সময়ঃ- ৬০ মিনিট; পূর্ণমানঃ- ৬০
১। ২৫ মিটার শিকল দিয়ে মেপে কোন জমির ক্ষেত্রফল পাওয়া গেল ১০ একর পরে জানা গেল শিকলটি ১৫ সেন্টিমিটার বড় ছিল। জমির প্রকৃত ক্ষেত্রফল কত?
সমাধানঃ দেওয়া আছে,
L = 25 মিটার
L'= 25+(15/100) = 25.15 মিটার
A'= 10 একর
A =?
আমরা জানি,
A×L2 = A'×L'2
বা, A = 10.12036 একর।
উত্তরঃ 10.12036 একর।
২। প্রকৃত দৈর্ঘ্যর মাপ পাওয়ার জন্য কি কি সংশোধনী প্রয়োগ করতে হয়। ঝুলনজনিত সংশোধনীর সুত্রটি লিখুন।
উত্তরঃ প্রকৃত দৈর্ঘ্যর মাপ পাওয়ার জন্য যেসব সংশোধনী প্রয়োগ করতে হয়ঃ
i. পরম দৈর্ঘ্যজনিত সংশোধনী,
ii. তাপমাত্রা জনিত সংশোধনী,
iii. টান জনিত সংশোধনী,
iv. ঝুলন জনিত সংশোধনী,
V. ঢাল জনিত সংশোধনী,
vi. সমুদ্র পৃষ্ঠের লঘুকরণ,
vii. সমুদ্র পৃষ্ঠের লঘুকরণ।
৩। সংজ্ঞা/যন্ত্র সমূহের পরিচয় লিখুন
ক) থিওডোলাইটঃ থিওডোলাইট একটি কোণ পরিমাপক যন্ত্র। যার সাহায্যে অনুভূমিক ও উলম্ব দুই ধরনের কোণ মাপা হয়। থিওডোলাইট দুই প্রকার।
খ) ডিস্টোমেটঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে দুটি স্থানে সরল দূরত্ব সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায় তাকে "ডিস্টোমেন্ট" বলে।
গ) ক্লিনোমিটারঃ সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় পাহড়-পর্বতের উচ্চতা পরিমাপের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাকে ক্লিনোমিটার বলে।
ঘ) সিকমি লাইনঃ কিস্তোয়ার জরিপে প্রতিটি মোরব্বায় জমির প্লট গুলোকে নিখুঁতভাবে নকশায় উঠানোর জন্য বেশির ভাগ প্লটের লম্বালম্বি আইলের মোটামুটি সমান্তরাল দুই শিকল অন্তর অন্তর যে রেখা টানা হয় তাকে সিকমি লাইন বলে।
ঙ) পেন্টাগ্রাফঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে নকশা আনুপাতিক হারে হ্রাস বা বৃদ্ধি করা হয় তাকে পেন্টাগ্রাফ বলে।
৪। ট্রাভার্স কত প্রকার?কি কি পদ্ধতিতে জরিপ নকশা আঁকা যায় সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তরঃ ট্রাভার্স ২ প্রকার, যথাঃ- ১. বদ্ধ ট্রাভার্স, ২. খোলা ট্রাভার্স।
জরিপ নকশা অংকন পদ্ধতি হলোঃ-
১. সমান্তরাল মধ্যরেখা পদ্ধতি,
২. অন্তঃস্থকোন পদ্ধতি,
৩. আয়তকার স্থানাংক পদ্ধতি,
৪. ট্যানজেন্ট পদ্ধতি,
৫. কাগজে চাঁদা পদ্ধতি।
৫। প্লেইনটেবিল জরিপের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো লিখুন।
উত্তরঃ প্লেইনটেবিল জরিপের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো নিচে দেয়া হলঃ
প্লেন টেবিল জরিপের সুবিধাঃ
১. প্লেন টেবিল জরিপের নকশা সরেজমিনই করা যায়, তাই কোন তথ্য বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
২. জরিপের মাঠে সরাসরি নকশায় অঙ্কিত তথ্যাদী যাচাই করতে পারে।
৩. জরিপতব্য এলাকা সেহেতু জরিপকারীর দৃষ্টির সামনেই থাকে, তাই সহজেই বস্তুর সঠিক অবস্থান নকশায়
৪. জরিপলিপির প্রয়োজন হয় না, ভ্রান্তির পরিমাণ ও হ্রাস পায়।
৫. সরাসরি পরিমাপ গ্রহণের দরকার পড়ে না।
৬. নকশা প্রনয়ণের দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজন নাই, তাই সময় ও কম লাগে।
প্লেন টেবিল জরিপের অসুবিধাঃ
১. বর্ষার সময়, কুয়াশায়, বৃষ্টিপাত ও আর্দ্র আবহাওয়া জরিপকাজ করা যায় না।
২. যেহেতু পরিমাপের কোন জরিপই থাকে না, ফলে পুন:নকশা প্রনয়ণ, নকশার সংকোচন বা পরিবর্ধন করা কষ্টসাধ্য।
৩. এ জরিপে নিখুঁত ফলাফল পাওয়া যায় না।
৪. প্রতিবন্ধকতা এলাকায় জরিপ কষ্টসাধ্য।
৫. যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও বহনে ঝামেলায় পড়তে হয়।
৬। কিস্তোয়ার জরিপ কি? কিস্তোয়ার জরিপের উদ্দেশ্য কি সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তরঃ যে জরিপের মাধ্যমে কোন এলাকার (মৌজা/গ্রাম) জমিগুলি দাগে দাগে মেপে নকশা প্রণয়ন, মালিকানা ও স্বত্ব নিরূপণ, জমির প্রকার নির্ধারণ, খাজনা ধার্যকরণ ইত্যাদি কাজ করা হয়, তাকে কিস্তোয়ার জরিপ বলা হয়।
কিস্তোয়ার জরিপের উদ্দেশ্যঃ
ক) জমির মালিকানা ও স্বত্ব নিরূপণ,
খ) জমির খাজনা বা কর নির্ধারণ,
গ) জমির শ্রেণিভেদ নির্ধারণ,
ঘ) জমি বিক্রয় ও হস্তান্তরের সুযোগ দান,
ঙ) ব্যক্তিগত সরকারি ও অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কে জানা,
চ) জমির ক্ষেত্রফল নির্ধারন করা,
ছ) খাস জমি চিহ্নিত করা।