বেসিক সার্ভেয়িং


প্রশ্নঃ-১. জরিপ বিজ্ঞান বলতে কী বুঝায়?

উত্তর:- যে প্রক্রিয়া বা কলাকৌশলে কতকগুলো সুনির্দিষ্ট বিন্দু, রেখা বা বস্তুর আপেক্ষিকতায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ পরিমাপ গ্রহনের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বিন্দু, রেখা বা বস্তুর অবস্থান দেখিয়ে নকশা তৈরি করা হয় এ প্রক্রিয়া বা কলাকৌশলই জরিপ বিজ্ঞান (Surveying).


প্রশ্নঃ-২. জরিপকর কী কী কাজ করে?

উত্তর:- জরিপকর প্রধানত নিম্নোক্ত তিন ধরনের কাজ করে থাকে-

ক) সরজমিনের কাজ (Field Work)

খ) দাপ্তরিক কাজ (Office Work)

গ) যন্ত্রপাতির তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় (Care and adjustments)


প্রশ্নঃ-৩. প্রাথমিক ভাবে জরিপের ভাগগুলো কী কী?

উত্তর: প্রাথমিকভাবে জরিপকে (ক) ভূমন্ডলীয় জরিপ ও (খ) সমতলীয় জরিপ এ দু' ভাগে ভাগ করা যায়।


প্রশ্নঃ-৪. মানচিত্র ও নকশার মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: ছোট স্কেলে অংকিত বৃহত্তর এলাকার (উপজেলা, জেলা, দেশ) ভূমি দৃশ্য (Plan) মানচিত্র নামে এবং বড় স্কেলে অংকিত ছোট এলাকার (মৌজা, গ্রাম) ভূমি দৃশ্য (Plan) নকশা নামে পরিচিতি। মানচিত্র কোনো স্থানের অবস্থান প্রতীকী অবস্থান এবং নকশায় কোনো স্থানের অবস্থান প্রকৃত অবস্থান।


প্রশ্নঃ-৫. জরিপ যন্ত্রের 'রুটিন অবজার্ভেশনের দরকার হয় কেন?

উত্তর: জরিপের ক্ষেত্রে নির্ভুল ফলাফল পাওয়ার জন্য ধরে নেয়া হয় যে, প্রত্যেকটি যন্ত্রই ত্রুটি সম্পন্ন। তাই যন্ত্র সমন্বয়ের পরেও সহজাত ত্রুটিমুক্ততার জন্য রুটিন অবজার্ভেশন এর ব্যবস্থা রাখা হয়।


প্রশ্নঃ-৬. জরিপকাজের প্রকৃতি অনুযায়ী জরিপকে কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর: জরিপ কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী জরিপকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

ক) ভূমি জরিপ-

খ) সামুদ্রিক জরিপ ও

গ) জ্যোতিষীয় জরিপ।


প্রশ্নঃ-৭. জরিপের উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে জরিপ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর:-জরিপের উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে জরিপ পাঁচ প্রকার, যথা:-

ক) প্রকৌশল জরিপ

খ) সামরিক জরিপ

গ) খনি জরিপ

ঘ) ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও

ঙ) প্রত্মতাত্ত্বিক জরিপ।


প্রশ্নঃ-৮. জরিপ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের জরিপের নাম লেখ।

উত্তর: জরিপ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপর ভিত্তি করেঃ-

(ক) শিকল জরিপ

খ) কম্পাস জরিপ

গ) প্লেন টেবিল জরিপ

ঘ) থিওডোলাইট জরিপ

ঙ) টেকোমিটার জরিপ ও

চ) বিমান আলোকচিত্র জরিপ।


প্রশ্নঃ-৯. জরিপকে বিজ্ঞান বলা হয় কেন?

উত্তর:- যেহেতু জরিপের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূনিম্নস্থ বিভিন্ন বিন্দু বা বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান নির্ধারনে বিজ্ঞান ভিত্তিক নির্মিত বিভিন্ন জরিপ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অনুভূমিক দূরত্ব, উলম্ব দূরত্ব, অনুভূমিক কোন, উলম্ব কোন ইত্যাদি নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা হয় তাই জরিপকে বিজ্ঞান বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১০. জরিপ এর উদ্দেশ্য কি?

উত্তরঃ- জরিপ এর উদ্দেশ্য

ক) সীমানা নির্ধারণ

খ) তথ্যাদি সংগ্রহকরণ

গ) ক্ষেত্রফল নির্ণয়

ঘ) নকশা তৈরীকরন

ঙ) ভূমি বণ্টন


প্রশ্নঃ-১১. গ্রন্থি রেখার কাজ কি ও সুঠামো ত্রিভুজ কাকে বলে?

উত্তরঃ- ত্রিভূজ কাঠামোর বিশুদ্ধতা যাচাই করা গ্রন্থি রেখার কাজ। যে ত্রিভুজের কোন কোণই ১২০ এর বেশি এবং ৩০ কম নয় তাকে সুঠামো ত্রিভুজ বলে।


প্রশ্নঃ-১২. প্রকৌশল কাজে সার্ভেয়িং এর প্রয়োজনীয়তা কী?

উত্তর: প্রকৌশল কাজে ভূমির বিভিন্ন তথ্যাদি সম্পর্কে ধারণা, প্রকল্পের উপযোগী স্থান নির্বাচন, প্রকল্পের সীমানা নির্ধারণ, প্রকল্পের ভূমি বরাদ্দের ব্যয়ের পরিমাণ নিরূপন, প্রস্তাবিত ইমারত কাঠামো ইত্যাদির সংস্থাপন ভূমির প্রাকৃতিক অবস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে জানার জন্য সার্ভেয়িং এর প্রয়োজন।


প্রশ্নঃ- ১৩. মানচিত্র কী?

উত্তর। দ্বিমাত্রিক নকশাই মানচিত্র। এতে ছোট স্কেলে বৃহত্তর এলাকার ভূমিদৃশ্য (Plan) প্রদর্শিত হয় এবং মানচিত্র হতে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ জানা যায়। তবে এতে বস্তুর অবস্থান প্রতীকী।

সাধারণত সরকার অনুমোদিত জরিপ সংস্থা কোন এলাকার মানচিত্র অংকন করে থাকে।


প্রশ্নঃ-১৪. ভূমি জরিপ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: ভূমি জরিপ চার প্রকার। যথা-

ক) ভূ-সংস্থানিক জরিপ

খ) কিস্তোয়ার জরিপ

গ) নগর জরিপ

ঘ) প্রকৌশল জরিপ


প্রশ্নঃ-১৫. দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক নকশা ও মানচিত্র বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: যে নকশা বা মানচিত্র দুই মাত্রা (Two dimension) যেমনঃ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ প্রদর্শিত হয় তাকে দ্বিমাত্রিক নকশা বা মানচিত্র বলা হয়। যেমনঃ শিকল জরিপ নকশা। পক্ষান্তরে, যে নকশা বা মানচিত্রে তিন মাত্রা (Two dimension) যেমনঃ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা বা গভীরতা প্রদর্শিত হয় তাকে ত্রিমাত্রিক নকশা বা মানচিত্র বলা হয়। যেমন- কন্টুর নকশা।


প্রশ্নঃ-১৬. জরিপকরের ৪টি সরজমিনের কাজ লিখ।

উত্তর: জরিপকরের চারটি সরজমিনের কাজ নিচে দেওয়া হলঃ-

ক) সহজে জরিপকার্য করার জন্য পর্যবেক্ষণ বা তদন্ত জরিপ (Reconnaissance) করা;

খ) প্রয়োজনীয় পরিমাপ গ্রহন করা;

গ) স্টেশন বিন্দু নির্বাচন করা;

ঘ) জরিপকালে প্রাপ্ত তথ্যাদি রেকর্ড করা।



প্রশ্নঃ-১৭. জরিপকরের দাপ্তরিক কাজগুলো কী কী?

উত্তর: নিচে জরিপকরের দাপ্তরিক কাজগুলো দেয়া হলঃ-

ক) নকশা বা মানচিত্র অঙ্কনের জন্য প্রয়োজনীয় হিসাবনিকাশ করা,

খ) হিসাব নিকাশ অনুযায়ী নকশা বা মানচিত্র আকা।

গ) নকশা বা মানচিত্রে কালি দেয়া

ঘ) ক্ষেত্রফল, আয়তন ইত্যাদি নির্ণয় ও এর ভিত্তিতে প্রাক্কলন ডিজাইন ইত্যাদি কাজ করা।


প্রশ্নঃ-১৮. জরিপের নীতিগুলো লেখ।

উত্তর: জরিপের নীতিগুলো নিচে দেয়া হল: -

ক) সর্বদা জরিপকার্য সমস্ত হতে অংশের দিকে করতে হবে।

খ) জরিপের উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে সর্বোত্তম জরিপ পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে।

গ) জরিপের সকল ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ঘ) সর্বদা সরজমিনে প্রাপ্ত তথ্যাদি নিখুঁতভাবে সর্তকতার সাথে লিপিবদ্ধ করতে হবে।


প্রশ্নঃ-১৯. জরিপকরের দাপ্তরিক কাজগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তর: জরিপকরের দাপ্তরিক কাজগুলো নিচে দেয়া হলঃ-

১। সরজমিনে প্রাপ্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে লিপিবদ্ধকৃত তথ্যাদির ভিত্তিতে নকশা বা মানচিত্র অঙ্কন (Ploting) করার জন্য প্রয়োজনীয় হিসাবনিকাশ।

২। হিসাবনিকাশের উপর ভিত্তি করে পেন্সিল দিয়ে নকশা বা মানচিত্র অঙ্কন।

৩। অঙ্কিত নকশা বা মানচিত্রে কালি দেয়া এবং নকশার কাজ সমাপ্ত করা ও

৪। ঈলিত উদ্দেশ্যে ক্ষেত্রফল, আয়তন ও নকশার আনুষঙ্গিক হিসাবনিকাশের ভিত্তিতে ডিজাইন, প্রাক্কলন ইত্যাদি কার্য সম্পাদন।


প্রশ্নঃ-২০. নকশা ও মানচিত্রের তুলনামূলক পার্থক্য লেখ।

উত্তর: নিচে নকশা ও মানচিত্রের তুলনামূলক পার্থক্য দেয়া হলঃ-

তুলনার বিষয়

নকশা

মানচিত্র

ব্যবহৃত স্কেল

বড় স্কেল

ছোট স্কেল

এলাকার বিস্তৃতি

স্বল্প পরিসর

বিস্তীর্ণ এলাকা

বস্তুর অবস্থান

নিখুঁত অবস্থান

প্রতীকী অবস্থান

পৃথিবীর বক্রতা

বিবেচ্য নয়

বিবেচ্য

মাত্রিকতা

দ্বিমাত্রিক

হতে পারে দ্বিমাত্রিক বিশেষ ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক


প্রশ্নঃ-২১. জরিপকরের (Surveyor) সরজমিনের কাজগুলো কী কী?

উত্তর। জরিপকরের সরজমিনের কাজগুলো নিচে দেয়া হলঃ-

১। সহজভাবে জরিপকার্য পরিচালনার জন্য পর্যবেক্ষণ বা তদন্ত জরিপ (Reconnaissance) করা।

২। কন্ট্রোল স্টেশন ও বেঞ্চমার্ক স্থাপন (এতে অনুভূমিক ও উলম্ব কন্ট্রোল নেটওয়ার্কের জন্য স্টেশনগুলো স্থাপন করা)।

৩। পরিমাপগুলো সঠিক নিয়মতান্ত্রিকভাবে লিপিবদ্ধ করা।

৪। সূর্য বা ধ্রুবতারা পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে মধ্যরেখা, অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ ও স্থানীয় সময় ইত্যাদি নির্ণয় করা।

৫। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ক্ষেত্রে লোকেশন জরিপে ভূমিতে বিভিন্ন অবকাঠামোর স্থান, রেখা, বিন্দু চিহ্নিত করা।

৬। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিমাপের সুবিধার্থে সমান্তরাল রেখা, লম্ব ইত্যাদি স্থাপন করা।

প্রশ্নঃ-২২. শিকল জরিপের প্রধান মূলনীতি কী? শিকল রেখা কি?

উত্তর: ত্রিভুজায়নের ভিত্তিতে জরিপ করাই শিকল জরিপের প্রধান মূলনীতি। শিকল জরিপকালে যখন যে রেখার পরিমাপ নেয়া হয়, তখন ঐ রেখাই শিকল রেখা।


প্রশ্ন-২৩. গান্টার শিকলের আবিষ্কারক কে বিস্তারিত লিখুন? 

উত্তরঃ- এডমন্ড গান্টার ‘গান্টার শিকলের’ আবিষ্কারক। এটা ৬৬ ফুট লম্বা, ১০০ টি সমান ভাগে বিভক্ত, প্রতি ভাগের দৈর্ঘ্য ০.৬৬ ফুট বা ৭.৯২ ইঞ্চি, প্রতি ভাগ কে এক লিংক বলে। ৮০ গান্টার শিকলে ১ মাইল, ১০ গান্টার শিকলে ১ ফার্লং ১০ বর্গ গান্টার শিকলে ১ একর হয়। একর শতাংশে জমির পরিমানে ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্নঃ-২৪. প্রকৌশল শিকল সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন? গান্টার শিকল ও প্রকৌশল শিকল এর পার্থক্য কত?

উত্তরঃ- প্রকৌশল শিকল ১০০ ফুট লম্বা প্রতি ভাগ ১ ফুট। পার্থক্য ৪.০৮ ইঞ্চি।


প্রশ্নঃ-২৫. রেইঞ্জিংরড কি এবং কেন ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ- রেইঞ্জিংরড স্টেশনবিন্দু চিহ্নিত ও রেখাকে সোজাকরার জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্যাস ৩ সে. মি, পোতার জন্য ১৫ সে. মি লোহার নাল থাকে, ২ বা ৩ মি লম্বা হয়।


প্রশ্নঃ-২৬. টেপ কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ- টেপ ৪ প্রকার। ১. কাপড় টেপ ২. ধাতব টেপ ৩. ইস্পাত টেপ ৪. ইনভার টেপ


প্রশ্ন-২৭ টেপ প্রসারন গুনাংক লিখুন। কোণ মাপার জন্য প্রিজম স্বয়ারের বিকল্প কি?

উওরঃ- টেপ প্রসারন গুনাকে ০.৬৩ x ১০। কোণ মাপার জন্য প্রিজম স্বয়ারের বিকল্প হিসাবে বক্সট্যান্ট ব্রবহৃত হয়।


প্রশ্ন-২৮. প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপ কাকে বলে?


উত্তরঃ- সুষ্ঠু নিখুঁতভাবে ও সহজে জরিপ করার জন্য উক্ত এলাকা পরিদর্শনই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জরিপ বলে।


প্রশ্নঃ-২৯. অফসেট কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? অফসেট এর উদ্দেশ্য কি?

 উত্তরঃ-শিকল রেখা হতে কোন বস্তুর দূরত্বকেই অফসেট বলে। অফসেট দুই প্রকার। যথাঃ- ১. লাম্বিক ২. তীর্যক। উত্তরা-জরিতব্য এলাকার বিস্তারিত তথ্যাদি নকশায় যথাযথভাবে আঁকা অফসেট এর উদ্দেশ্য।


প্রশ্নঃ-৩০. জরিপ লিপি কাকে বলে?

উত্তরঃ- শিকল জরিপকালে সরজমিনের মাপজোখ যে বইতে লিপিবদ্ধ করা হয় এ বইকে জরিপ লিপি বলে।


প্রশ্ন-৩১. এক রেখা ও দুই রেখা জরিপ লিপি কাকে বলে?

উত্তরঃ- পৃষ্ঠার মাঝে একটি লাল রেখা থাকলে এক রেখা ও দুইটি নীল রেখা থাকলে দুই রেখা জরিপ লিপি।


প্রশ্নঃ-৩২. অগ্রগামীমুখী হযে জরিপ লিপি লিখা হয় কেন?

উত্তরঃ- ডানের অফসেট ডানে আর বামের অফসেট বামে বসানোর জন্য অগ্রগামীমুখী হয়ে জরিপ লিপি লিখা হয়।


প্রশ্নঃ-৩৩. পুঞ্জিভূত ভ্রান্তি ও ক্ষতিপূরক ভ্রান্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ- জরিপকালে যদি শিকলের দৈর্ঘ্য শুধুমাত্র অতিরিক্ত লম্বা বা খাটো হতে থাকে তাহলে পুঞ্জিভূত ভ্রান্তি এবং দৈর্ঘ্য যদি একবার বাড়ে আবার কমে বা একবার কমে তাকে ক্ষতিপুরক ভ্রান্তি বলে। জরিপকর ভুল করে যেগুলো করে সেটা ভুল।


প্রশ্না-৩৪. নকশা অংকনের স্কেল কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ- নকশা অংকনের স্কেল ৩ প্রকার- সাধারন, ডায়াগোনাল ও কর্ড স্কেল।


প্রশ্নঃ-৩৫. আলমত কাকে বলে? 

উত্তরঃ- জরিপ নকশায় বিভিন্ন বস্তুকে বুঝানোর জন্য বিভিন্ন যে প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, এগুলোকে আলমত বলে।


প্রশ্নঃ-৩৬. জরিপের ক্ষেত্রে কত ধরনের পরিমাপ নেয়া হয় ও কি কি?

উত্তরঃ- জরিপের ক্ষেত্রে দু ধরনের পরিমাপ নেয়া হয়-রৈখিক, কৌনিক পরিমাপ।


প্রশ্নঃ-৩৭. প্রমান বা আদর্শ গজ বলে কাকে বলে? প্লেনিমিটার ব্যবহৃত কেন হয়

উত্তরঃ- আন্তর্জাতিক বোর্ড অব ট্রেড এর লন্ডস্থ অফিসে সার্বক্ষনিক ৬২° ফারেনহাইট তাপমাত্রায় সংরক্ষিত একটি কাঁসার দন্ডের উপর স্থাপিত দুটি সোনার পিন এ মধ্যবর্তী দূরত্বকে প্রমান বা আদর্শ গজ বলে। নকশা হতে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য প্লেনিমিটার ব্যবহৃত হয়। অ্যামসলারের পোলার প্রেনিমিটার বেশী ব্যবহার হয়।


প্রশ্নঃ-৩৮. একর কম্ব ব্যবহৃত কেন হয়? ট্রেস বিন্দু কাকে বলে?

উত্তরা- নকশার ক্ষেত্রফল একরে নির্নয়ের জন্য একর কম্ব ব্যবহৃত হয়। যে বিন্দুর সাপেক্ষে অন্যকোন বিন্দু ল্যাপিং করা হয় তাকে ট্রেস বিন্দু বলে।


প্রশ্নঃ-৩৯. আল বিন্দু কাকে বলে?

উত্তরঃ প্লেনিমিটারের ট্রেসিং বাহু ও নোঙর বাহু সংযোগ বিন্দুই আল বিন্দু।

প্রশ্নঃ-৪০. পেন্টাগ্রাফ ব্যবহৃত কেন হয়?

উত্তরঃ- অবিকল নকশা তৈরীকরন, নকশার সংকোচন ও পরিবর্ধনের জন্য পেন্টাগ্রাফ ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্নঃ-৪১. সেক্সট্যান্ট কি?

উত্তরঃ- সেক্সট্যান্ট একটি কোণমাপক যন্ত্র।


প্রশ্নঃ-৪২. কম্পাস জরিপ কাকে বলে?

উত্তরঃ- যে জরিপে প্রধান যন্ত্র হিসাবে কম্পাস ব্যবহৃত হয় সে জরিপ কে কম্পাস জরিপ বলে।


প্রশ্নঃ-৪৩. মধ্যরেখা কাকে বলে?

উত্তরঃ- দর্শক বিন্দুগামী পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী রেখাই মধ্যরেখা।


প্রশ্নঃ-৪৪. চুম্বকীয় অনৈক্য কাকে বলে?

উত্তরঃ- প্রকৃত মধ্যরেখা এবং চুম্বকীয় মধ্যরেখার মধ্যবর্তী অনুভূমিক কোণকে চুম্বকীয় অনৈক্য বলে।


প্রশ্নঃ-৪৫. বিয়ারিং কাকে বলে?

উত্তরঃ- কোন রেখা মধ্যরেখা হতে ডানাবর্তে যে অনুভূমিক কোণ উৎপন্ন করে, তাকে বিয়ারিং বলে।


প্রশ্নঃ-৪৬. ভৌগলিক মধ্যরেখা কাকে বলে?

উত্তরঃ- ভূপৃষ্ঠের কোন নির্দিষ্ট বিন্দু দিয়ে অতিক্রান্ত ভৌগলিক উত্তর ও দক্ষিণ মেরু বিন্দুর সংযোগকারী রেখাকে ভৌগলিক মধ্যরেখা বলে।


প্রশ্নঃ-৪৭. প্রতিসরণ কোণ কাকে বলে?

উত্তরঃ- কোন জরিপ রেখা তার পূর্ববর্তী জরিপ রেখার বর্ধিতাংশের সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে প্রতিসরণ কোণ বলে।


প্রশ্নঃ-৪৮. চুম্বকীয় বিয়ারিং কাকে বলে?

উত্তরঃ- কোন রেখা চুম্বকীয় উত্তর রেখা হতে ডানাবর্তে যে অনুভূমিক কোণ উৎপন্ন করে, তাকে চুম্বকীয় বিয়ারিং বলে।


প্রশ্নঃ-৪৯. ধার্যকৃত মধ্যরেখা কাকে বলে?

উত্তরঃ- সাধারনত ছোটখাটো জরিপ কাজে ব্যবহারের জন্য কোন দিককে মধ্যরেখা ধরে নেয়া হয়। এ রেখাই ধার্যকৃত মধ্যরেখা।


প্রশ্নঃ-৫০. সম্মুখ বিয়ারিং ও পশ্চাত বিয়ারিং কাকে বলে?

উত্তরঃ- কোন রেখার প্রারম্ভ বিন্দু হতে প্রান্তীয় বিন্দুর দিকে তাকিয়ে যে বিয়ারিং পাওয়া যায় তাকে সম্মুখ বিয়ারিং এবং কোন রেখার প্রান্তীয় বিন্দু হতে প্রারম্ভ বিন্দুর দিকে তাকিয়ে যে বিয়ারিং পাওয়া যায় তাকে পশ্চাত বিয়ারিং বলে।দুইটার পার্থক্য ১৮০°


প্রশ্নঃ-৫১. মিলন ভ্রন্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ- বদ্ধ ট্রাভার্সের নকশা অঙ্কনকালে যে দূরত্বের জন্য ঘেরটি প্রারম্ভ বিন্দুতে মিলিত হতে পারে না। সে পরিমান দূরত্বেকে মিলন ভ্রান্তি বলে।

প্রশ্নঃ-৫২. হ্রাসকৃত বিয়ারিং কাকে বলে?

উত্তরঃ-কোন রেখার পূর্ণবৃত্ত বিয়ারিংকে উত্তর বা দক্ষিণের সাথে নৈকট্যের ভিত্তিতে উক্ত রেখার অবস্থানের দিকসহ ০° হতে ৯০° এর মধ্যে আনয়ন করে প্রাপ্ত বিয়ারিংকে হ্রাসকৃত বিয়ারিং বলে।


প্রশ্নঃ-৫৩. বিক্ষেপণকে স্থানীয় আকর্ষণ কাকে বলে?

উত্তরঃ- কম্পাসের আকর্ষণ এলাকায় চুম্বক আকর্ষিত সামগ্রী থাকলে কম্পাসের চুম্বক শলাকা চুম্বকীয় উত্তর রেখা নির্দেশ না করে কিছুটা বিক্ষেপিত হয়। এ বিক্ষেপণকে স্থানীয় আকর্ষণ বলে।


প্রশ্নঃ-৫৪. পূর্ণবৃত্ত বিয়ারিং কাকে বলে?

উত্তরঃ- উত্তর রেখা হতে ডানাবর্তে কোন রেখা পর্যন্ত অনুভূমিক কৌণিক মানই পূর্ণবৃত্ত বিয়ারিং বলে। মান ০ হতে ৩৬০ হতে পারে।


প্রশ্নঃ-৫৫. ঘের বা ট্রাভার্স কাকে বলে?

উত্তরঃ- নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যমান ও অবস্থানের দিকবিশিষ্ট ধারাবাহিক বাহু বা সরল রেখায় গঠিত কাঠামোকে ঘের বা ট্রাভার্স বলে। 


প্রশ্নঃ-৫৬. বদ্ধ ঘের ও খোলা ঘের কাকে বলে?

উত্তরঃ- যদি কোন ঘেরের সমাপ্ত বিন্দু যদি প্রারম্ভ বিন্দুতে মিলিত হয় তাকে বদ্ধ ঘের বলে ।যদি কোন ঘেরের সমাপ্তি বিন্দু প্রারম্ভ বিন্দুতে মিলিত না হয় তাকে খোলা ঘের বলে । অন্তস্থ কোণ (2n-4)90, বহিস্থ (2n+4)90


প্রশ্নঃ-৫৭. পি-৭০ শীট কাকে বলে?

উত্তরঃ- ট্রাভার্স পার্টি কর্তৃক মৌজা ঘেরের নকশাই পি-৭০ শীীট নামে পরিচিত।


প্রশ্নঃ-৫৮. কিস্তোয়ার জরিপ কাকে বলে?

উত্তরঃ- যে জরিপের মাধ্যমে কোন এলাকা মৌজা বা গ্রামের অন্তর্গত জমির প্লটগুলো দাগে দাগে মেপে নকশায়ন, মালিকানা ও স্বত্ব নিরুপন, জমির শ্রেণি চিহ্নিকরণ সরকারি খাজনার হার ধার্যকরন ইত্যাদি করা হয়, তাকে কিস্তোয়ার জরিপ বলে। 


প্রশ্নঃ-৫৯. মোরব্বা কাকে বলে?

উত্তরঃ- কিস্তোয়ার জরিপের সুবিধার্থে একটি মৌজাকে কতগুলো চতুর্ভুজ সাদৃশ্য এলাকায় ভাগ করে নেয়া হয়। এ চতুর্ভুজ সাদৃশ্য প্রত্যেকটি এলকাই এক একটা মোরব্বা।


প্রশ্নঃ-৬০. কাটান বলে কাকে বলে?

উত্তরঃ- মোরব্বা রেখা বা শিকল রেখা যে স্থানে জমির আইলকে ছেদ করে তাকে কাটান বলে।


প্রশ্নঃ-৬১. পরতাল রেখা কাকে বলে?

উত্তরঃ- কিস্তোয়ার জরিপ কাজের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য নকশায় নির্ধারিত রেখা মাঠে সরাসরি মাপা হয় তাই পরতাল রেখা।


প্রশ্নঃ-৬২. মাঠ খাকা কাকে বলে?

উত্তরঃ- মাঠে ব্যবহারের জন্য পি-শীট এর যে অনুলিপি তৈরী করা হয় তা মাঠ খাকা।


প্রশ্নঃ-৬৩. খতিয়ান কাকে বলে?

উত্তরঃ- মৌজাই এক বা একাধিক মালিকের জমির বিবরন যে নির্ধারিত ফরমে পৃথক পরিচিতি নম্বর দ্বারা চিহ্নিতকরা হয়, এ ফরমকে খতিয়ান বলে।


প্রশ্নঃ-৬৪. পর্চা কাকে বলে?

উত্তরঃ- খতিয়ানের যে অনুলিপি ভূমির মালিককে দেয়া হয় তাই পর্চা।


প্রশ্নঃ-৬৫. দিয়ারা সেটেলমেন্ট জরিপ কি?

উত্তরঃ - নদী বা সমুদ্রে নতুন জেগে উঠা চর জরিপের জন্য দিয়ারা সেটেলমেন্ট জরিপ করা হয়।


প্রশ্নঃ-৬৬. সিকমি রেখা কাকে বলে?

উত্তরঃ- কিস্তোয়ার জরিপে প্রতিটি মোরব্বার জমির প্লটগুলোকে নিখুঁতভাবে নকশায় উঠানোর জন্য বেশিরভাগ প্লটগুলো লম্বালম্বি আইলের মোটামুটি সমান্তরালে শিকল অন্তর অন্তর যে রেখা টানা হয় তাকে সিকমি রেখা বলে।


প্রশ্নঃ-৬৭. স্কেল সম্পর্কে বিস্তরিত লিখুন?

উত্তরঃ- সাধারন ক্ষেত্রে ১৬" = ১ মাইল বা ২৫ সে.মি = ১ কি.মি বা ১/৩৯৬০: ঘনবসতির জন্য ৩২" = ১ মাইল বা ৫০ সে.মি = ১ কি.মি বা ১/১৯৮০, শহর ৬৪ = ১ মাইল ১০০ সে.মি বা ১/৯৯০।


প্রশ্নঃ-৬৮. মৌজা কাকে বলে?

উত্তরঃ- কিস্তোয়ার জরিপে উপজেলা অধীন ভৌগলিক এলাকাকে পৃথক পৃথক পরিচিত আলাদা করা হয়, এ পরিচিতি নম্বর সম্পন্ন প্রত্যেকটি এলাকাকে এক একটি মৌজা বলে।


প্রশ্নঃ-৬৯. দাখিলা কাকে বলে?

উত্তরঃ- তহশিল অফিস হতে ভূমির খাজনা প্রাপ্তির যে রশিদ নির্দিষ্ট ফর্মে দেয়া হয়, তাকে দাখিলা বলে।


প্রশ্ন-৭০. তফসিল কাকে বলে?

উত্তরঃ- জমিজামা হস্তান্তরের দলিলের নিম্নভাগে লিখিত জমির তালিকাকে তফসিল বলে।


প্রশ্নঃ-৭১. নামজারি কাকে বলে?

উত্তরঃ- কোন ব্যক্তি ভূমির মালিকানা অর্জন করলে তার নামে খাজনা বা কর দেয়ার সুবিধার্থে বিধি মোতাবেক সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে নতুন মালিকের নাম রেকর্ডভূক্তকরনের আইনানুগ প্রক্রিয়াকে নামজারি বলে।


প্রশ্নঃ-৭২. ভূমি রেকর্ড কাকে বলে?

উত্তরঃ- ভূমি মালিকানার খতিয়ান নকশাকে একত্রে ভূমি রেকর্ড বলে।ভূমি সংক্রান্ত টেকনিক্যাল রুলস, এস এস ম্যানুয়েল, সার্ভে আইন, প্রজাস্বত্ব আইন ও বিধিমালা মোতাবেক ভূমি নকশা এবং ভূমি মালিকানার বিবরন লিপিবদ্ধ করা হয়।


প্রশ্নঃ-৭৩. দাগ কাকে বলে?

উত্তরা- একক স্বত্ব বা একক মালিকানাধীন এক চৌহদ্দির একই ধরনের ভূমিকে দাগ বলে।


প্রশ্নঃ-৭৪ পাট্টা কাকে বলে?


উত্তরঃ- ভূমির মালিক পক্ষ ভোগ দখলের অধিকার আদায়ের জন্য রায়ত বা প্রজাকে জমির শ্রেণী ও খাজনা উল্লেখ করে যে অধিকার পত্র দেয়া হত তাকে পাট্টা বলে।

প্রশ্নঃ-৭৫. ভিত্তি রেখা কী?

উত্তর: শিকল জরিপে সর্বাপেক্ষা বড় প্রধান জরিপ রেখাকে ভিত্তি রেখা বলা হয়।


প্রশ্নঃ-৭৬. গ্রন্থি রেখার কাজ কী?

উত্তর: গ্রন্থি রেখা- (ক) ত্রিভুজ কাঠামোর বিশুদ্ধতা যাচাই ও (খ) ত্রিভুজের ভিতরের বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্নঃ-৭৭. সুঠাম ত্রিভুজ কী?

উত্তর: যে ত্রিভুজের কোন কোনই ১২০° এর বেশি নয় এবং কোন কোনই ৩০° এর কম নয়। এরূপ ত্রিভুজই সুঠাম ত্রিভুজ। তবে সমবাহ ত্রিভুজই উত্তম সুঠাম ত্রিভুজ।


প্রশ্নঃ-৭৮. শিকল জরিপ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: যে জরিপে শিকল বা টেপ দিয়ে শুধুমাত্র রৈখিক পরিমাপ নেয়া হয় এবং এতে কোন কৌনিক পরিমাপ নেয়া হয় না, একে শিকল জরিপ বলা হয়।


প্রশ্নঃ-৭৯. কৃশ বা অসুঠাম ত্রিভুজ কী?

উত্তর: যে ত্রিভুজের কোন একটি কোন ৩০০ এর কম বা ১২০০ এর বেশি ঐ ত্রিভুজই কৃশ বা অসুঠাম ত্রিভুজ।


প্রশ্নঃ-৮০. শিকল জরিপের সুবিধাগুলো লেখ।

উত্তর: নিচে শিকল জরিপের সুবিধাগুলো দেয়া হলোঃ-

ক) সমতল ভূমি জরিপে এ জরিপ খুবই উপযোগী।

খ) দৈর্ঘ্য মাপন, ক্ষেত্রফল নিরূপন, ভূমি বণ্টন ও সীমানা নির্ধারণ খুবই সহজ।

গ) এ জরিপে সকল বাহুর মাপ সরাসরি গ্রহন করা হয়।

ঘ) জরিপে জরিপলিপি পরিমাপের সাথে সাথে তৈরি করা হয় বিধায় শুদ্ধাশুদ্ধি যাচাই ও সহজ।

ঙ) এ জরিপে জরিপলিপি হতে নকশা অংকনে হিসাবনিকাশের জটিলতা নেই।

চ) চুম্বকীয় আকর্ষণ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক প্রভাব এ জরিপে প্রভাব ফেলে না।

ছ) সহজ পদ্ধতি এবং ব্যয়ের পরিমাণ ও কম।


প্রশ্নঃ-৮১. শিকল জরিপের অসুবিধাগুলো লিখ।

উত্তর: নিচে শিকল জরিপের অসুবিধাগুলো দেয়া হলঃ-

ক) শিকল জরিপ বনজ এলাকা, ঘনবসতি এলাকা, প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা সম্পন্ন এলাকার জন্য উপযোগী নয়।

খ) টান, ঝুলন, তাপমাত্রা ইত্যাদি এ জরিপের ক্ষেত্রে বিরূপপ্রভাব ফেলে।

গ) সুবিশাল এলাকার জন্য এ জরিপ উপযোগী নয়।

ঘ) এ জরিপে সকল বাহুর দৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে হয় বিধায় সময় অধিক লাগে।



প্রশ্নঃ-৮২. শিকল জরিপে ভিত্তি রেখা নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়গুলো লেখ।

উত্তর: ভিত্তি রেখা নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়গুলো নিচে দেয়া হলো:-

ক) ভিত্তি রেখা জরিপতব্য এলাকার মাঝ বরাবর নির্বাচন করতে হবে।

খ) ভিত্তি রেখা সমতল ভূমিতে হওয়াই উত্তম।

গ) বন্ধুরতা, প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা পরিহার অবস্থায় ভিত্তি রেখা নির্বাচন করতে হবে।

ঘ) ভিত্তি রেখা সরল ও পরিদৃশ্যতা বজায় রেখে নির্বাচন করতে হবে।

ঙ) পরিবেশ অনুকূলে হলে ভিত্তি রেখা জরিপতব্য এলাকার লম্বালম্বি ও আড়াআড়ি নির্বাচন করাই শ্রেয়।


প্রশ্নঃ-৮৩. শিকল জরিপের মূলনীতিগুলো কী কী?

উত্তর: শিকল জরিপের প্রধান মূলনীতি ত্রিভুজায়ন। এ ছাড়া কার্য পরিচালনায় নিচে নীতিগুলো অনুসরণ করা হয়ঃ-

ক) জরিপকার্য আস্ত হতে অংশের দিকে করতে হয়।

খ) কাজের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ে যাচাই রেখা বা নিরীক্ষা রেখার পরিমাপ নিতে হয়।

গ) দুটি স্বতন্ত্র পরিমাণে প্রধান প্রধান রেখার পরিমাপ নিতে হয় এবং

ঘ) সরজমিনে নিখুঁতভাবে পরিমাপের রেকর্ড জরিপ লিপিতে লেখতে হয়।


প্রশ্নঃ-৮৪. ক্লিনোমিটার কী কাজে ব্যবহৃত হয়।

উত্তর: ঢাল কোণ পরিমাপে ক্রিনোমিটার ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্নঃ-৮৫. গান্টার্স শিকল ও প্রকৌশল শিকলের এক লিংকের পার্থক্য কত ইঞ্চি? [RHD/2016]

উত্তর: প্রকৌশল শিকলের 1 লিংকের দৈর্ঘ্য 1 ফুট বা12 ইঞ্চি এবং গান্টার্স শিকলের 1 লিংকের দৈর্ঘ্য 7.92 ইঞ্চি

অতএব, গান্টাস শিকল ও প্রকৌশল শিকলে 1 লিংকের প্রার্থক্য = 12 - 7.92 = 4.08 ইঞ্চি


প্রশ্নঃ-৮৬. ভূমি পরিমাপে গান্টার্স শিকল ব্যবহৃত হয় কেন?

উত্তর: এদেশে প্রচলিত ভূমির পরিমাপ একর ও শতাংশে। যেহেতু গান্টার্স শিকলে একর; শতাংশ-এ ক্ষেত্রফল নির্ণয় সহজ অর্থাৎ 10 বর্গ গান্টার্স শিকলে এক একর এবং ১০০০ বর্গ লিংক (গান্টার) এ এক শতাংশ, তাই ভূমি পরিমাপে গান্টার্স শিকল ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া প্রচলিত মাইল, ফালং পরিমাপও পুরো শিকলে করা যায় অর্থাৎ 10 গান্টার্স শিকলে । ফালং এবং ৪০ গান্টার্স শিকলে । মাইল। তাই ভূমি পরিমাপে গান্টার্স শিকল ব্যবহার করা হয়।


প্রশ্নঃ-৮৭. গান্টার্স শিকল ও প্রকৌশল শিকলের এক লিংক এর দৈর্ঘ্য কত?

উত্তর: গান্টার্স শিকলের এক লিংক এর দৈর্ঘ্য 0.66 ফুট বা7.92 ইঞ্চি এবং প্রকৌশল শিকলের এক লিংক এর দৈর্ঘ্য 1 ফুট বা 12 ইঞ্চি।


প্রশ্নঃ-৮৮. শিকল জরিপের উদ্দেশ্যগুলো কী কী?

উত্তর: নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলো সাধনের জন্য শিকল জরিপ করা হয়ঃ-

ক) কোনো এলাকার সীমানা নির্ধারনের জন্য তথ্যাদি সংগ্রহকরনের উদ্দেশ্যে।

খ) কোন এলাকার ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে

গ) কোন এলাকার নকশা তৈরিকরণের উদ্দেশ্যে

ঘ) পূর্ব জরিপে নির্ধারিত সীমানা পুনঃস্থাপনের উদ্দেশ্যে

ঙ) ভূমি বণ্টনের উদ্দেশ্যে।


প্রশ্নঃ-৮৯. শিকল জরিপে আস্ত হতে অংশের দিকে জরিপ কাজ করা হয় কেন?

উত্তর: শিকল জরিপের কাজ আস্ত হতে অংশের দিকে করতে হবে কখনও অংশ হতে আন্তের দিকে করা উচিত নয় (From Whole to parts, not from parts to whole)। স্কুলের মাত্রা কমানোর জন্য এ নীতি অনুসরণ করা হয়। যদি বৃহৎ ত্রিভুজ পরিমাপের ক্ষেত্রে সামান্য ভুলও হয়, তা ছোট ত্রিভুজে রূপান্তরের পর পরিমাপ কালে ভুলের মাত্রা শূন্যতে বা প্রায় শূন্যতে পৌছায়। এ নিয়ম অনুসরণের ফলে বড় ভুলের মাত্রা কমে যায়, ছোটগুলো নিয়ন্ত্রণ ও আঞ্চলিকীকরণ করা যায়।


প্রশ্নঃ-৯০. স্থাপতি বা প্রকৌশল শিকলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তর: প্রকৌশল বা স্থাপতি এ শিকল 100 ফুট লম্বা এবং 100 সমান ভাগে বিভক্ত। লতি ভাগের দৈর্ঘ্য 1 ফুট এবং প্রতিভাগকে এক লিংক বলা হয়। এটার দু'প্রান্তে দু'টি হাতল থাকে। এক হাতলের প্রান্ত হতে অপর হাতলের প্রান্ত পর্যন্ত দূরত্ব সমান এক শিকল। এটার হাতলের জোড়া সুইভেল জোড়া। এটার দ্বারা দৈর্ঘ্যের পরিমাপ ফুটে এবং ক্ষেত্রফল বর্গফুটে নির্ণয় করা সহজ। এফপিএস (F.P.S) পদ্ধতির প্রচলন কালে এটা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের পরিমাপে ব্যবহার করা হতো।


প্রশ্নঃ-৯১. চেইন অ্যাঙ্গেল কী?

উত্তর: রৈখিক পরিমাপ নিয়ে (শিকল ও টেপের সাহায্যে হিসাব করে প্রাপ্ত কোণকে চেইন অ্যাঙ্গেল বলা হয়।


প্রশ্নঃ-৯২. তীরের ব্যবহারগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর: নিচে তীরের ব্যবহারগুলো উল্লেখ করা হলঃ-

১। শিকল জরিপে প্রতি শিকল পর পরই তীর ব্যবহার করে শিকলের প্রাপ্ত চিহ্নিত করা হয়।

২। শক্ত মাটিতে দাগ কেটে কোন বিন্দু চিহ্নিতকরণের জন্য তীরের সুচালো প্রান্ত ব্যবহৃত হয়।

৩। পরিমাপকৃত দৈর্ঘ্যের পরিমাণ জানার জন্য অনুগামীর হাতের তীরের সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।

৪। এতদভিন্ন ক্ষেত্রবিশেষে, বিশেষ করে কন্টুর বিন্দু চিহ্নিতকরণে তীর ব্যবহৃত হতে পারে।


প্রশ্নঃ-৯৩. বিভিন্ন প্রকার শিকলের নাম ও দৈর্ঘ্য লেখ।

উত্তর: বিভিন্ন প্রকার শিকলের নাম ও দৈর্ঘ্য নিম্নরূপঃ-

ক) গান্টার্স শিকল- এটা 66 ফুট লম্বা

খ) প্রকৌশল বা স্থাপতি শিকল এটা 100 ফুট লম্বা

গ) মিটার শিকল এটা 20 ও 30 মিটার লম্বা হয়ে থাকে (তবে 25 মি. লম্বা মিটার শিকল ও ব্যবহৃত হয়)।


প্রশ্নঃ-৯৪. অফসেট কী?

উত্তর: শিকল রেখা হতে কোন বস্তুর দূরত্বকে অফসেট বলা হয়।


প্রশ্নঃ-৯৫. অপটিক্যাল স্কয়ার এর নীতি লেখ।

উত্তর: কোন আলোকরশ্মি দুটি প্রতিফলক (আয়না এর উপর পর্যায়ক্রমে প্রতিফলিত হলে এদের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিফলকদ্বয়ের অন্তর্ভূক্ত কোণের দ্বিগুনের সমান "এ আলোকীয় নীতিমালার উপর ভিত্তি করে অপটিক্যাল স্কয়ার তৈরি করা হয়।


প্রশ্নঃ-৯৬. অপটিক্যাল স্কয়ার কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: কোন নির্দিষ্ট বিন্দু হতে শিকল রেখার উপর লম্বের পাদমূল চিহ্নিতকরণে এবং শিকল রেখার কোন বিন্দুতে লম্ব স্থাপনে অপটিক্যাল স্কয়ার ব্যবহার করা হয়।


প্রশ্নঃ-৯৭. অপটিক্যাল স্কয়ার কী?

উত্তর: অপটিক্যাল স্কয়ার একটি হাতে রেখে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্র (Hand Instrument) যার সাহায্যে শিকল রেখার কোন বিন্দুতে লম্ব স্থাপন বা কোন বাইরের বিন্দু হতে শিকল রেখার উপর লম্ব পদমূল বিন্দু নির্ধারণ করা যায়। এটি সাধারণত শিকল জরিপে ব্যবহৃত হয়। এটি দেখতে অনেকটা বৃত্তাকার বক্সের মতো যার ব্যাস ও উচ্চতা যথাক্রমে ও সেমি, এবং 1.25 সেমি হয়ে থাকে। এটি দুটি আয়না ৪৫° কোণে উলম্বভাবে বসানো থাকে এবং এটিকে অনুভূমিক ধরে ব্যবহার করতে হয়।


প্রশ্নঃ-৯৮. বাম অফসেট ও ডান অফসেট বলতে কী বুঝায়? [বা: চা বোর্ড/২০২০]

উত্তর: শিকল রেখা হতে এর বামের কোন বস্তুর দূরত্বকে বাম অফসেট এবং ডানের কোন বস্তুর দূরত্বকে ডান অফসেট বলা হয়।


প্রশ্নঃ-৯৯. শর্ট অফসেট ও লং অফসেট কী?

উত্তর: সাধারণত 15 মিটারের চেয়ে কম দৈর্ঘ্যের অফসেট শর্ট (Short) অফসেট এবং 15 মিটারের চেয়ে অধিক দৈর্ঘ্যের অফসেটকে লং (Long) অফসেট বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১০০. প্রাথমিক পর্যবেক্ষন জরিপ কী?

উত্তর: সুষ্ঠু, নিখুঁতভাবে ও সহজে জরিপ কার্য সম্পাদনের নিমিত্তে জরিপকরকে জরিপতব্য এলাকা সম্পর্কে ভালভাবে অবগত হওয়ার জন্য উক্ত এলাকা পরিদর্শনই প্রাথমিক পরিদর্শন জরিপ।


প্রশ্নঃ-১০১. জরিপ লিপি কী

উত্তর: শিকল জরিপকালে সরজমিনে প্রাপ্ত মাপজোখ যে বইতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়। এ বই ই জরিপ লিপি।


প্রশ্নঃ-১০২. শিকল জরিপের ধারাবাহিক ধাপসমূহ কী কী?

উত্তর: শিকল জরিপের ধারাবাহিক ধাপগুলো হল-

১) পর্যবেক্ষণ জরিপ

২) স্টেশন বিন্দু নির্বাচন

৩) স্টেশন বিন্দু চিহ্নিতকরণ

৪) ভিত্তি রেখা নির্বাচন

৫) জরিপ রেখা মাপন

৬) নকশা তৈরির জন্য বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহকরণ

৭) জরিপলিপি লিখন

৮) পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরিকরণ

৯) নকশাতে কালি দেয়া


প্রশ্নঃ-১০৩. জরিপ লিপি কেন ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: যেহেতু শিকল জরিপ নকশা সরাসরি মাঠে অঙ্কন করা সম্ভব নয়, তাই জরিপতব্য এলাকার সরজমিনে প্রাপ্ত মাপজোখও অন্যান্য তথ্যাদি যথাযথ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে লিখে রাখার জন্য এবং প্রয়োজনে কোন তথ্য যাচাই ও নকশা তৈরির জন্য জরিপ লিপি ব্যবহার করা হয়।




প্রশ্নঃ-১০৪. শিকল জরিপে বাধাবিপত্তি বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: শিকল জরিপে জরিপ রেখা মাপনে বিঘ্নতা সৃষ্টিকারী (যেমন-নদী, ইমারত, বনভূমি) ইত্যাদি বিষয়গুলোকে শিকল জরিপে বাধাবিপত্তি বা প্রতিবন্ধকতা বলা হয়। এগুলোর জন্য শিকল রেখা স্বাভাবিক নিয়মে মাপা যায় না।


প্রশ্নঃ-১০৫. শিকল রেখা নদী দিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলে কীভাবে তা অতিক্রম করা হয়? [BIWTA/2019]


প্রশ্নঃ-১০৬.AB শিকল রেখার প্রকৃত দৈর্ঘ্য 612.0 মিটার কিন্তু একটি 20 মিটারের শিকলে পরিমাপ করে 610.20 মিটার পাওয়া গেল। শিকলটিতে কী পরিমান ভুল ছিল? [RHD/2009 & BTB/2019]

সমাধান: দেওয়া আছে

d = 612 মিটার

d´ = 610.20 মিটার

L = 20 মিটার

আমরা জানি, L´= dL/ d´

= (612×20) / 610.20

= 20.059 মিটার

শিকলটিতে ভুলের পরিমানঃ (20.059 – 20) = 0.059 মিটার।


প্রশ্নঃ-১০৭. ০.১৫ মিটার খাটো ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের শিকল দ্বারা মেপে একটি রেখার দৈর্ঘ্য পাওয়া গেল ৭২০.৩০ মিটার। রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত?

সমাধান: দেওয়া আছে

d´ = ৭২০.৩০ মিটার

L = ২০ মিটার

L´ = ২০-০.১৫ = ১৯.৮৫ মিটার

d =?

আমরা জানি, d = (L´ d´)/ L

= (১৯.৮৫×৭২০.৩০)/২০

= ৭১৪.৯০ মিটার

রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য = ৭১৪.৯০ মিটার।


প্রশ্নঃ-১০৮. ০.২০ মিটার খাটো ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের শিকল দ্বারা মেপে একটি রেখার দৈর্ঘ্য পাওয়া গেল ১২০০ মিটার। রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত?

সমাধান: দেওয়া আছে

d´ = ১২০০ মিটার

L = ২০ মিটার

L´ = ২০-০.২০ = ১৯.৮০ মিটার

d =?

আমরা জানি, d = (L´ d´)/ L

= (১৯.৮০×১২০০)/২০

= ১১৮৮ মিটার

রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য = ১১৮৮ মিটার।


প্রশ্নঃ-১০৯. এক খন্ড জমি ৩০ মিটার শিকলে মেপে ৪৫ বর্গকিলোমিটার পাওয়া গেল।পরবর্তীতে জানা গেল শিকলটি ০.১০ মিটার ছোট ছিলো। জমির প্রকৃত ক্ষেত্রফল কত?

সমাধান: দেওয়া আছে

A´ = ৪৫ বর্গকিলোমিটার

L = ৩০ মিটার

L´ = ৩০ - ০.১০ = ২৯.৯০ মিটার

A =?

প্রকৃত ক্ষেত্রফল, A = (L´/ L) × A´

= (২৯.৯০/৩০) × ৪৫

= ৪৪.৮৫ বর্গকিলোমিটার

 

প্রশ্নঃ-১১০. ৩০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিস্ট শিকল দিয়ে মেপে একটি রেখার দৈর্ঘ্য পাওয়া গেল ৫৬৬.৮০ মিটার। পরে নিরিক্ষা করে দেখাগেল শিকলটির দের্ঘ্য ৪ সেন্টিমিটার বড় ছিলো। রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত?

সমাধান: যদি শিকলটি প্রথম হতেই ৪ সেমি. বড় হয়ে থাকে,তবে-

দেওয়া আছে,

L' = ৩০+০.০৪ = ৩০.০৪ মিটার

L = ৩০ মিটার

d' = ৫৬৬.৮০ মিটার

d =?

রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য d = (L´ d´)/ L

= (৫৬৬.৮০ × ৩০.০৪) / ৩০

= ৫৬৭.৫৫৫ মিটার (উত্তর)

যদি শিকলটি পরিমাপের শেষে ৪ সেমি. বড় হয়ে থাকে,তবে-

দেওয়া আছে,

L' = (৩০+৩০.০৪)/২ = ৩০.০২ মিটার

L = ৩০ মিটার

d' = ৫৬৬.৮০ মিটার

d =?

রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য d = (L´ d´)/ L

= (৫৬৬.৮০ × ৩০.০২) / ৩০

= ৫৬৭.১৭৭ মিটার (উত্তর)


১১১. একটি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ১০ একর। গান্টার শিকল ও প্রকৌশল শিকলে একটা বাহুর দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর।

সমাধান: ১০ একর = ১০ × ৪৩৫৬০ 

নির্ণেয় বর্গক্ষেত্রের বাহুর দৈর্ঘ্য = = ৬৬০ ফুট

প্রকৌশল শিকলে বাহুর দৈর্ঘ্য = ৬৬০ ÷ ১০০ = ৬.৬০ শিকল

গান্টার শিকলে বাহুর দৈর্ঘ্য = ৬৬০ ÷ ৬৬ = ১০ শিকল

উত্তর: ১০ গান্টার শিকল ও ৬.৬০ প্রকৌশল শিকল।


১১২. প্রকৃত দৈর্ঘ্য হতে ৪ সেন্টিমিটার ছোট একটি ৩০ মিটার শিকল দিয়ে মেপে কোন ভূখণ্ডের ক্ষেত্রফল পাওয়া গেল এক হেক্টর ভূখন্ডের প্রকৃত ক্ষেত্রফল নির্ণয় কর।

সমাধান: দেওয়া আছে

A' = ১ হেক্টর = ১০০০০ বর্গমিটার

L = ৩০ মিটার

L' = ৩০ - ০.০৪ = ২৯.৯৬ মিটার

A =?


= ৯৯৭৫.৩৫১ বর্গমিটার (উত্তর)


১১৩. ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটি ফিতার দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার। ওই ফিতা দিয়ে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় AB রেখার দৈর্ঘ্য ৫১৭ মিটার পাওয়া গেল। AB রেখার প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত? (α = ০.০০০০১৮/°C)

সমাধান: সমাধান: দেওয়া আছে

L = ৫১৭ মিটার

α = .০০০০১৮/°C 

Tm = °C

To = ২০°C

আমরা জানি, Ct = α (Tm - To) × L

= ০.০০০০১৮(৮-২০) × ৫১৭

= -০.১১১৬৭২ মিটার

AB রেখার প্রকৃত দৈর্ঘ্য = ৫১৭ - ০.১১১৬৭২ = ৫১৬.৮৮৮৩৩(উত্তর)


১১৪।

১১৫।


প্রশ্নঃ-১১৬. শিকল জরিপে ভ্রান্তি কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর:- শিকল জরিপে ভ্রান্তি তিন প্রকার, যথা-

ক) পুঞ্জীভূত ভ্রান্তি

খ) ক্ষতিপূরক ভ্রান্তি ও

গ) ভুল


প্রশ্নঃ-১১৭. শিকল বা ফিতার মাপে প্রকৃত দৈর্ঘ্যের মান পাওয়ার জন্য কী কী সংশোধনী প্রয়োগ করতে হয়?(বা: চা বোঃ/২০১৮)

উত্তর:- প্রকৃত দৈর্ঘ্যের মান পাওয়ার জন্য নিচের সংশোধনীগুলো প্রয়োগ করতে হয়ঃ-

ক) পরম দৈর্ঘ্যের জন্য সংশোধনী

খ) তাপমাত্রার জন্য সংশোধনী

গ) টানের জন্য সংশোধনী

ঘ) ফুলনের জন্য সংশোধনী

ঙ) ঢালের জন্য সংশোধনী


প্রশ্নঃ-১১৮. ফিতার টানজনিত সংশোধনীর সূত্রটি নোটেশনসহ লেখ।

উত্তর:- নিম্নে ফিতার টানজনিত সংশোধনীর (CP) এর সূত্রটি দেয়া হল-

এখানে,

Cp=(AB/AC)× L

Cp-টানের জন্য সংশোধনী, মিটার

Pm-পরিমাপকালে ফিতায় প্রয়োগকৃত টানের পরিমাণ, কেজি

Po- ফিতায় আদর্শয়ানে প্রযুক্ত টান, কেজি

A- ফিতার প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল, বর্গসেন্টিমিটার

E - স্থিতিস্থাপক গুনাঙ্ক, কেজি/বর্গসেন্টিমিটার

L- পরিমাপকৃত দৈর্ঘ্য, মিটার


প্রশ্নঃ-১১৯. শিকল অতিরিক্ত খাটো হওয়ার কারণ কী?

উত্তর: নিচের কারণে শিকল অতিরিক্ত খাটো হয়ঃ-

ক) শিকলের লিংকগুলো বেঁকে গেলে,

খ) শিকলের রিং বা বালাগুলোতে কাদা আটকে শক্ত হয়ে গেলে,

গ) শিকলের কোন রিং বা লিংক মোচড় খেয়ে থাকলে।


প্রশ্নঃ-১২০. শিকল অতিরিক্ত লম্বা বা খাটো হলে কী করতে হয়?

উত্তর: শিকল অতিরিক্ত লম্বা হলে-

ক) বালা বা রিং (Ring) এর ফাঁক বন্ধ করে

খ) উপবৃত্তাকৃতির রিং কে বৃত্তাকার করে

গ) ক্ষয়প্রাপ্ত রিং এর বদলে নতুন রিং সংযোগ করে

ঘ) হাতলের সমন্বয়যোগ্য লিংক খাটো করে এবং

ঙ) এরপর ও দরকার হলে দু-একটি রিং খুলে শিকলকে প্রমাণ বা আর্দশ দৈর্ঘ্যে আনয়ন করা যেতে পারে।


শিকল অতিরিক্ত খাটো হয়ে গেলে-

ক) বাকাঁ লিংক সোজা করে

খ) লিংকের মোচড় খুলে দিয়ে

গ) বৃত্তাকার রিং কে উপবৃত্তাকার করে

ঘ) ছোট রিং এর বদলে বড় রিং লাগিয়ে

ঙ) হাতলের সমন্বয়যোগ্য লিংক বাড়িয়ে


প্রশ্নঃ-১২৩. শিকল জরিপে ভুলের একটি তালিকা তৈরি কর।

উত্তর: জরিপকরদের অমনযোগীতা, অনভিজ্ঞতা, সন্দেহ প্রবণতা, অপটুত্ব ও বিচার বিবেচনার অভাবে ভুলগুলো হয়ে থাকে। নিচে এগুলোর একটি তালিকা দেয়া হলোঃ-

১। তীর হারিয়ে ফেলা বা গণনায় ভুল করা

২। তীরের স্থানচ্যুতি হলে বা সঠিকভাবে না বসালে

৩। অসতর্কতার সহিত কাজ করা

৪। ভুল পাঠ নেয়া

৫। চিহ্নিত বিন্দুতে সঠিকভাবে হাতল না ধরা

৬। জরিপ লিপিতে ভুল লেখা, ভুল শুনা। যেমন ৩৬৯ এর স্থলে ৩৯৬ লেখা বা শুনা ইত্যাদি।


প্রশ্নঃ-১২৪. আলামত কী?

উত্তর:- জরিপ নকশায় বিভিন্ন বস্তুকে বুঝানোর জন্য বিভিন্ন প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এসব প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এসব প্রতীক বা চিহ্নগুলো সর্বজনস্বীকৃত। এগুলোকে রীতিসম্মত বা প্রচলিত আলামত বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১২৫. প্রতিনিধিত্বকারী ভগ্নাংশ কী?

উত্তর:- প্রতিনিধিত্বকারী ভগ্নাংশ,



প্রশ্নঃ-১২৬. কী কী নিয়মে ভিত্তি রেখার সাথে অফসেটের মাধ্যমে ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা যায়?

উত্তরঃ- নিম্ন লিখিত নিয়ম অনুসরণ করে ভিত্তি রেখার সাথে অফসেটের মাধ্যমে ক্ষেত্রফল নিরূপণ করা হয়।

ক) মধ্য কোটি নিয়ম

খ) গড় কোটি নিয়ম

গ) ট্রাপিজয়ডাল নিয়ম

ঘ) সিম্পসনের এক তৃতীয়াংশ


প্রশ্নঃ-১২৭. পেন্টাগ্রাফ কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: নকশার সংকোচন, পরিবর্ধন ও অবিকল নকশা তৈরির কাজে পেন্টাগ্রাফ ব্যবহার করা হয়।


প্রশ্নঃ-১২৮. প্লেনিমিটার কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তর:- প্লেনিমিটার নকশায় অঙ্কিত যে কোন ধরনের ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করণে ব্যবহৃত হয়। আধুনিক ডিজিটাল প্লেনিমিটারে সরাসরি ক্ষেত্রফল প্রদর্শিত হয় এবং কোন কোনটি হতে মুদ্রিত অবস্থায় ও ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়। তা ছাড়া কোন কোনটির সাহায্যে রেখার দৈর্ঘ্য, বৃত্তের ব্যাস, সীমানা রেখার দৈর্ঘ্য ও মাপা যায়।


১২৯, ১৩০, ১৩১, ১৩২, ১৩৩, ১৩৪, ১৩৫, ১৩৬,১৩৭


প্রশ্নঃ-১৩৮. প্লেন টেবিল জরিপে দিক স্থাপন বা গোড়াপত্তন কী?

উত্তর:- প্রারম্ভিক স্টেশনে টেবিল স্থাপন, লেভেল করা, আয়তাকার কম্পাসের সাহায্যে উত্তর দিক আকাঁ, সামনের ও পিছনের স্টেশন ছেদ করে রশ্মি টানা ইত্যাদি করার নামই প্লেন টেবিলের দিক স্থাপন বা গোড়াপত্তন।


প্রশ্নঃ-১৩৯. প্লেন টেবিল জরিপে জরিপলিপি করা হয় না কেন?

উত্তর:- প্লেন টেবিল জরিপ একটি লৈখিক জরিপ এবং এর নকশা তৈরির কাজ মাঠেই শেষ করতে হয় বিধায় এ জরিপে জরিপ লিপি করা হয় না এবং করার দরকার হয় না।


প্রশ্নঃ-১৪০. পুনঃ গোড়াপত্তন কাকে বলে?

উত্তর: প্লেন টেবিলকে প্রথম স্টেশনের অবস্থানের সহিত সমান্তরাল করে দিক স্থাপনকে এর পুনঃদিক স্থাপন বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৪১. প্লেন টেবিল জরিপের পদ্ধতিগুলো কী কী?

উত্তর:- প্লেন টেবিল জরিপ পদ্ধতিগুলো হলো:- (ক) বিকিরণ (খ) ছেদন (গ) ট্রাভার্সিং ও (ঘ) পুনচ্ছেদন পদ্ধতিতে করা যায়।


প্রশ্নঃ-১৪২. এলিডেড এর কাজ কী?

উত্তর: এলিডেট তার দৃষ্টিপাত, বস্তুপাত ও টার্গেট স্টেশন বিন্দুর সংযোজিত সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিরেখা নির্ধারণ করে এবং দৃষ্টিরেখার সমান্তরালে স্টেশন বিন্দুতে রশ্মি (রেখা) টানতে সুযোগ দেয়।


প্রশ্নঃ-১৪৩. প্লেন টেবিল জরিপের উদ্দেশ্যাবলী লেখ।

উত্তর:- সাধারণত নিম্নের উদ্দেশ্যাবলি সাধনে প্লেনটেবিল জরিপ করা হয়ঃ-

১। মাঠের কাজ ও নকশায়নের কাজ সমন্বয়ে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে।

২। থিওডোলাইট স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকার বিস্তারিত তথ্যাদি সন্নিবেশের উদ্দেশ্যে।

৩। কৌণিক পরিমাপ ও দৈর্ঘীয় পরিমাপ (বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া) না দিয়ে জরিপ করার উদ্দেশ্যে।

৪। দ্রুত নকশায়ন ও মাঠে কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে।

৫। কম খরচে, কম সময়ে এবং একই সঙ্গে জরিপকরণ ও নকশা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে।


প্রশ্নঃ-১৪৪. প্লেন টেবিল জরিপ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর:- প্লেন টেবিল জরিপ সমান্তরাল সমানুপাতিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত একটি লৈখিক (graphical) জরিপ পদ্ধতি।

সচরাচর ঘের জরিপে এ পদ্ধতি অধিক ব্যবহৃত হয়। এ জরিপে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মধ্যে প্লেন টেবিলই প্রধান ভূমিকা পালন করে তাই একে প্লেন টেবিল জরিপ বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৪৫. দু' বিন্দু সমস্যা কী?

উত্তর। 'দু' বিন্দু সমস্যা একটি প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় ভূমিতে দুটি সুনির্দিষ্ট বিন্দু, যাদের অবস্থান পূর্বেই নকশায়। চিহ্নিত আছে, এরূপ দুটি বিন্দু হতে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে ভূমিতে স্থাপিত টেবিলের অবস্থান নকশায় চিহ্নিত করা যায়।


প্রশ্নঃ-১৪৬. ত্রিবিন্দু সমস্যা কী?

উত্তর: ত্রিবিন্দু সমস্যা একটি প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় ভূমিতে তিনটি সুনির্দিষ্ট বিন্দু, যাদের অবস্থান পূর্বেই নকশায় চিহ্নিত আছে- এরূপ তিনটি বিন্দু হতে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে ভূমিতে স্থাপিত টেবিলের অবস্থান নকশায় চিহ্নিত কর যায়।


প্রশ্নঃ-১৪৭. দু' বিন্দু সমস্যা কখন ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: যখন ভূমিতে দুটি সুনির্দিষ্ট বিন্দু যেগুলোর অবস্থান পূর্বেই নকশায় চিস্থিত আছে এরূপ দুটি বিন্দু হয়ে। পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে ভূমিতে স্থাপিত টেবিলের বা কোন বিন্দুর অবস্থান নকশায় চিহ্নিতকরনের দরকার হয় তখন। বিন্দু সমস্যা প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্নঃ-১৪৮. প্লেন টেবিল জরিপের সুবিধাগুলো লেখ

উত্তর: নিচে প্লেন টেবিল জরিপের সুবিধাগুলো দেয়া হলঃ-

(ক) যেহেতু প্লেন টেবিল জরিপের নকশা সরজমিনেই করা হয়, তাই এতে কোন তথ্য বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।

(খ) জরিপের মাঠে সরাসরি নকশায় অঙ্কিত তথ্যাদি যাচাই করে নিতে হয়।

(গ) যেহেতু জরিপতব্য এলাকা জরিপকরের দৃষ্টির সামনেই থাকে, তাই সহজেই বস্তুর সঠিক অবস্থান নকশায় সন্নিবেশ করা যায়।

(ঘ) এতে জরিপলিপি লেখার দরকার পড়ে না, তাই ভ্রান্তির পরিমান হ্রাস পায়।


প্রশ্নঃ-১৪৯. প্লেন টেবিল জরিপের অসুবিধাগুলো লেখ।

উত্তর: নিচে প্লেন টেবিল জরিপের অসুবিধাগুলো দেয়া হল:-

(ক) বর্ষার সময়, কুয়াশায়, বৃষ্টিপাত ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এ জরিপ করা যায় না।

(খ) এ জরিপে নিখুঁত ফলাফল পাওয়া যায় না।

(গ) প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ এলাকায় জরিপ করা কষ্টকর।

(ঘ) এতে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও বহনে ঝামেলায় পড়তে হয়।

(ঙ) অনেকগুলো ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয় বিধায়, এগুলো হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

(চ) যেহেতু পরিমাপের কোন জরিপ বই থাকে না, ফলে পুনরায় নকশা প্রনয়ন, নকশার সংকোচন বা পরিবর্ধন করা

কষ্টসাধ্য।

(ছ) সীমিত আকারে ড্রয়িং শিট ব্যবহার করে জরিপ করতে হয় বিধায় নতুন শিট সংযোগ করা ঝামেলাপূর্ণ।


প্রশ্নঃ-১৫০. তিন বিন্দু সমস্যা প্রক্রিয়া কখন ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: যখন ভূমিতে তিনটি সুনির্দিষ্ট বিন্দু, যেগুলোর অবস্থান পূর্বেই নকশায় চিহ্নিত আছে, এরূপ তিনটি বিন্দু হতে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমের ভূমিতে স্থাপিত টেবিলের বা কোন বিন্দুর অবস্থান নকশায় চিহ্নিতকরনের দরকার হয়, তখন ত্রিবিন্দু সমস্যা প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্নঃ-১৫১. কম্পাস জরিপ কাকে বলে?

উত্তর: যে জরিপে প্রধান যন্ত্র হিসেবে কম্পাস ব্যবহৃত হয়, তাকে কম্পাস জরিপ বলে। কম্পাস একটি কৌণিক যন্ত্র বিধায় এ জরিপ কৌণিক জরিপের আওতাভুক্ত।


প্রশ্নঃ-১৫২. মধ্যরেখা কী?

উত্তর:- দর্শক বিন্দুগামী পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী রেখাই মধ্যরেখা। দর্শক বিন্দুগামী পৃথিবীর চুম্বকীয় উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর সংযোগকারী রেখাকে চুম্বকীয় মধ্যরেখা এবং ভৌগোলিক উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর সংযোগকারী রেখাকে ভৌগোলিক বা প্রকৃত মধ্যরেখা বলে।


প্রশ্নঃ-১৫৩. গ্রিড মেরিডিয়ান (Grid Meridian) বলতে কী বুঝায়?

উত্তর:- কোন কোন ক্ষেত্রে রাজ্য বা প্রদেশ জরিপকালে রাজ্য বা প্রদেশের কেন্দ্রীয় অংশে নির্দিষ্ট বিন্দুগামী প্রকৃত মধ্যরেখাকে ঐ রাজ্য বা প্রদেশের সকল অংশের জন্য স্মারক মধ্যরেখা হিসেবে ধরা হয়। এ স্মারক মধ্যরেখাকে প্রধান মধ্যরেখা ধরে এর সমান্তরালে পূর্ব ও পশ্চিমে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর গাইড মধ্যরেখা নির্বাচন করা হয়। এসব মধ্যরেখাগুলোকে গ্রিড মেরিডিয়ান (Grid Meridian) বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৫৪. চুম্বকীয় অনৈক্য কী?

উত্তর: প্রকৃত মধ্যরেখা এবং চুম্বকীয় মধ্যরেখার মধ্যবর্তী অনুভূমিক কোণকে চুম্বকীয় অনৈক্য বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৫৬. চুম্বকীয় বিয়ারিং কাকে বলে?

উত্তর: কোন রেখা চুম্বকীয় উত্তর রেখা হতে ডানাবর্তে যে অনুভূমিক কোণ উৎপন্ন করে, তাকে চুম্বকীয় বিয়ারিং বলে।


প্রশ্নঃ-১৫৭. গ্রিড বিয়ারিং কাকে বলে?

উত্তর: কোন রেখা গ্রিড মধ্যরেখা হতে ডানাবর্তে যে অনুভূমিক কোণ উৎপন্ন করে, তাকে গ্রিড বিয়ারিং বলা হয়। তবে এতে গ্রিড সংশোধনীর দরকার হয়।


প্রশ্নঃ-১৫৮. চুম্বক শলাকার নতি (Deep of needle) কী?

উত্তর: বিষুবরেখায় চুম্বক শলাকা অনুভূমিক তলে থাকে। বিষুবরেখা হতে উত্তরে অর্থাৎ উত্তর মেরুর দিকে বা দক্ষিনে অর্থাৎ দক্ষিন মেরুর দিকে অগ্রসর হলে যথাক্রমে চুম্বক শলাকার উত্তর ও দক্ষিন প্রান্ত নিচের দিকে নিমজ্জিত হতে থাকে। মেরু বিন্দুতে এ নিমজ্জনের পরিমাণ ৯০০। কোন চুম্বক শলাকার সাথে অনুভূমিক অক্ষের এ উলম্ব কোণকে ঐ স্থানে চুম্বক শলাকার নতি বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৫৯. চুম্বকীয় অনৈক্য পার্থক্য বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: কোন স্থানে সকল সময় চুম্বক শলাকা একই দিক নির্দেশ করে না। তাই কোন স্থানে চুম্বকীয় অনৈক্যের পরিমান ও সবসময় একই রকম থাকে না। এ চুম্বকীয় অনৈক্যের পরিবর্তনের পরিমাণকেই চুম্বকীয় অনৈক্যের পার্থক্য বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৬৯. চুম্বক বিয়ারিং বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: কোন রেখার প্রারম্ভ বিন্দু হতে প্রান্তীয় বিন্দুর দিকে তাকিয়ে যে বিয়ারিং পাওয়া যায়, তা সম্মুখ বিয়ারিং।


প্রশ্নঃ-১৬১. পশ্চাৎ বিয়ারিং কী?

উত্তর: কোন রেখার প্রান্তীয় বিন্দু হতে প্রারম্ভ বিন্দুর দিকে তাকিয়ে যে বিয়ারিং পাওয়া যায়, তা পশ্চাৎ বিয়ারিং।


প্রশ্নঃ-১৬২. পূর্ণবৃত্ত বিয়ারিং কী?

উত্তর: উত্তর রেখা হতে ডানাবর্তে কোন রেখা পর্যন্ত অনুভূমিক কৌণিক মানই পূর্ণবৃত্ত বিয়ারিং এবং এগুলোর মান ০° হতে ৩৬০° পর্যন্ত হতে পারে। প্রিজমেটিক কম্পাসের সাহায্যে সরজমিনে গৃহীত সকল বিয়ারিংই পূর্ণবৃত্ত বিয়ারিং।


প্রশ্নঃ-১৬৩. বিয়ারিং এর নামকরণ কী কী ভাবে করা হয়?

উত্তর: বিয়ারিং এর নামকরণ প্রধানত নিম্নোক্তভাবে করা হয়ে থাকেঃ-

ক) বিয়ারিং পাঠ গ্রহনের দিক অনুযায়ী-

১) সম্মুখ বিয়ারিং ও ২) পশ্চাৎ বিয়ারিং


খ) স্মারক মধ্যরেখা অনুযায়ী-

১) চুম্বকীয় বিয়ারিং ২) প্রকৃত বিয়ারিং বা ভৌগোলিক বিয়ারিং ৩) ধার্যকৃত বিয়ারিং ৪) গ্রিড বিয়ারিং।

 

১৬৪,১৬৫,১৬৭,১৬৮,১৬৯,১৭০,১৭১,১৭২,১৭৩,


প্রশ্নঃ-১৭৪. কাটান কী?

উত্তর: মোরব্বা রেখাবা শিকল রেখা যে স্থানে জমির আইলকে ছেদ করে তাকে কাটান বলে।


প্রশ্নঃ-১৭৫. মোরব্বা কী?

উত্তর: কিস্তোয়ার জরিপের সুবিধার্থে একটি মৌজাকে কতকগুলো চতুর্ভুজ সাদৃশ্য এলাকায় ভাগ করে নেয়া হয়। এ চতুর্ভুজ সাদৃশ্য প্রত্যেকটি এলাকাই এক একটি মোরব্বা।


প্রশ্নঃ-১৭৬. মাঠ খাকা কী?

উত্তর: মাঠে ব্যবহারের জন্য P-70 Sheet এর যে অনুলিপি তৈরি করা হয় তা মাঠ খাকা নামে পরিচিত।


প্রশ্নঃ-১৭৭. পর্চা কী?

উত্তর: খতিয়ানের যে অনুলিপি ভূমির মালিককে দেয়া হয় তাই পর্চা। কোন জরিপ যখন সম্পন্ন হয় তখন চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হওয়া পর মালিকানার বিবরণ সম্বলিত বিবরণী হল খতিয়ান। কিন্তু জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ে জমির মালিককে যে খসড়া মালিকানার বিবরণী দেয়া হয় তাকে পর্চা বলে।


প্রশ্নঃ-১৭৮. কিস্তোয়ার জরিপে ব্যবহৃত স্কেলসমূহ কী কী?

উত্তর: কিস্তোয়ার জরিপে ব্যবহৃত স্কেলসমূহ হলঃ-

ক) সাধারণ ক্ষেত্রে 16"=1 মাইল বা 25 সেমি = 1 কিমি.

খ) ঘনবসতির ক্ষেত্রে 32"-1 মাইল বা 50 সেমি 1 কিমি.

গ) শহর এর ক্ষেত্রে 64"=1 মাইল বা 100 সেমি = 1 কিমি,


প্রশ্নঃ-১৮৯. চান্দা কী?

উত্তর: কিস্তোয়ার জরিপে ঘের জরিপের স্টেশন ও ত্রি-সীমানা বিন্দুগুলোকে ও মোরব্বা স্টেশন হিসেবে ধরা হয়। এসব স্টেশন বাদে জরিপের সুবিধার্থে আরো কিছু অস্থায়ী স্টেশন ও নেয়া হয় এবং এগুলোকে ৩০ সেমি ব্যাসের বৃত্ত কেটে ভূমিতে চিহ্নিত করা হয়, এগুলো চান্দা বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৯০. জেএল নম্বর কী?

উত্তর: উপজেলা/থানা এর অধীন মৌজাগুলিকে পর্যায়ক্রমে ক্রমিক নম্বরে চিহ্নিত করা হয়। পরিচিতিমূলক মৌজার এ নম্বরকে জেএল নম্বর বা জুরিডিকশন লিস্ট নম্বর বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৯১. খতিয়ান কী?

উত্তর: মৌজায় এক বা একাধিক মালিকের জমির বিবরণ যে নির্ধারিত ফরমে পৃথক পরিচিতি নাম্বার দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এ ফরমকে খতিয়ান বলে। মূলত জমির মালিকানা স্বত্ব রক্ষা ও রাজস্ব আদায়ের জন্য জরিপ বিভাগ কর্তৃক প্রতিটি মৌজার জমির এক বা একাধিক মালিকের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, ঠিকানা, দাগ নম্বর, ভূমির পরিমাণ, হিস্যা (অংশ), খাজনা ইত্যাদি বিবরণসহ যে ভূমি স্বত্ব প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে।


প্রশ্নঃ-১৯২. মৌজা বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: কিস্তোয়ার জরিপে উপজেলার (খানা) অধীন ভৌগোলিক এলাকাকে পৃথক পৃথক পরিচিতি নম্বর দিয়ে স্বতন্ত্রভাবে আলাদা করা হয়। এর পরিচিতি নম্বর সম্পন্ন প্রত্যেকটি এলাকাকে এক একটি মৌজা বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৯৩. দাখিলা কী?

উত্তর:- তহশিল অফিস হতে ভূমির খাজনা প্রাপ্তির যে রশিদ নির্দিষ্ট ফর্মে দেয়া হয় তাকে দাখিলা বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৯৪. পাট্টা কী?

উত্তর:- ভূমির মালিক পক্ষ (জমিদার বা সরকার) ভোগদখলের অধিকার প্রদানের জন্য রায়ত বা প্রজাকে জমির পরিমাণ ও খাজনা উল্লেখ করে যে অধিকার পত্র দিতেন তাকে পাট্টা বলে।


প্রশ্নঃ-১৯৫. খানাপুরি কী?

উত্তর: খতিয়ান ফর্মের নির্ধারিত খানা বা ঘর পূরন করে বিধি মোতাবেক জরিপ কর্মচারী (আমিন) যে প্রাথমিক রেকর্ড তৈরি করে তাকে খানাপুরি বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৯৬. থোকা লাইন কী?

উত্তর: মৌজা নকশায় কোন মৌজার ত্রিসীমানা পিলারের নিকট এক শিকল হতে পাঁচ শিকল লম্বা সে রেখা অংকন করে অন্য মৌজার সীমানা দেখানো হয়, তাকে থোকা লাইন বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৯৭. ছুট দাগ কী? 

উত্তর: খানাপুরিকালে ভুলক্রমে কোন দাগের খানাপুরি না হলে এতে দাগ নম্বর পড়ে না, এ দাগকে ছুট দাগ বলা হয়।


প্রশ্নঃ-১৯৮. বাটা দাগ কী? 

উত্তর: কোন দাগকে বিভক্ত করে আলাদা ভাবে নতুন দাগ সৃষ্টি হলে সৃষ্ট দাগকে বাটা দাগ বলা হয়।


প্রশ্নঃ-২০০. জমা খারিজ কাকে বলে?

উত্তর: যৌথ খতিয়ান হতে কোন মালিকের হিস্যা (অংশ) পৃথক করে আলাদাভাবে পৃথক খতিয়ানভুক্ত করাকে জমা

খারিজ বলা হয়।


প্রশ্নঃ-২০১. নামজারি কাকে বলে?

উত্তর: কোন ব্যক্তি ভূমির মালিকানা অর্জন করলে (তসদিকের পর) তার নামে খাজনা বা কর দেয়ার সুবিধার্থে বিধি মোতাবেক সরকারী রেকর্ড সংশোধন করে নতুন মালিকের নাম রেকর্ডভুক্ত করনের আইনানুগ প্রক্রিয়াকে নামজারি বলে।


প্রশ্নঃ-২০২. কিস্তোয়ার জরিপের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর:- কিস্তোয়ার জরিপের উদ্দেশ্য নিচে দেয়া হলঃ-

ক) জমির মালিকানা ও স্বত্ব নিরূপন।

খ) জমির খাজনা বা কর নির্ধারণ;

গ) জমির শ্রেণিভেদ নির্ধারণ;

ঘ) জমি বিক্রয় ও হস্তান্তরের সুযোগ দান;

ঙ) ব্যক্তিগত সরকারি ও অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কে জানা।


প্রশ্নঃ-২০৩. বুঝারত কী?

উত্তর: পি-৭০ শিটে তৈরিকৃত নকশার ভিত্তিতে প্রাথমিক রেকর্ড তৈরি করার পর রেকর্ড কপি করে পর্চা (খতিয়ানের অনুলিপি) ভূমি স্বত্বাধিকারীদের নিকট বিলি করা হয় এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বা নোটিশ দিয়ে জরিপ কর্মচারী সরেজমিনে গিয়ে ভূমি মালিকদেরকে রেকর্ড ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়। ভূমি মালিকদেরকে সরজমিনে রেকর্ড ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়ার এ প্রক্রিয়াকে বুঝারত বলা হয়।


প্রশ্নঃ-২০৪. তসদিক বা অ্যাটেস্টেশন বলতে কী বুঝায়?

উত্তর:- প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৮ বিধি মোতাবেক বুঝারতকালে তৈরিকৃত রেকর্ড রাজস্ব অফিসারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন অফিসার কানুনগো কর্তৃক বিলিকৃত পর্যায় প্রজা বা তহশিলদারের কোন আপত্তি না থাকলে খতিয়ানের সকল তথ্যাদি যাচাই করে রাজস্ব রেকর্ডে (খতিয়ানে) সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে সত্যায়িত করেন তাকে তসদিক বা অ্যাটেস্টেশন বলা হয়। অ্যাটেস্টেশনের পরই রেকর্ডের আইনগত ভিত্তি রচিত হয়।


প্রশ্নঃ-২০৫. সিকমি লাইন/ রেখা কী সংক্ষেপে বুঝিয়ে লিখ।

উত্তর: সিকমি বা সিকমি লাইন: কিস্তোয়ার জরিপে প্রতিটি মোরব্বার জমির প্লটগুলোকে নিখুঁতভাবে নকশায় উঠানোর জন্য মোরব্বাস্থ বেশিরভাগ প্লটগুলোর লম্বালম্বি আইলের মোটামুটি সমান্তরাল করে দু শিকল অন্তর অন্তর যে সব রেখা টানা হয়, এগুলোকে সিকমি বা সিকমি রেখা বলা হয়। অপটিক্যাল স্কয়ারের সাহায্যে সিকমি রেখার সাথে অফসেট নিয়ে জমির প্লটগুলো নকশায় উঠান হয়। তবে মূল নকশায় সিকমি রেখা থাকে না এবং এগুলোতে কালিও দেয়া হয় না।


প্রশ্নঃ-২০৬. কম্পাস জরিপের ধাপগুলো লেখ।

উত্তর: নিম্নে কম্পাস জরিপের ধাপগুলো দেয়া হল-

ক) পর্যবেক্ষণ বা তদন্ত জরিপ

খ) স্টেশন বিন্দু নির্বাচন

গ) ঘের ও উপঘের দেয়া, বাহু পরিমাপ নেয়া ও জরিপ লিপি লিখন

ঘ) জরিপ নকশা অঙ্কন ও

ঙ) নকশায় কালি দেয়া।


প্রশ্নঃ-২০৭. ভূমি রেকর্ড বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: ভূমি (আবাদি, অনাবাদি জমি, বাড়িঘর; বাগান, জঙ্গল, বনভূমি, জলমগ্ন এলাকা ইত্যাদি) সংক্রান্ত টেকনিক্যাল রুলস, এস, এস ম্যানুয়েল, সার্ভে আইন, প্রজাস্বত্ব আইন ও বিধিমালা মোতাবেক ভূমি নকশা এবং ভূমি মালিকানার বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়। ভূমি মালিকানার খতিয়ান (Records of Rights) এবং নকশাকে একত্রে ভূমি রেকর্ড বলা হয়।


প্রশ্নঃ-২০৮. স্থানীয় আকর্ষণ বলতে কী বুঝায়? অথবা কম্পাস জরিপে স্থানীয় আকর্ষণ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: কম্পাসের আকর্ষণ এলাকায় চুম্বক আকর্ষিত সামগ্রী থাকলে কম্পাসের চুম্বক শলাকা চুম্বকীয় উত্তর রেখা নির্দেশ না করে কিছুটা বিক্ষেপিত হয়। এ বিক্ষেপনকে স্থানীয় আকর্ষন (Local attraction) বলা হয়।


প্রশ্নঃ-২০৯. মিলন ভ্রান্তি বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: বন্ধ ট্রাভার্সের নকশা অঙ্কন কালে যে দূরত্বের জন্য ঘেরটি প্রারম্ভ বিন্দুতে মিলিত হতে পারে না। সে পরিমাণ দুরুত্বকে মিলন ভ্রান্তি বলা হয়। মিলন ভ্রান্তির গ্রহনযোগ্য সীমা জরিপের ধরনে ও প্লট করনের পদ্ধতি অনুযায়ী।

1:3000 হতে 1: 600 হতে পারে।


প্রশ্নঃ-২১০. ঘের বা ট্রাভার্স বলতে কী বুঝায়?

উত্তর:- নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যমান ও অবস্থানের দিক বিশিষ্ট ধারাবাহিক বাহু বা সরল রেখায় গঠিত কাঠামোকে ঘের বা ট্রাভার্স বলা হয়। জরিপকর জরিপতব্য এলাকা ডানে রেখে পরিমাপ নিলে তাকে ডানাবর্তে ঘের এবং জরিপতব্য এলাকা বামে রেখে পরিমাপ নিলে তাকে বামাবর্তের ঘের বলা হয়।


প্রশ্নঃ-২১১. ট্রাফ কম্পাসের ব্যবহার লেখ।

উত্তর: - ট্রাফ কম্পাসের ব্যবহার: -

১। থিওডোলাইটের নিম্ন প্লেটে উত্তর রেখা জানার জন্য

২। প্লেনটেবিল জরিপে টেবিল স্থাপন ও পুনঃস্থাপনের জন্য,

৩। উত্তর দিক জানার জন্য


প্রশ্নঃ-২১২. প্রিজমেটিক কম্পাস বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: একটা তিন পার্শ্ববিশিষ্ট কাচ বা প্রিজমের ভিতর দিয়েও কম্পাসের পাঠ নেয়া হয় বিধায় একে প্রিজমেটির কম্পাস বলা হয়। যন্ত্রটি হাতে নিয়ে বা তেপায়ার উপর রেখে ও কাজ করা যায়।


প্রশ্নঃ-২১৩. ABC সমবাহু ত্রিভুজের AB বাহু উত্তর রেখায় অবস্থিত। ঘেরটি ডানাবর্তে হলে BC ও CA বাহুর বিয়ারিং নির্ণর কর।

সমাধান:- ত্রিভুজটির প্রত্যেকটি র প্রত্যেকটি অন্তঃস্থ কোণ = 180°/3 = 60°

ডানাবর্তের ঘের

AB রেখার বিয়ারিং = 0°

BCরেখার বিয়ারিং = (P-a+180°) = (0°-60°+180°) = 120° 

CAরেখার বিয়ারিং = (P-a+180°) = (120°-60°+180°) =240°

ABরেখার বিয়ারিং = (P-a-180°) = (240°-60°-180°) = 0° (নিরীক্ষিত)