৭। নটিক্যাল মাইল বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: মহাবৃত্তের পরিধির উপরস্থ দুটি বিন্দু দ্বারা গঠিত কোন চাপ কেন্দ্রে 1' পরিমাণ কোণ উৎপন্ন করলে মহাবৃত্ত ঐ চাপের দৈর্ঘ্যকে নটিক্যাল মাইল বলে। পৃথিবীর ব্যাসার্ধ 3960 মাইল ধরে এক নটিক্যাল মাইল
মহাবৃত্তের পরিধি360˚ 360˚
= 2××3960×5280
= 6082 ফুট
= 1854.3059 মিটার = 1.8543 কি.মি
উত্তর:
৪৮। সোলার অ্যাটাচমেন্ট বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: জ্যোর্তিবিজ্ঞান বিষয়ক জরিপের ক্ষেত্র সৌরমন্ডল পর্যবেক্ষকের জন্য সাধারণ থিওডোলাইটের সাথে বিশেষ যে যন্ত্র সংযুক্ত করা হয়, তাকে সৌলার অ্যাটাচমেন্ট বলে।
৪৯। কোন স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলো কী কী?
উত্তর: অক্ষাংশ নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলো হলো:-
১. ধ্রুবতারার সাহায্যে
২. সূর্যের উন্নতির সাহায্যে
৩. ছায়ার সাহায্যে
৪. ধ্রুবতারার (Polaris) এক্সটা মেরিডিয়ান পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে।
৫০। সৌর অ্যটাচমেন্ট এর বিভিন্ন অংশ কী কী?
উত্তর: সৌর অ্যটাচমেন্ট এর বিভিন্ন অংশঃ-
১. মেরু অক্ষ
২. বিষুব বৃত্তচাপ
৩. নিরক্ষীয় রেখা
৪. কালবৃত্ত।
৫১। নৈসর্গিক বস্তুর উচ্চতা নির্ণয়ের জ্যোতিষীয় সংশোধনীগুলো কী?
উত্তর: নৈসর্গিক বস্তুর উচ্চতা নির্ণয়ের জ্যোতিষীয় সংশোধনী হলো :-
ক) লম্বন (Parallax) জনিত সংশোধনী
খ) প্রতিসরণ (Reflection) জনিত।
গ) দিগন্ত রেখার (Dip of Horzon) নতিজনিত সংশোধনী।
ঘ) অর্থব্যাস (Semi Diameter) জনিত সংশোধনী।
৫২।ডিপ কী?
উত্তরঃ প্রকৃত ও দৃশ্যমান দিগন্তরেখার মধ্যবর্তী কোণকে ডিপ (Dip Angle) বলে। তারকা বা সূর্যের অল্টিচুড দৃশ্যমান দিগন্তরেখা হতে পরিমাপ করা হয়।
৫৩। কোন স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলো কী কী?
উত্তরঃ কোন স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলো হলো :-
১. সময়ের পার্থক্য দ্বারা।
২. গ্রীনিচের সময় দ্বারা।
৩. ক্রোনোমিটার টেলিগ্রাফ এর মাধ্যমে।
৪. বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ এর মাধ্যমে।
৫. বেতার সময় সংকেতের মাধ্যমে।
৬. গোলকীয় সংকেতের মাধ্যমে।
৭. চন্দ্র দূরত্বের মাধ্যমে।
৮. একই সময় মধ্যগমনে চন্দ্র ও তারকা পর্যবেক্ষণ করে।
৯. জিপিএস এর সাহায্যে।
৫৪। মূলমধ্যরেখা কাকে বলে?
উত্তর: শহরের উপর দিয়ে সুমেরু হতে কুমেরু পর্যন্ত যে রেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাকে মূল মধ্যরেখা বলে।
৫৫। দ্রাঘিমা রেখা বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: সমাক্ষ রেখা হতে অবস্থান জানার জন্য পৃথিবীর দুইমেরুকে সংযুক্ত করে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত অনেকগুলো রেখা
কল্পনা করা হয়েছে, এগুলোকে দ্রাঘিমা রেখা বলে।
৫৬। রেফারেন্স মার্ক (Referance Mark) কী?
উত্তর: স্বারক চিহ্ন হতে পারে একটি ত্রিভুজায়ন স্টেশন (Triangulation Station) অর্থাৎ বাক্সের মধ্যে বা পর্দার পিছনে রাখা একটি লম্বন বা বৈদ্যুতিক বাতি, যার আলো ঐ বাক্স বা পদার গায়ে একটি গোলাকার ছিদ্রের মধ্যেদিয়ে পর্যবেক্ষকের চোখে পড়বে। ছিদ্রটির আবার যন্ত্রটি থেকে স্মারক চিহ্নের দুরত্বের উপর নির্ভর করবে।
৩৭। সমান্তরাল অক্ষাংশ বরাবর ক ও খ বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব নটিক্যাল মাইলে নির্ণয় কর।
দেওয়া আছেঃ-
ক এর অক্ষাংশ - 48°24' উত্তর ক এর দ্রাঘিমা = 36032' পঃ
ক এর অক্ষাংশ - 48°24' উত্তর খ এর দ্রাঘিমা = 14024' পঃ
উত্তরঃ সমান্তরাল অক্ষাংশ বরাবর ক ও খ এর মধ্যবর্তী দুরত্ব নটিক্যাল মাইল
= ডিপারচার = দ্রাঘিমার পার্থক্য (মিনিট) x Cos (অক্ষাংশ).
কও খ এর দ্রাঘিমার পার্থক্য = 36°32'-14024' = 2208' = 1328 মিনিট
ডিপারচার = 1328' Cos48024'=881.69' নটিক্যাল মাইল।
৫৮। সমাক্ষ রেখা বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখার সমান্তরার পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর দিয়ে উত্তর ও দক্ষিনে আর ও কতগুলো রেখা কল্পনা করা হয়, এগুলোকে সমাক্ষ রেখা বলে। সমাক্ষরেখা পূর্ব পশ্চিমে বিস্তৃত পৃথিবীকে বেষ্টনকারী কতগুলো পূর্নবৃত্ত।
৫৯। দ্রাঘিমাংশ বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ মূল মধ্যরেখার হতে পূর্বে বা পশ্চিমে কোনস্থানের কৌনিক দূরত্বকে দ্রাঘিমাংশ বলে। এর মান ০ থেকে ১৮০০ পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিমে পরিমাপ করা হয়।
৬০। কী কী পদ্ধতিতে কোন স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়?
উত্তর: নিম্নলিখিত পদ্ধতির সাহায্যে কোন স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।৪-
১. অন্তহীন নক্ষত্রের উচ্চ ও নিম্নগমনের উন্নতির সাহায্যে
২. নক্ষত্র বা সূর্যের অতিরিক্ত মধ্যরেখা উন্নতি পদ্ধতির সাহায্যে
৩. নক্ষত্র বা সূর্যের মধ্যরেখার উন্নতির সাহায্যে
৪. ধ্রুবতারার অতিরিক্ত মধ্যরেখার উন্নতির সাহায্যে।
৫. দু নক্ষত্রের বৃত্তীয় মধ্যরেখার উন্নতির সাহায্যে।
৬. সূর্য বা তারকার বৃত্তীয় মধ্যরেখার উন্নতির সাহায্যে।
৬১।মূল মধ্যরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ মূল মধ্যরেখাঃ লন্ডনে নিকটবর্তী গ্রীনিচ (Greenwich) শহরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু হতে দক্ষিণ মেয় পর্যন্ত যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে মধ্যরেখা বা প্রমাণ মধ্যরেখা (Standard Meridian) বলে।
দ্রাঘিমাঃ- মূল মধ্যরেখা হতে কোন স্থানের অবস্থান জানার জন্য পৃথিবীর দুইমেরুকে সংযুক্ত করে উত্তর দক্ষিনে প্রসারিত পৃথিবীকে বেষ্টন করে অনেকগুলো রেখা কল্পনা করা হয়, এগুলোকে দ্রাঘিমাংশ বলা হয়।
৬২। একজন পর্যবেক্ষক গড় সমুদ্রতলের 16 মিঃ উপর হতে সূর্যের উন্নতি পরিমাপ করলে দিগন্তরেখার নতি (Dip) জনিত সংশোধনী কত?
পৃথিবীর ব্যাস 12742 কি মি.
সমাধান:-
Data,
h = 16 মি.
R = 127422 =6371km
আমরা জানি,
tan B = 2hR
tan B = 2x166371
β=0.00224115
= 0.00224115×180。 =0.128410
= 7.7045' 11 উত্তর:
৬৩। ABC ত্রিভুজায়ন জরিপের তিনটি স্টেশন। A স্টেশনের যন্ত্র বসানো যায় না বিধায় A হতে 14 মিটার দূরে S উপস্টেশনে যন্ত্র বসিয়ে ∠BSC = 68°26'36" এবং ∠ASC = 32°45'48" পাওয়া গেল। S ও C
স্টেশনদ্বয় AB রেখার বিপরীত পাশে অবস্থিত।
AB = 4441 মিটার AC = 5678 মিটার হলে, ∠BAC কত হবে?
সমধানঃ
PIC
B= AS sin(∠BSC + ASC)AB sin 1"
= 14sin(68°26'36"+32°45'48) 4441 sin 1"
= 637.84sec
=0'10'37.84"
y= AS sin ASC AC sin 1"
= 14 sin 32°45'48" 5678 sin 1" = 275.23 sec =
0°4'35.23"
∠BAC=0+β-γ
= 68°26'36"+0"10'37.84"-0°4'25.23"
= 68°32'38.61" Ans